খ্রিস্টধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
ভূমিকা সংশোধন ও সম্প্রসারণ
১ নং লাইন:
{{Christianity}}
'''খ্রিস্টধর্ম''' অনুসারীর সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলির একটি। এটি একটি আব্রাহাম বা ইব্রাহিমীয় ধর্ম। এই ধর্মের অনুসারীদেরকে খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম, অর্থাৎ খ্রিস্টানরা কেবল একটিমাত্র ঈশ্বরের উপাসনা করে।<ref name="Monotheism">{{cite web |url=http://www.newadvent.org/cathen/10499a.htm |title=Monotheism |accessdate=2008-10-01 |work=[[Catholic Encyclopedia]] }}</ref> যিশুখ্রিস্টের জীবন ও শিক্ষা খ্রিস্টধর্মের ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে ধর্মটির উৎপত্তি হয়। "খ্রিস্ট" অর্থ "ঈশ্বরের নির্বাচিত"।
'''খ্রিস্ট ধর্ম''' (প্রাচীন গ্রিক: Χριστός খ্রিস্তোস্‌) হচ্ছে একেশ্বরবাদী ধর্ম। নাজারাথের যীশুর জীবন ও শিক্ষাকে কেন্দ্র করে এই ধর্ম বিকশিত হয়েছে। খ্রিস্টানরা মনে করেন যীশুই মসীহ এবং তাঁকে যীশু খ্রীস্ট বলে ডাকেন। খ্রিস্ট ধর্মের শিক্ষা নতুন টেস্টামেন্ট বা [[নতুন বাইবেল|নতুন বাইবেলে]] এ গ্রন্থিত হয়েছে। এই ধর্মাবলম্বীরা খ্রিস্টান পরিচিত। তারা বিশ্বাস করে যে যীশু খ্রীস্ট হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র।
 
ঐতিহাসিকভাবে নাজারেথের যিশু প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের প্রদেশ জুদেয়াতে বসবাসকারী একজন ধর্মপ্রচারক ও নৈতিক শিক্ষক ছিলেন। কিংবদন্তী অনুসারে তিনি দুরারোগ্য ব্যধি সারাতে পারতেন, এমনকি মৃত মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন। যিশুর পালক বাবা জোসেফ ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। কিন্তু যিশুর অনুসারীরা অর্থাৎ খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করে যে যিশু স্বয়ং ঈশ্বরের একমাত্র সন্তান। স্থানীয় রোমান প্রশাসক পোন্তিউস পিলাতে-র আদেশে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। <ref>[[Tacitus]] tells about this in his Annales: [http://www.perseus.tufts.edu/cgi-bin/ptext?lookup=Tac.+Ann.+15.44 ''Perseus''-Project: Annales 15,44] In the passage, Tacitus talks about the burning of Rome, which [[Nero]] attributed to the Christians: ''Christus, from whom the name had its origin, suffered the extreme penalty during the reign of Tiberius at the hands of one of our procurators, Pontius Pilatus, and a most mischievous superstition, thus checked for the moment, again broke out not only in Judaea, the first source of the evil, but even in Rome, where all things hideous and shameful from every part of the world find their centre and become popular''.</ref> যিশুর জীবন ও তাঁর অনুসারীদের কাহিনী নতুন নিয়ম নামক পুস্তকমালায় লিপিবদ্ধ আছে। এই নতুন পুস্তকটি খ্রিস্টানদের পবিত্র ধর্মপুস্তক বাইবেলের একটি অংশ। বাইবেল নতুন নিয়ম ও পুরাতন নিয়ম উভয় নিয়ে গঠিত।<ref>{{cite web |url=http://www.bbc.co.uk/religion/religions/christianity/ |title=''BBC - Religion & Ethics - 566, Christianity'' |accessdate=2008-10-01 |work=[[BBC]] }}</ref> নতুন নিয়মের প্রথম চারটি পুস্তককে একত্রে সুসমাচার (অর্থাৎ "ভাল খবর") নামে ডাকা হয়; এগুলিতে যিশুর জীবন, তাঁর মৃত্যু এবং মৃত অবস্থা থেকে তাঁর পুনরুত্থান বর্ণিত হয়েছে।
২০০১ সালের তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে ২.১ বিলিয়ন খ্রীস্ট ধর্মের অনুসারী আছে।<ref name="World">৬.৭&nbsp;বিলিয়ন বৈশ্বিক জনসংখ্যা ৩৩.২%(জনসংখ্যার অধীনে) {{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/xx.html|title=পৃথিবী |publisher=সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট}}</ref><ref name="foreignpolicy.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.foreignpolicy.com/story/cms.php?story_id=3835|title=দ্য লিস্ট: দ্য ওয়ার্ল্ডস ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং রিলিজিয়ন|publisher=ফরেইনপলেসি ডট কম|date= মার্চ, ২০০৭|accessdate=জানুয়ারি ৪, ২০১০}}</ref><ref name="Major Religions Ranked by Size">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.adherents.com/Religions_By_Adherents.html |title=ম্যাজর রিলিজিয়নস র‍্যাংকড বাই সাইজ |publisher=এড্রেহেন্টস|date= |accessdate=২০০৯-০৫-০৫}}</ref><ref name="Global Christianity">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author=এনালাইজিস |url=http://www.pewforum.org/Christian/Global-Christianity-exec.aspx |title=বৈশ্বিক খ্রিস্টিয়ানিটি|publisher=পিফোরাম অর্গ|date=২০১১-১২-১৯ |accessdate=২০১২-০৮-১৭}}</ref> সে হিসেবে বর্তমানে এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্ম।<ref>Hinnells, ''The Routledge Companion to the Study of Religion'', p. 441.</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |title=Study: Christian population shifts from Europe |author=Zoll, Rachel |url=http://www.guardian.co.uk/world/feedarticle/10003271|newspaper=Associated Press |date=December 19, 2011 |accessdate=25 February 2012}}</ref> [[ইউরোপ]], উত্তর ও দক্ষিণ [[আমেরিকা অঞ্চল|আমেরিকা]], সাব-সাহারান আফ্রিকা, ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জ ও ওশেনিয়া অঞ্চলে খ্রীস্ট ধর্ম প্রধান ধর্ম হিসেবে পালিত হয়।
 
