আসমানী কিতাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{Islam}}
'''আসমানী কিতাব''' বা '''ঐশ্বিক গ্রন্থ''' বলতে এমন কতকগুলো গ্রন্থকে বোঝানো হচ্ছেহয়, [[ইসলাম]] ধর্মমতে [[মুসলমান|মুসলমানগণ]] যে গ্রন্থগুলোকে ঈশ্বরপ্রদত্ত গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করেন। ইসলাম ধর্মে যে ৭টি বিষয়ের উপর বিশেষ করে ঈমান আনতে বা বিশ্বাস স্থাপন করতে বলা হয়েছে তার মধ্যে একটি বিষয় হলো এই আসমানী কিতাব, যাযেগুলো সরাসরি ঈশ্বরের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়। বলা হয়, পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে সর্বমোট আসমানী কিতাব পাঠানো হয়েছে ১০৪টি। তার মধ্যে ৪টি হলো প্রধান আসমানী কিতাব ও বাকি ১০০টি [[সহীফা]]।
তবে কুরআন ও প্রধান হাদীসগ্রন্থগুলোতে আসমানী কিতাবের সংখ্যা উল্লেখ নেই।
 
প্রধান চারটি আসমানী কিতাব হলো:
* [[তাওরাত]], যা অবতীর্ণ হয়হয়েছে ঈশ্বরের বাণীবাহক হযরত [[মুসা]] [আ.]-এর উপর,<ref>{{Cite quran|53|36|s=ns}}</ref>
* [[যাবুর]], যা অবতীর্ণ হয়হয়েছে ঈশ্বরের বাণীবাহক হযরত [[দাউদ]] [আ.]-এর উপর,
* [[ইনযিল]], যা অবতীর্ণ হয়হয়েছে ঈশ্বরের বাণীবাহক হযরত [[ঈসা]] [আ.]-এর উপর, এবং
* [[কুরআন|আল‌‌-কোরআন]] (সর্বশেষ এবং পরিপূর্ণ আসমানী কিতাব), যা অবতীর্ণ হয়হয়েছে ঈশ্বরের বাণীবাহক হযরত [[মুহাম্মদ]] [স.]-এর উপর।<ref name="BA"/>
 
তন্মধ্যে [[ইহুদি]] ও [[খ্রিস্টধর্ম|খ্রিষ্ট]] ধর্মমতে, 'তাওরাত' বলতে ইঙ্গিত করা হয় [[তোরাহ|'তোরাহ'কে]] , 'যাবুর' বলতে ইঙ্গিত করা হয় [[যামস|'যামস'কে]], 'ইঞ্জিল' বলতে ইঙ্গিত করা হয় [[গসপেল|'গসপেল'কে]]।
 
এছাড়া অন্যান্য অপ্রধান ১০০টি আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয় অপরাপর বিভিন্ন বাণীবাহকের উপর। যথা:
* হযরত [[শীস]] [আ.]-এর উপর ৫০খানা৫০টি সহীফা
* হযরত [[ইদ্রিস]] [আ.]-এর উপর ৩০খানা৩০টি সহীফা, এবং
* হযরত [[ইব্রাহীম]] [আ.]-এর উপর ২০খানা২০টি সহীফা।<ref name="BA">ফক্বীহ আবুল লাইস সমরকন্দী (রহঃ)। "নবী রাসুল প্রসঙ্গ"। বুস্তানুল আ'রেফীন (প্রিন্ট) (বাংলা ভাষায়) (১৯৯৭ সালে সংস্করণ)। চকবাজার, ঢাকা: হামিদিয়া লাইব্রেরী লি:। প্রকাশিত হয়েছে: ১৪ই মে, ১৯৯৭।</ref>
কুরআনে শুধু ইব্রাহীম ([আ.)] এর উপর সহীফা অবতীর্ণ সহীফারহওয়ার উল্লেখ রয়েছে তবে সংখ্যা উল্লেখ নেই।<ref>{{Cite quran|87|19|s=ns}}</ref>
 
==আরও দেখুন==
*[[আসমানী কিতাব]]
*[[নবী]]
*[[রাসুল]]