ইবনে সিনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sbshuvo (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ইবনে সিনা সস্পর্কে সমসাময়িক মনীষীদের মত
১ নং লাইন:
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ ইবনে সিনা সম্পর্কে বলেন -
{{তথ্যছক দার্শনিক
 
وابن سينا تكلم في أشياء من الإلهيات والنبوات والمعاد والشرائع لم يتكلم فيها سلفه ولا وصلت إليها عقولهم ولا بلغتها علومهم فإنه استفادها من المسلمين وإن كان إنما أخذ عن الملاحدة المنتسبين إلى المسلمين كالإسماعيلية وكان هو وأهل بيته وأتباعهم معروفين عند المسلمين بالإلحاد وأحسن ما يظهرون دين الرفض وهم في الباطن يبطنون الكفر المحض
 
ইবনে সীনা ইলাহ,নবুওয়াত, পরকাল ও শরী'আত সম্পর্কে এমন সব কথাবার্তা বলেছেন যা তার পূর্বের কোনো সালাফ বলেননি। তাঁদের বিবেক ও জ্ঞান সেদিকে যেতেই পারেনি। তিনি এসব শিখেন ইসমাইলিয়্যাহদের মত নামধারী নাস্তিকদের থেকে।তিনি,তার পরিবার ও তার অনুসারীরা মুসলিমদের নিকট নাস্তিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।তারা বাহিরে রাফেজীর ভাব নিতেন আর ভিতরে কুফরী লালন করতেন।
 
তিনি আরো বলেন -
 
أن ابن سينا أخبر عن نفسه أن أهل بيته وأباه وأخاه كانوا من هؤلاء الملاحدة وأنه إنما اشتغل بالفلسفة بسبب ذلك
 
ইবনে সীনা নিজেই তার সম্পর্কে বলেছেন, তার পরিবার, তার পিতা ও তার ভাইয়েরা এসব নাস্তিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। সে একারণে দর্শন শাস্ত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।(মাজমুঊল ফাতওয়া ৯/২৩২-২৩৫)
 
অন্যত্র বলেন -
 
وابن سينا أحدث فلسفة ركبها من كلام سلفه اليونان ومما أخذه من أهل الكلام المبتدعين الجهمية ونحوهم وسلك طريق الملاحدة الإسماعيلية في كثير من أمورهم العلمية والعملية ومزجه بشيء من كلام الصوفية وحقيقته تعود إلى كلام إخوانه الإسماعيلية القرامطة الباطنية فإن أهل بيته كانوا من الإسماعيلية أتباع الحاكم الذي كان بمصر وكانوا في زمنه ودينهم دين أصحاب "رسائل إخوان الصفا" وأمثالهم من أئمة منافقي الأمم الذين ليسوا مسلمين ولا يهود ولا نصارى
 
ইবনে সীনা জাহমিয়াদের মত বিদ'আতপন্থী আহলে কালামদের থেকে কিছু গ্রহণ করে ও তার পূর্ববর্তী ইউনানিদের থেকে কিছু নিয়ে সবকে জোড়া দিয়ে এক নতুন দর্শন আবিষ্কার করেন।তিনি ইলমী, আমলী অনেক ক্ষেত্রে নাস্তিক ইসমাইলিয়্যাহদের তরীকায় চলেন।তার সাথে আরো মিশ্রণ করেন সূফীদের কথাবার্তা। তিনি বাস্তবিকভাবে তার ইসমাইলিয়্যাহ কারামুতাহ বাতেনিয়্যাহ ভাইদের মতাদর্শে ছিলেন। তার পরিবার ছিলেন মিসরে অবস্থানকারী হাকেমের অনুসারী ইসমাইলিয়্যাহদের অন্তর্ভুক্ত। তারা তার যুগে ছিলেন। "রাসায়েল ইখওয়ানুস সফা"-র অনুসারী ও তাদের মত মুসলিম নয়, ইহুদী নয়, খ্রিষ্টান নয় বরং মুনাফিকদের ধর্ম ছিল তাদের ধর্ম। (ঐ ১১/৫৭১)
 
✍ শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ, ইবনে সিনা সম্পর্কে বলেন -
 
وكان ابن سينا كما أخبر عن نفسه قال: أنا وأبي من أهل دعوة الحاكم فكان من القرامطة الباطنية الذين لا يؤمنون بمبدأ ولا معاد ولا رب ولا رسول مبعوث جاء من عند الله تعالى
 