বর্তমানে খ্রিস্টধর্মটি বেশ কিছু দলে বিভক্ত। এদের মধ্যে বৃহত্তম দলগুলি হল রোমান ক্যাথলিক গির্জার অনুসারীগণ, পূর্বী প্রথানুবর্তী গির্জার অনুসারীগণ, প্রতিবাদী গির্জাসমূহের অনুসারীগণ। এদের বাইরেও বিশ্বের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন মতের অনেক গির্জা রয়েছে।
প্রথম শতাব্দীতে একটি ইহুদি ফেরকা হিসেবে এই ধর্মের আবির্ভাব। সঙ্গত কারণে ইহুদি ধর্মের অনেক ধর্মীয় পুস্তক ও ইতিহাসকে এই ধর্মে গ্রহণ করা হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তানাখ বা হিব্রু বাইবেলকে খ্রিস্টানরা পুরাতন বাইবেল বলে থাকে। ইহুদি ও ইসলাম ধর্মের ন্যায় খ্রিস্ট ধর্মও আব্রাহামীয়।
 
খিস্টীয় ৪র্থ শতকে নিকায়েয়া-র প্রথম সম্মেলনে বাইবেলে বর্ণিত ঈশ্বর-পিতা, ঈশ্বর-পুত্র ও পবিত্র আত্মা এই তিন সত্তাই যে একই ঈশ্বরের তিন রূপ, এই [[ত্রয়ী]] ধারণাটি গৃহীত হয়। বর্তমানে সিংহভাগ খ্রিস্টান গির্জা ত্রয়ীতে বিশ্বাসী; তবে মূলধারার বাইরে অনেক ছোট ছোট গির্জা এতে বিশ্বাস করে না।
== বহিঃসূত্র ==
 
খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। যিশু হলেন কুমারী মেরি-র মানব সন্তান এবং একই সাথে ঈশ্বরের স্বর্গীয় সন্তান। তারা মনে করে যে যিশু মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তি দিতে কষ্টস্বীকার করেন ও মৃত্যুবরণ করেন<ref name="McGrath4">McGrath, ''Christianity: An Introduction'', p. 4-6.</ref> এবং পরবর্তীতে মৃত অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত হয়ে ফেরত আসেন। এরপর তিনি স্বর্গে আরোহণ করেন। সময়ের যখন সমাপ্তি হবে, তখন যিশু আবার পৃথিবীতে ফেরত আসবেন এবং শেষ বিচারে সমস্ত মানবজাতিকে (মৃত বা জীবিত) বিচার করবেন। যারা যিশুতে বিশ্বাস এনেছে, তারা চিরজীবন লাভ করবে। পবিত্র আত্মা হল ঈশ্বরের আত্মা যা বিভিন্ন নবী বা ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে মানবজাতির সাথে যোগাযোগ করেছে। পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলিতে যে "ত্রাণকর্তা"-র কথা উল্লেখ করা হয়েছে, খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে যিশুই সেই ত্রাণকর্তা। তারা যিশুকে একজন নৈতিক শিক্ষক, অনুকরণীয় আদর্শ এবং প্রকৃত ঈশ্বরকে উদ্ঘাটনকারী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।
 
খ্রিস্টধর্ম প্রথমে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলিতে ইহুদীধর্মের একটি উপ-সম্প্রদায় হিসেবে যাত্রা শুরু করে।<ref name="Robinson">Robinson, ''Essential Judaism: A Complete Guide to Beliefs, Customs and Rituals'', p. 229.</ref><ref name="Esler">Esler. ''The Early Christian World''. p. 157f.</ref> কয়েক দশকের মধ্যে খ্রিস্টে বিশ্বাসী অনুসারীদের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ৪র্থ শতকে এসে এটি সমগ্র রোমান সাম্রাজ্যের প্রধান ধর্মে পরিণত হয়। ইথিওপিয়ার আকসুম সাম্রাজ্য প্রথম সাম্রাজ্য হিসেবে খ্রিস্টধর্মকে রাজ্যধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে। মধ্যযুগে এসে ইউরোপের বাকী অংশগুলিরও খ্রিস্টধর্মায়ন ঘটে। সে সময় খ্রিস্টানরা মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং ভারতের অংশবিশেষেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে বাস করত।<ref>McManners, ''Oxford Illustrated History of Christianity'', p. 301-303.</ref> আবিষ্কারের যুগের পরে উপনিবেশ স্থাপন ও জোরালো ধর্মপ্রচারণার সুবাদে খ্রিস্টধর্ম সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের অন্যত্র (যেমন পূর্ব এশিয়া বিশেষত ফিলিপাইন) ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিস্তৃ অঞ্চলব্যাপী বিরাজমান প্রধান ধর্ম।
 
২১শ শতকের প্রারম্ভে বিশ্বে ২২০ কোটি খ্রিস্টধর্মের অনুসারী ছিল, যা তৎকালীন বিশ্ব জনসংখ্যার (৬৭০ কোটি) ৩৩.২ শতাংশ।<ref>{{cite web |url=http://www.adherents.com/Religions_By_Adherents.html |title=Major Religions Ranked by Size |accessdate=2008-10-01 |work= }}</ref><ref name="World">{{cite web|url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/xx.html|title=World|publisher=CIA world facts}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}