ঈদের নামাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shahidkhan1962 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Shahidkhan1962 (আলোচনা | অবদান)
কিছু কাজ
৩ নং লাইন:
[[File:Eid prayer bd.jpg|thumb|বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রামের ঈদের নামাজ পড়ার দৃশ্য।]]
 
'''ঈদের নামাজ''' আরবীতেআরবী ভাষায় সালাতুল ঈদ ({{lang-ar|صلاة العيد}}) এবং সালাতুল ঈদিন ({{lang-ar|صلاة العيدين}}) নামে পরিচিত।আখ্যায়িত। ঈদ [[মুসলমান|মুসলমানদের]]দের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ঈদের দিন স্রষ্টার উদ্দেশে মুসলমানগণ মাঠে জমায়েত হয়ে যে নামাজ পড়েনপড়ে তাকে ঈদের নামাজ বলা হয়। মুসলমানদের জন্য ঈদের নামাজ সাধারনতআদায় করা ওয়াজিব। ঈদের নামাজ সাধারণত ঈদগাহে পড়া হয়। [[ঈদগাহ]] হচ্ছে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য নির্ধারিত খোলা স্থান। এই স্থানে সাধারনত দুই ঈদঃঈদ যথা [[ঈদুল ফিত্‌র]] এবং [[ঈদুল আযহা|ঈদুল আযহার]] নামাজ আদায় করা হয়।
 
* [[ঈদুল ফিত্‌র]] - (عيد الفطر‎) হিজরী সনের ১০ মাস, [[শাওয়াল]] মাসের প্রথম দিনে উদযাপন করা হয়।
* [[ঈদুল আজহা]] - ( عيد الأضحى‎) ইসলামী বর্ষপঞ্জীর দ্বাদশ মাস জ্বিলহজ্ব মাসের দশম১০ম দিনে উদযাপন করা হয়।
 
==গুরুত্ব==
ঈদের নামাজের ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ ভিন্নবিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। [[হানাফী মাযহাব]] অনুসারে ঈদের নামাজ [[ওয়াজিব]], মালিকি ও শাফেয়ী মাযহাব অনুসারে [[সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ]] এবং হানবলীহাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ।[[ফরজ]]। অনেককোনো মনীষীরইসলামী পণ্ডিতের মতে এটাঈদের নামাজ [[ফরজে আইন]] এবং অনেকেরকোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে এটিঈদের নামাজ [[ফরজে কেফায়া]]। কিন্তু অনেকেরকারো কারো মতে ঈদের দুই রাকায়াত নামাজ নফল।[[নফল]]।
 
== ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ==
ঈদের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজ সাধারণত খোলা মাঠে তথা ঈদগাহে পড়া হয়। তবে এরূপ স্থানের অভাবে মাসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা যায়।
 
 
===সময়===
সূর্য দিগন্ত থেকে আনুমানিক দুই মিটার উচ্চতায় পৌঁছালে ঈদের নামাজ পড়া হয়। [[জোহর]] এর নামাজের আগেই ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। সুন্নাত হিসেবে ঈদুল ফিতরের নামাজ কিছুটা দেরী করে এবং ইদুল আজহার নামাজ দ্রুত আদায় করা হয়। ইদুল ফিতরে [[ফিতরা]] প্রদান করতে হয়। ঈদ সকালে কিছুটা সময় পাওয়া গেলে ফিতরা আদায়ে সুবিধা হবে। অন্যদিকে ঈদুল আজহায় ঈদের নামাজ সম্পন্ন করে [[আল্লাহ]]র উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করা হয়। সেজন্য ঈদের নামাজ যত দ্রুত সম্ভব আদায় করতে হবে। এই ব্যাপারে হাদিসে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।
=== অতিরিক্ত ছয় তাক্ববির ===
 
ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাক্ববির রয়েছে। প্রথম রাক্বাতের শুরুতে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির এবঙ্ দিবতীয় রাক্বাতে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির দিতে হয়। প্রথম রাক্বাতে [[ছানা]] পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে পর পর তিন তাক্ববির দিতে হয়। দ্বিতীয় রাক্বাতে সুরা পাঠান্তে রুকুতে যাওয়ার আঘে অতিরিক্ত তিন তাক্ববির দিতে হয়। অতিরিক্ত তাক্ববির বলার পর কানের লতি থেকে হাত নামিয়ে আনতে হয়।
=== অতিরিক্ত ছয় তাক্ববির===
=== খুৎবা===
ঈদের নামাজে ইমাম কর্তৃক খুৎবা পড়া সুন্নত এবঙ্গ মুসুল্লিদের খুৎবা শোনা ওয়াজিব। জুমার নামাজের ন্যায় প্রথমে বিষয় ভিত্তিক খুৎবা এবঙ্গ পরে সানি খুৎবা পাঠ করতে হয়। খুৎবার মাধ্যমে ঈদের নামাজের সমাপ্তি হয়। সাধারণতঃ খুৎবার পরে দুয়া করা হয়।
==মহিলাদের অংশগ্রহণ==
বেশিরভাগ ইসলামী চিন্তাবিদ মহিলাদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহন করার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশে মহিলাদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহন করার হার তুলনামূলক ভাবে কম।