আবদুল হামিদ (শিক্ষাবিদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কর্মজীবন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
রাজনৈতিক জীবন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
২৯ নং লাইন:
শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত আসাম-বেঙ্গল রেলওয়েতে অডিটর হিসেবে চাকুরী করেন আবদুল হামিদ।<ref name="স"/> চাকুরীস্থলে বিরাজমান অবস্থার সাথে আপোষ না করে ১৯৩৯ সালে পদত্যাগ করেন আবদুল হামিদ। পরবর্তীতে [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী সরকারী কলেজের]] প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় মনোনিবেশ ঘটান। অতঃপর স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেন।
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
ঔপনিবেশিকতা ও পরাধীনতার নাগপাশ থেকে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভুখা-নাঙ্গা সাধারণ লোকদের কল্যাণের দিক চিন্তা করে [[রাজনীতি|রাজনীতিতে]] সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ও পাশাপাশি এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে মনোনিবেশ ঘটান তিনি।
 
১৯৪১ সালে ঢাকার নবাব পরিবারের সন্তান নবাব খাজা সেলিমকে নির্বাচনে পরাজিত করে জেলা বোর্ড, ঢাকা-এর সদস্য নির্বাচিত হন। [[দ্বিজাতি তত্ত্ব|দ্বিজাতি তত্ত্বভিত্তিক]] পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণার সাথে একাত্মতা পোষণ করতে পারেননি তিনি।<ref name="স"/> ফলশ্রুতিতে ১৯৪৬ সালে [[বাংলা প্রাদেশিক নির্বাচন, ১৯৪৬|প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে]] অংশ নিলেও [[খাজা সেলিম|খাজা সেলিমের]] অপকৌশল, ভোট জ্বালিয়ে দেয়া ও ষড়যন্ত্রের কাছে প্রহসনের নির্বাচনে পরাজিত হন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বলেছিলেন যে, ‘এই অবাস্তব, কাল্পনিক রাষ্ট্র যদিওবা বাস্তবে রূপ নেয়, তাহলেও তা কোনক্রমেই ২৫ বছরের বেশী সময় টিকবে না এবং তা অবশ্যই একটি গোরস্থানে পরিণত হবে।’<ref name="স"/> পাশাপাশি তিনি বাংলাভাষী এলাকা নিয়ে বাঙালী জাতীয়তাবাদভিত্তিক পৃথক বঙ্গদেশ প্রতিষ্ঠার দাবী তুলেন। খাজা সেলিমের যোগসাজশে, নেতৃত্বের জনপ্রিয়তা ও মিথ্যা অপপ্রচারে তাঁর জীবন বিষিয়ে তোলে।
 
[[বঙ্গ|অবিভক্ত বাংলায়]] [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|কংগ্রেসের]] অনুসারী ছিলেন। মুসলিম লীগের বিরোধী হওয়ায় তাঁকে অনেকদিন আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। মুসলীম লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গণমানুষের সার্বিক কল্যাণ ও আশা-আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ বিবেচিত হওয়ায় ২৩ জুন, ১৯৫৮ তারিখে [[পাকিস্তান গণমুক্তি পার্টি]] গঠন করেন।<ref name="ধ"/> তবে, আইয়ুবীয় সামরিক শাসনামলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথেও তাঁর পার্টি গঠনের মাত্র একমাসের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
 
১৯৬২ সালের আইনসভায় [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৬২|পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের]] সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।<ref name="ধ"/> এ সময়ে তিনি সরকারী চাকুরীজীবীদের ন্যায় কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের জন্যও বার্ধক্যভাতার দাবী উত্থাপন করেন। রায়পুরা, মনোহরদী ও শিবপুর এলাকা থেকে স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের যুদ্ধনীতি প্রণয়নে আইনসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফলশ্রুতিতে, রাষ্ট্রপতি [[আইয়ুব খান]] তাঁকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের দায়িত্ব পালনের প্রস্তাবনা দেন। পাশাপাশি মুসলিম লীগে যোগদানের শর্ত যুক্ত করলে তিনি তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন।<ref name="স">স্মরণ: রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ৬ অক্টোবর, ২০১৭, মুদ্রিত সংস্করণ।</ref>
 
২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে পাকিস্তান গণমুক্তি পার্টির পুণর্গঠন উপলক্ষে তৎকালীন রায়পুরা থানার নারায়ণপুর বাজারে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের দাবী করেন ও গণভোট আয়োজনের দাবী জানান। ঐ একই জনসভায় আবদুল হামিদের অনুপ্রেরণায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ও [[আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা|আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার]] অন্যতম আসামী [[সার্জেন্ট আবদুল জলিল|সার্জেন্ট আবদুল জলিলকে]] গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।<ref name="স"/> এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ ও গণভোট বিষয়ে রাওয়ালপিণ্ডিতে গোলটেবিল আলোচনায় ব্যস্ত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]], আইয়ুব খানসহ অন্যান্য নেতাকে [[বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ|টেলিগ্রাম বার্তা]] প্রেরণ করেন।<ref name="স"/>
 
== তথ্যসূত্র ==