বাংলাদেশের বনাঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ratulhasan14789 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ratulhasan14789 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
 
== ক্রান্তীয় আর্দ্র পর্ণমোচী বন ==
বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, [[রংপুর]] এবং [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লাতে]] এ ধরণের বন বিস্তৃত রয়েছে। এসব বনকে [[শালবনশাল বন]] হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় যেহেতু শালবৃক্ষই এসব বনে কর্তৃত্ব করে থাকে (প্রায় ৯০ শতাংশ)। যদিও কালের পরিক্রমায় নানা কারণে এসব বন শীর্ণকায় হয়ে গেছে। বনের চাঁদোয়া মোটামুটি ১০ থেকে ২০ মিটার উচ্চতার হয়ে থাকে।
 
শাল ছাড়াও এসব বনে অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে পলাশ, [[হালদু]], জারুল বা সিধা, [[বাজনা]], হারগোজা, [[আজুলি]], ভেলা, [[কড়ই]], [[মেন্দা]], কুসুম, [[উদল]], [[ডেফাজাম]], [[বহেরা]], [[কুর্চি]], [[হরিতকি]], পিতরাজ, [[শেওরা]], [[সোনালু]], আসার, আমলকি, এবং [[আদাগাছ]]। আরোহী লতাগাছের মধ্যে [[কাঞ্চনলতা]], [[আনিগোটা]], [[কুমারিলতা]], [[গজপিপল]], [[পানিলতা]], ''Dioscorea'' প্রজাতি, শতমূলি, এবং [[গিলা]]র অবস্থান লক্ষ্যণীয়। এছাড়াও ৫০ টি [[গণ|গণের]] প্রায় ২৫০ প্রজাতির গুল্মের ঝোপঝাড়ও এসব বনে বর্তমান। [[সানগ্রাস]] নামে এক প্রকার ঘাস এসব বনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ, [[লিগিউম]], [[ইউফ্রোবিয়া]] এবং [[কনভলভুলাস]] উদ্ভিদও এসব স্থানে বিদ্যমান।<ref name="R2"/><ref name="R3"/>
 
সর্বোমোট ১,২০,০০০ হেক্টর জায়গাজুড়ে এসব বন বিস্তৃত যা দেশের মোট ভূমির ০.৮১ শতাংশ এবং মোট বনভূমির ৭.৮ শতাংশ। এসব বনে প্রায় ৩৭.৫ লক্ষ ঘনমিটার কাঠের মজুদ রয়েছে। [[স্তন্যপায়ী|স্তন্যপায়ীদের]] মধ্যে [[বাংলা খেঁকশিয়াল|খেকশিয়াল]], [[বানর]], [[বনবিড়াল]], ইত্যাদি বিদ্যমান। এছাড়া [[সরীসৃপ]] হিসেবে মূলত বেঙ্গল মনিটর লিজার্ড, এবং কমন কোবরা উল্লেখযোগ্য।<ref name="R4"/>