ইবনে সীনা তেমনটি ছিলেন যেমনটি তিনি তার সম্পর্কে বলেছেন: আমি ও আমার পিতা হাকেমের আন্দোলনের অনুসারী ছিলাম।তিনি কারামুতাহ বাতেনিয়্যাহর অন্তর্গত ছিলেন, যারা বিশ্বাস করেনা (সৃষ্টির) সূচনা, পরকাল, রব,প্রেরিত রাসূল আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তা।(ইগাসাতুল লাহফান ২/১৯৫)
 
তিনি তাকে নাস্তিকদের নেতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।(ইগাসাতুল লাহফান ২/১৯৬)
 
✍ জারাহ ওয়া ত্বাদিলের ইমাম শামসুদ্দিন আয যাহাবি রাহিমাহুল্লাহ বলেন -
 
وله كتاب الشفاء وغيره وأشياء لاتحتمل ,وقد كفره الغزالي في كتاب (( المنقذ من الضلال )) وكفر الفارابي )
 
তার "আশ-শিফা" সহ অন্যান্য কিতাব এবং এমন কিছু বিষয় রয়েছ যা সহ্য করার মত না।তাকে গাযালী "আল-মুনকিয মিলাজ জলাল" কিতাবে কাফের বলেছেন এবং ফারাবীকেও কাফের বলেছেন।(সীয়ারু আ'লামিন নুবালা ১৭/৫৩৫)
 
✍ ইমাম ইবনু ইমাদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন -
 
أكثر العلماء على كفره وزندقته حتى قال الإمام الغزالي في كتابه "المنقذ من الضلال" : لا شك في كفرهما أي الفارابي وابن سينا
 
অধিকাংশ উলামা তাকে কাফের ও নাস্তিক বলেছেন। এমনকি ইমাম গাযালী তার কিতাব 'আল-মুনকিয মিনাজ জলাল' কিতাবে বলেছেন, উভয়ের অর্থাৎ ফারাবী ও ইবনে সীনার কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ নেই।( সাযারাতুয যাহাব ২/৩৫৩)
 
✍ ইমাম ইবনুস সালাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন -
 
كان شيطاناً من شياطين الإنس
 
সে (ইবনে সিনা) ছিল মানুষদের মধ্যে একজন শয়তান!
 
ফাতাওয়ায়ে ইবনুস সালাহ - ১/২০৯
 
✍ ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ,
 
ইবনে সিনাকে রদ্দ করে যাহাবীর উদ্ধৃতি দিয়ে অভিশাপ দিয়েছেন, যেন আল্লাহ তার প্রতি রাজী না থাকেন, তার রচিত “লিসানুল মীযান” কিতাবে।
 
لا رضـي اللـه عنه
 
✍ আনওয়ার শাহ আল কাশ্মিরী (রহ) তাকে মুরতাদ যিন্দিক, শিরকের দিকে আহবান কারী বলেছেন।
 
ابن سينا الملحد الزنديق القرمطي غدا مدى شرك الردى وشريطة الشيطان
 
(রেফারেন্স - ফয়যুল বারী ১/১৬৬)
 
✍ ইবনে কাসীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
 
قد حصر الغزالي كلامه في "مقاصد الفلاسفة" ثم رد عليه في "تهافت الفلاسفة" في عشرين مجلساً له، كفره في ثلاث منها، هي: قوله بقدم العالم وعدم المعاد الجسماني وأن الله لا يعلم الجزئيات وبدَّعه في البواقي ويقال أنه تاب عند الموت والله أعلم
 
গাযালী তার মতবাদকে “মাকাসিদুল ফালাসাফাহ” গ্রন্থে একত্রিত করেছেন। তারপর তিনি ২০টি আলোচনায় “তাহাফুতুল ফালাসাফাহ”-তে তার জবাব দিয়েছেন। তিন কারণে তিনি তাকে কাফের বলেছেন। তা হল: তার মতে বিশ্বজগত সৃষ্টি নয়, শারীরিকভাবে পরকাল হবে না এবং আল্লাহ শাখাগত বিষয় সমূহ জানেন না। আর অন্যান্য কারণে তিনি তাকে বিদ’আতী বলেছেন। বলা হয়ে থাকে, তিনি নাকি মরার সময় তাওবাহ করেছিলেন। আল্লাহ ভালো জানেন। [আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১২/৪৩]
 
✍ উস্তাযুল আলেম আল্লামাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ, ফারাবী এবং ইবনু সীনাকে কঠোরভাবে রদ্দ করেছেন এবং তাদের নামে মুসলিমদের নাম না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন!
 
(ফাওয়ায়েদুল জালিয়্যাহ, যাহরানী পৃষ্ঠা ৩৭){{তথ্যছক দার্শনিক
<!-- Scroll down to edit this page -->
<!-- Philosopher Category -->