ইসলামি বর্ষপঞ্জি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md.habib mh (আলোচনা | অবদান)
হিজরত কি এবং কেন?
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন:
{{ইসলাম|সংস্কৃতি}}
'''ইসলামি বর্ষপঞ্জি''' বা '''মুসলিম বর্ষপঞ্জি''' ({{lang-ar|التقويم الهجري}} ''at-taqwīm al-hijrī''; '''হিজরী বর্ষপঞ্জি''' হিসাবেও পরিচিত) একটি চন্দ্রনির্ভর বর্ষপঞ্জি। বিভিন্ন মুসলিম দেশ এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, আর পৃথিবীব্যাপী মুসলমানগণ অনুসরণ করেন ইসলামের পবিত্র দিনসমূহ উদযাপনের জন্য।<ref name="alkawsar1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url=http://www.alkawsar.com/article/498 | title=শুধু আরবদের নয়, হিজরী মুসলমানদের সন, ইসলামী সন | publisher=মাসিক আলকাউসার | date=ডিসেম্বর ২০১১ | accessdate=3 January 2014 | author=মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, আবুল হাসান}}</ref>
হিজরত অর্থ হল ত্যাগ করা, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে রাসূল সা. ও সাহাবা রা.দের মক্কা নগরী ত্যাগ করে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য মদিনায় চলে যাওয়াকেই হিজরত বলে অবহিত করা হয়।
যুগে যুগে প্রায় সকল নবী-রাসূলগণকেই নিজ জন্মভূমি ত্যাগ করে অন্য স্থানে যেতে হয়েছে। কেন না নবী-রাসূলগণের বিরোধিতা করা, তাদের অপবাদ দেয়া, গালমন্দ করা, এমনকি হত্যা পর্যস্ত করা পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন কোনো ঘটনা নয়।
 
সর্বশেষ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. যখন অাল্লাহ তায়ালার এই নির্দেশ প্রাপ্ত হোন যে, “অতএব, আপনি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছেন তা প্রকাশ্যে প্রচার করুন।”
(সূরা : হিজর, ৯৪)
তখন থেকেই প্রিয় নবী সা. মক্কার অধিবাসীদের মূর্তি পূজা পরিত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদতের জন্য আহবান করতে লাগলেন। হাতে গণা কয়েকজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছাড়া মক্কার অধিকাংশ কাফির-মুশরিকরাই রাসূল সা. এর সেই আহ্বানে সাড়া দিল না। সাড়াতো দিলোই না, বরং তাঁর প্রচার কাজে নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করতে লাগলো। চালাতে থাকল অমানুষিক জুলুম-নির্যাতন। এমনকি সামাজিকভাবেও রাসূল সা. এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীদের বয়কট করে। কেউ কেউ আবার প্রাচুর্যের প্রলোভনও দেখাতে দেখাল। তাদের সেই শত নির্যাতন ও প্রলোভনকে পদদলিত করে রাসূল সা. দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে ঘোষণা করলেন, ‘আমার এক হাতে চাঁদ আরেক হাতে যদি সূর্যও এনে দেয়া হয় তবুও আল্লাহ আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করা থেকে কোনো অবস্থাতেই আমি বিরত হবো না।’
 
রাসূল সা. এর এই ঘোষণা শুনে কাফির মুশরিকরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হলো যে, তারা মুহাম্মদ সা. কে হত্যা করে ফেলবে। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে সে কথা জানিয়ে দিয়ে হিজরত করার নির্দেশ দিলেন। আল্লাহ তায়ালার সেই নির্দেশে তিনি স্বীয় বিছানায় হযরত আলী রা. কে রেখে অতি সন্তর্পণে গৃহ ত্যাগ করেন এবং তাঁর প্রিয় সাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. কে সঙ্গী করে মক্কা থেকে ২৯৬ মাইল দূরে অবস্থিত মদীনার অভিমুখে রওনা হন। যেখানে রাসূল সা. এর নির্দেশে ওনার আগেই অনেক সাহাবীগণ একে একে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন।
 
মদীনার লোকেরা যখন জানতে পারল মুহাম্মদ সা. মদীনায় আসছেন, তখন সেখানকার কবিগণ তাঁকে সম্বর্ধনা জানানোর জন্য কবিতা রচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তিনি দীর্ঘ ২৯৬ মাইল পথ পেরিয়ে ১৫ দিন পর মদীনার উপকণ্ঠ কূবা নামক মহল্লায় এসে পৌঁছলে হাজার হাজার মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো,
তালা’আল বাদ্রু ‘আলায়না
মিন ছানিয়াতুল বিদা।’
অর্থাৎ, বিদা পর্বত থেকে আমাদের উপর পূর্ণিমার চাঁদ উদিত হল।
 
এই হিজরত ইসলাম প্রচার ও প্রসারে যে অনন্য ভূমিকা রেখেছে তার কোনো তুলনাই হয় না। ইসলামের সুদূরপ্রসারী দিগন্ত উন্মোচিত করেছিল কেবলমাত্র এই হিজরত।
হিজরতের গুরুত্ব বলতে গিয়ে ইতিহাসবিদ যোসেফ হেল বলেন, ‘It is a tuning point in the life and work of the Prophet. The great tuning point in the history of Islam.’
তাই মুসলিম উম্মাহর জীবনে হিজরত একটি অতীব গুরুত্ববহ অধ্যায়। কেন না এই হিজরত থেকেই হিজরি সনের উদ্ভব হয়েছে।
 
== ইতিহাস ==