1892 খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টারী ডিগ্রী লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে আইন পড়তে অতুলপ্রসাদ লণ্ডনে গমন করেনকরেন। কিছুদিন পর বড়মামা কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত সেখানে গেলে মামাতো বোন হেমকুসুমের মঙ্গে অতুলপ্রসাদের প্রেম হয় এবং তিনি হেমকুসুমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন নেন। তখন ভারতবর্ষের আইনে ভাই-বোনে এরকম বিয়ে গ্রহণযোগ্য ছিল নানা। আর এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে ওঠে প্রবল আপত্তি আপত্তি। অতুলপ্রসাদ তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন্ থাকলেন। আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার অতুলপ্রসাদ তার কর্মগুরু সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের পরামর্শক্রমে স্কটল্যান্ড গমন কনে যেখানে এরূপ বিবাহ আইনসিদ্ধ ছিলছিল। স্কটল্যান্ডে গিয়ে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে মামাতো বোন হেমকুসুমকে বিয়ে করেন অতুলপ্রসাদঅতুলপ্রসাদ।
বিলেতে পসার জমাতে পারেন নি অতুলপ্রসাদঅতুলপ্রসাদ। এসময় মারাত্মক অর্থকষ্টের মোকাবিলা করতে হয়হয়। দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় যার মধ্য একজনের অকাল মৃত্যু হয়হয়। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি জীবিত সন্তান দিলিপকুমুরকে নিযে ভারতে তথা কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেনকরেন। এ সময় আত্মীয়-স্বজনরা কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনিআসেনি।<ref name="anandabazar.com">[http://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/%E0%A6%95-%E0%A6%9A-%E0%A6%9B-1.18116 আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ৬ এপ্রিল ২০১৪]</ref>
এ বিয়ে শেষাবধি সুখের হয় নিনি। লখনউ বসবাস কালে অতলপ্রসাদের মা হেমন্তশশীর দ্বিতীয় স্বামী দুর্গামোহনের মৃত্যু হয়হয়। দুর্গামোহনের মৃত্যুর পর হেমন্তশশী লখনউ চলে আসের পুত্রের সংসারেসংসারে। এসময় শ্বাশুড়ি বৌমার বিসম্বাদ শুরু হয়হয়। পরিণতিতে স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়িছাড়াছাড়ি। ছাড়াছাড়ি মিটিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টাও সফল হয় নিনি। হেমন্তশশী ও হেমকুসুমের দ্বন্দ্ব্ব মেটেনি কখনোকখনো। হেমন্তশশীর মৃত্যুর পর ঘরে তাঁর ফটো টাঙানো ছিলছিল। তা সরিয়ে ফেলার দাবী তোলেন হেমকুসুমহেমকুসুম। কিন্তু মায়ের ছবিকে এভাবে অসম্মান করতে নারাজ অতুলপ্রসাদ অতুলপ্রসাদ। এবার হেমকুসুম চিরকালের জন্য স্বামীর ঘর ছেড়ে গেলেন, আর প্রত্যাবর্তন করেন নি নি।<ref name="anandabazar.com"/>