অ্যাসপারগারের সংলক্ষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RIT RAJARSHI (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
RIT RAJARSHI (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৬ নং লাইন:
=== বাস্তব জীবনে দৈনন্দিন কাজকর্ম করার অসুবিধা ===
অন্যান্য বিভাগ গুলি তে সংশ্লিষ্ট দক্ষতার অভাব কিভাবে আক্রান্ত ব্যাক্তির বাস্তব জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা অধ্যায় গুলিতে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু ওগুলি ছাড়াও অন্যান্য কারণে অ্যাসপারগার ব্যাক্তিকে নানাপ্রকার লাঞ্ছনা ও হয়রানির শিকার হতে হয়। একটি অন্যতম সমস্যা হলো এরূপ ব্যক্তিরা সাধারণত: নিজে অত্যধিক নীতিপরায়ন হলেও অন্য কুমতলব সম্পন্ন লোকজন এঁদেরক অনেকসময় এঁদের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয় এবং বোকা বানানোর চেষ্টা করে বা ঠকিয়ে দেয়।দেয় বা ফায়দা তোলে। কর্মক্ষেত্রে উপযুক্ত কিন্তু কঠিন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়না এবং অনেকসময় সহপাঠী বা সহকর্মীরা এঁদের কথা বিশ্বাস করতে চান না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সহকর্মীরা এঁদেরকে ঘৃণা করেন কিংবা ভয় পান, এবং কাজের প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জানান দেন না। অনেকসময় শিক্ষকরা অ্যাসপারগার আচরণ সমন্বিত শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝেন এবং এদেরকে অলস, ভীরু, ফাঁকিবাজ ও অ-নিয়মানুবরতী বলে মনে করেন, যদিও তা সঠিক নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিক্ষক রা অ্যাসপারগার শিক্ষার্থীকে অন্যান্য স্বাভাবিক শিক্ষার্থীর থেকে পৃথক করে দেন এবং শেষ বেঞ্চ এ বসিয়ে দেন যেখানে এরা কোনও পড়া বুঝতে পারেনা এবং সহপাঠীদের দ্বারা আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হয়। পরীক্ষক রা অনেক সময় চোখে চোখ রাখার মাধ্যমে সংযোগ এর অভাব কে আত্মবিশ্বাস এর অভাব, অমনোযোগিতা, অসহযোগিতা এবং মিথ্যাবাদী ইত্যাদি ভেবে থাকেন। অলিখিত যোগাযোগ পদ্ধতি যেমন শরীরী ভাষা, ঈসারা ও মুখের অভিব্যক্তি বুঝতে না পারার কারণে এদেরকে অনেকসময় নির্দয়, অভব্য এবং অশ্রদ্ধাশীল বলে ভেবে নেওয়া হয়। এছাড়া আদব-কায়দা ও শরীরী ভাষায় শিক্ষক কে বা ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যাক্তি কে শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রকাশ না করতে পারার ফলে অবচেতন জনমানসে এইরূপ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হয়। অ্যাসপারগার শিক্ষার্থী সাধারণত ক্লাস চলাকালীন খুব সমস্যা ভোগ করেনা, কিন্তু বিরতিকালীন সময়ে এরা নানা সমস্যা ও বিপদের সম্মুখীন হয়। ক্লাসঘরে কোলাহল বা ওয়ার্কিং মেমরি সমস্যার বা অন্য কোনও সমস্যার জন্য অ্যাসপারগার শিক্ষার্থী বারবার পাঠদানে ছেদ ঘটাতে পারে যা সামাজিক ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ এর চেষ্টা বলে ভ্রম করা হয়। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক অ্যাসপারগার বিবাহ সঙ্গী খোঁজার ব্যাপারে অনাগ্রহী হতে পারেন এবং জবরদস্তি বিবাহ দেওয়ার ফল খুবই খারাপ হতে পারে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক অ্যাসপারগার ও তাঁর বিবাহ সঙ্গী পরস্পরকে সঠিক ভাবে না বুঝতে পারলে প্রবল গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়ে থাকে বলে জানা যায়; এবং পরস্পরকে সময় দেওয়ার অভাব ও অতি প্রকট হতে পারে।
 
== নামকরণ এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ==