সংযুক্ত আরব আমিরাত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১০৫ নং লাইন:
এই দেশের প্রধান অর্থনীতি খনিজ তেল,
মাথাপিছু আয় প্রায় ৪২,৭১৬ ম.ডলার।
=== বুর্জ খলিফা ===
'''বুর্জ খলিফা''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]: برج خليفة ‎‎; /খালিফাহ/) বর্তমানে পৃথিবীর [[গগনচুম্বী অট্টালিকা]] বা উচ্চতম [[ভবন]] যা [[জানুয়ারী ৪|৪ঠা জানুয়ারী]] [[২০১০]] তারিখে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি [[সংযুক্ত আরব আমিরাত|আরব আমিরাতের]] [[দুবাই]] শহরে অবস্থিত। এটি "দুবাই টাওয়ার" নামেও পরিচিত।নির্মাণকালে এর বহুল প্রচারিত নাম '''বুর্জ দুবাই''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]: '''برج دبي'''‎‎) থাকলেও উদ্বোধনকালে নাম পরিবর্তন করে "বুর্জ খলিফা" রাখা হয়।
 
এটির উচ্চতা ৮২৮ মিটার (২,৭১৭ ফু)। এটি [[তাইওয়ান|তাইওয়ানের]] [[তাইপে ১০১]] টাওয়ার থেকে ১,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতর। "তাইপেই ১০১" ভবনটির উচ্চতা ৫০৮ মিটার (১,৬৬৭ ফু)। ২০০৪ থেকে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এটিই ছিল পৃথিবীর উচ্চতম স্থাপনা। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] [[শিকাগো]] শহরে অবস্থিত [[উইলিস টাওয়ার|উইলিস টাওয়ারটি]] ৪৪২ মিটার (১,৪৫০ ফু) উঁচু। "বুর্জ খলিফা" এতই উঁচু একটি ভবন যে নিচতলা আর সর্বোচ্চ তলার মধ্যে [[তাপমাত্রা|তাপমাত্রার]] পার্থক্য ৬° [[সেলসিয়াস]]।
 
বুর্জ খলিফার" নির্মাণ কাজ শুরু হয় [[২০০৪|২০০৪ খ্রিস্টাব্দে]], আর কাজ শেষ হয় [[২০০৯|২০০৯ খ্রিস্টাব্দে]]। এটি তৈরীতে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এর বহিঃপ্রাঙ্গনে অবস্থিত ফোয়ারা নির্মাণেই ব্যয় হয়েছে ১৩৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ [[পাউন্ড স্টার্লিং|পাউন্ড]]। এই ভবনে ১,০৪৪টি বাসা (এপার্টমেন্ট) আছে; ১৫৮তলায় আছে একটি [[মসজিদ]]; ৪৩তম এবং ৭৬তম তলায় আছে দুটি সুইমিং পুল। আরো আছে ১৬০ কক্ষবিশিষ্ট একটি হোটেল। ১২৪তম তলায় [[দর্শক|দর্শকদের]] জন্য প্রকৃতি দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ভবনে সংস্থাপিত কোনো কোনো লিফটের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ মাইল। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে শিলান্যাসের পর থেকে অতি দ্রুত নির্মাণ কাজ অগ্রসর হয়েছে। এমনো দিন গেছে যে দিন ১২ হাজার নির্মাণ কর্মী একযোগে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত ছিল। সে সময় প্রতি তিন দিন পর পর একটি [[ছাদ]] তৈরি করা হয়েছে।
 
== জনসংখ্যা ==
১১১ ⟶ ১১৭ নং লাইন:
২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী এখানে বসবাসকারীদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা সবচেয়ে বেশি রয়েছেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author= |url= http://www.prothomalo.com/international/article/1390651/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4#comment_4377968 |title=
বিশ্বে প্রবাসীদের সংখ্যায় শীর্ষে ভারত }}</ref> প্রায় ২৬ লক্ষ ভারতীয় রয়েছেন। এছাড়া ১২ লক্ষ পাকিস্তানী রয়েছেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১১ লক্ষ।
 
== বুর্জ খলিফা ==
'''বুর্জ খলিফা''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]: برج خليفة ‎‎; /খালিফাহ/) বর্তমানে পৃথিবীর [[গগনচুম্বী অট্টালিকা]] বা উচ্চতম [[ভবন]] যা [[জানুয়ারী ৪|৪ঠা জানুয়ারী]] [[২০১০]] তারিখে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি [[সংযুক্ত আরব আমিরাত|আরব আমিরাতের]] [[দুবাই]] শহরে অবস্থিত। এটি "দুবাই টাওয়ার" নামেও পরিচিত।নির্মাণকালে এর বহুল প্রচারিত নাম '''বুর্জ দুবাই''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]: '''برج دبي'''‎‎) থাকলেও উদ্বোধনকালে নাম পরিবর্তন করে "বুর্জ খলিফা" রাখা হয়।
 
এটির উচ্চতা ৮২৮ মিটার (২,৭১৭ ফু)। এটি [[তাইওয়ান|তাইওয়ানের]] [[তাইপে ১০১]] টাওয়ার থেকে ১,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতর। "তাইপেই ১০১" ভবনটির উচ্চতা ৫০৮ মিটার (১,৬৬৭ ফু)। ২০০৪ থেকে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এটিই ছিল পৃথিবীর উচ্চতম স্থাপনা। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] [[শিকাগো]] শহরে অবস্থিত [[উইলিস টাওয়ার|উইলিস টাওয়ারটি]] ৪৪২ মিটার (১,৪৫০ ফু) উঁচু। "বুর্জ খলিফা" এতই উঁচু একটি ভবন যে নিচতলা আর সর্বোচ্চ তলার মধ্যে [[তাপমাত্রা|তাপমাত্রার]] পার্থক্য ৬° [[সেলসিয়াস]]।
 
বুর্জ খলিফার" নির্মাণ কাজ শুরু হয় [[২০০৪|২০০৪ খ্রিস্টাব্দে]], আর কাজ শেষ হয় [[২০০৯|২০০৯ খ্রিস্টাব্দে]]। এটি তৈরীতে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এর বহিঃপ্রাঙ্গনে অবস্থিত ফোয়ারা নির্মাণেই ব্যয় হয়েছে ১৩৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ [[পাউন্ড স্টার্লিং|পাউন্ড]]। এই ভবনে ১,০৪৪টি বাসা (এপার্টমেন্ট) আছে; ১৫৮তলায় আছে একটি [[মসজিদ]]; ৪৩তম এবং ৭৬তম তলায় আছে দুটি সুইমিং পুল। আরো আছে ১৬০ কক্ষবিশিষ্ট একটি হোটেল। ১২৪তম তলায় [[দর্শক|দর্শকদের]] জন্য প্রকৃতি দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ভবনে সংস্থাপিত কোনো কোনো লিফটের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ মাইল। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে শিলান্যাসের পর থেকে অতি দ্রুত নির্মাণ কাজ অগ্রসর হয়েছে। এমনো দিন গেছে যে দিন ১২ হাজার নির্মাণ কর্মী একযোগে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত ছিল। সে সময় প্রতি তিন দিন পর পর একটি [[ছাদ]] তৈরি করা হয়েছে।
 
== ইতিহাস ==