রবীন্দ্রসঙ্গীত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
116.58.205.40-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 47.15.6.49-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল পূর্বাবস্থায় ফেরত
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৩ নং লাইন:
তিনি কেবল গীতিকার বা সুরকার নন, তিনি সংগীতস্রষ্টা। রবীন্দ্রসংগীত কাব্য ও সুরের মধুর মিলনের অনন্য দৃষ্টান্ত। স্বরচিত অধিকাংশ গানে সুরারোপ করেছেন রবীন্দ্রনাথ নিজেই। "স্থায়ী", "অন্তরা", "সঞ্চারী" এবং "আভোগ" - এই চারটি রূপবন্ধের ক্রমিক সমন্বয়ে যে একটি গান সম্পূর্ণ হয়ে তা তিনি সম্যক উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর এই উপলব্ধি সর্বভারতীয় সঙ্গীত ঐতিহ্যেরই প্রতিফলন। তবে তিনি গানে "তান-বিস্তারের" অপরিহার্যতা অস্বীকার করে সংগীত রচনা করেছেন। তাঁর গানে বিস্তার ব্যতিরেকেই সুর শব্দকে ছাড়িয়ে বিশেষ ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে। সুরের বৈশিষ্ট্যেই তাঁর গান রবীন্দ্রসংগীত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে প্রচলিত [[তাল (সঙ্গীত)|তালে]] সুর বাঁধার সঙ্গে সঙ্গে অপ্রচলিত নানা তাল তিনি ব্যবহার করেছেন। তাঁর কাছে আমরা পেয়েছি ১৫ মাত্রা, ১৭ মাত্রা, ১৮ মাত্রা, ১৯ মাত্রা ইত্যাদির বাংলা গান। "সঙ্গীতের মুক্তি" নামীয় প্রবন্ধটি তাঁর সংগীত চিন্তার দলিল।
== চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ ==
[[বাংলা]] চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ শুরু হয় ১৯৩৭ সালে। ওই বছর [[নিউ থিয়েটার্স প্রাইভেট লিমিটেড]] প্রযোজিত ও [[প্রমথেশ বড়ুয়া]] পরিচালিত ''মুক্তি'' চলচ্চিত্রে প্রথম রবীন্দ্রসংগীত ব্যবহার করা হয়। এরপর [[সত্যজিৎ রায়]], [[ঋত্বিক ঘটক]], [[গৌতম ঘোষ]], [[ঋতুপর্ণ ঘোষ]] প্রমুখ আন্তর্জাতিক-খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকগণ তাঁদের ছবিতে সার্থকভাবে রবীন্দ্রসংগীত প্রয়োগ করেছেন। মূলধারার বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রেও জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীতগুলি ব্যবহার করা হয়।
=== ''মুক্তি'' ===
[[নিউ থিয়েটার্স প্রাইভেট লিমিটেড]] প্রযোজিত ও [[প্রমথেশ বড়ুয়া]] পরিচালিত ''মুক্তি'' (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে প্রথম রবীন্দ্রসংগীত প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী [[পঙ্কজ কুমার মল্লিক]]। পঙ্কজকুমার মল্লিক রবীন্দ্রনাথের অনুমতি নিয়ে কবির ''খেয়া'' কাব্যগ্রন্থের "শেষ খেয়া" কবিতাটিতে সুরারোপ করেন এবং এই চলচ্চিত্রে প্রয়োগ করেন।<ref>''বেতার ও চলচ্চিত্রের জগতে প্রবাদপ্রতিম সংগীত সাধক পঙ্কজ কুমার মল্লিক'', রাজীব গুপ্ত, পঙ্কজ মল্লিক মিউজিক অ্যান্ড আর্ট ফাউন্ডেশন, কলকাতা, পৃ. ৮৩-৮৫</ref> গানটি "দিনের শেষে ঘুমের দেশে" শিরোনামে রেকর্ডে প্রকাশিত হয় ও জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ''মুক্তি'' চলচ্চিত্রে পঙ্কজকুমার মল্লিক রবীন্দ্রনাথের "আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে", "তার বিদায়বেলার মালাখানি" ও "আমি কান পেতে রই" গান তিনটিও ব্যবহার করেছিলেন।<ref>''বেতার ও চলচ্চিত্রের জগতে প্রবাদপ্রতিম সংগীত সাধক পঙ্কজ কুমার মল্লিক'', রাজীব গুপ্ত, পঙ্কজ মল্লিক মিউজিক অ্যান্ড আর্ট ফাউন্ডেশন, কলকাতা, পৃ. .১২৯</ref>