ড্রাকুলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৩ নং লাইন:
[[চিত্র:Stoker Dracula Notes Personal.jpg|thumb|left| উপন্যাসের চরিত্র সম্পর্কে স্টোকারের স্বহস্তলিখিত নোট।]]
 
এই উপন্যাসখানি প্রধানত বিভিন্ন বর্ণনাকারীর দিনলিপি ও চিঠিপত্রের আকারে লিখিত। এই বর্ণনাকারীরা উপন্যাসের প্রধান চরিত্রও বটে। যে ঘটনাগুলি উপন্যাসের কোনো চরিত্রই সরাসরি প্রত্যক্ষ করেনি, সেগুলি স্টোকার বর্ণনা করেছেন সংবাদপত্র প্রতিবেদনের আকারে। কাহিনির শুরুতেই সদ্য পাস করা ইংরেজ আইনজীবী [[জোনাথান জার্কার]] প্রথমে ট্রেন ও পরে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে [[ট্রানসিলভ্যানিয়া]], [[বুকোভ্যানিও]] ও [[মলডাভিয়া|মলডাভিয়ার]] সীমান্তপ্রদেশে অবস্থিত [[ক্যাপারথিয়ান পর্বতমালা|ক্যাপারথিয়ান পর্বতমালায়]] [[কাউন্ট ড্রাকুলা|কাউন্ট ড্রাকুলার]] নির্জন পোড়ো দুর্গের পথে যাত্রা করছেন। তাঁর এই যাত্রার উদ্দেশ্য হার্কারের নিয়োগকর্তা ইংল্যান্ডের [[এক্সেটর|এক্সেটরের]] পিটার হকিনসের একটি [[রিয়্যাল এস্টেট]] চুক্তি বিষয়ে ড্রাকুলাকে আইনি সহায়তা প্রদান। প্রথমে ড্রাকুলার রাজকীয় চালচলনে বিমোহিত হলেও ক্রমে হার্কার বুঝতে পারেন যে তিনি আসলে এই দুর্গে বন্দী হয়ে পড়েছেন। ড্রাকুলার নৈশজীবনের বিভিন্ন বীভৎস দৃশ্যও তাঁর নজরে আসে। ড্রাকুলা তাঁকে রাত্রে তাঁর কক্ষের বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও এক রাত্রে তিনি কক্ষের বাইরে বেরিয়ে তিন লাস্যময়ীসুদর্শন স্ত্রী ভ্যাম্পায়ারের খপ্পরে পড়েন। এরা ছিল [[ব্রাইডস অফ ড্রাকুলা|ড্রাকুলার বউ]]। শেষ মুহুর্তে কাউন্ট তাঁকে রক্ষা করেন। প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য ও ইংল্যান্ড ও লন্ডন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞানলাভ করার পূর্বে কাউন্ট তাঁকে হত্যা করতে চাইছিলেন না। তাঁর পরিকল্পনা ছিল লন্ডনের লক্ষ মানুষের মধ্যে গিয়ে উপস্থিত হওয়া। হার্কার কোনো মতে প্রাণ হাতে করে দুর্গ থেকে পালিয়ে আসেন।
 
এর কিছুকাল পরেই ''ডিমিটার'' নামে একটি [[রাশিয়া|রাশিয়ান]] জাহাজ [[ভারনা]] থেকে নোঙর তুলে ইংল্যান্ডের [[হুইটবি|হুইটবির]] উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে এক ভয়ানক ঝড়ের কবলে পড়ে। জাহাজের নাবিকেরা সকলেই নিখোঁজ হয়ে যায়। ধরে নেওয়া হয় যে তারা সকলেই মারা পড়েছে। কেবলমাত্র জাহাজের হালের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ক্যাপ্টেনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ক্যাপ্টেনের নথি থেকে জানা যায় যে যাত্রাকালে জাহাজে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকেই জাহাজের মাঝিমাল্লারা একে একে নিখোঁজ হয়ে যেতে থাকে। মনে করা হতে থাকে জাহাজে কোনো অশুভ শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। জাহাজ থেকে একটি বিরাট কুকুরের আকৃতিবিশিষ্ট জানোয়ারকে লাফিয়ে সমুদ্রতীরে নেমে যেতেও দেখা গিয়েছিল। জাহাজের মালের তালিকায় ছিল ট্রানসিলভ্যানিয়া থেকে আসা রুপালি বালি ও "মৌলড" ("mould") বা গুঁড়ো মাটি।<ref>ইংরেজি mould কথাটির অপর অর্থ "জীবদেহমিশ্রিত মাটি" অথবা "কবরের মাটি"</ref>