নাস্তিক্যবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সংশোধন
৮ নং লাইন:
 
শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি বিশ্বাস কে ভ্রান্ত বলে তারা স্বীকার করে। দিনদিন [[মুক্ত চিন্তা]], [[সংশয়বাদ|সংশয়বাদী]] চিন্তাধারা এবং ধর্মসমূহের সমালোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদেরও প্রসার ঘটছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ২.৩% মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় এবং ১১.৯% মানুষ কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না।<ref>"[http://search.eb.com/eb/article-9432620 Worldwide Adherents of All Religions by Six Continental Areas, Mid-2005]". Encyclopædia Britannica. 2005. [http://search.eb.com/eb/article-9432620]. Retrieved on 2007-04-15.</ref> [[জাপান|জাপানের]] ৩১% মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় ।দেয়।<ref name="adherents.com">Zuckerman, Phil. "[http://www.adherents.com/largecom/com_atheist.html Atheism: Contemporary Rates and Patterns]", The Cambridge Companion to Atheism, ed. by Michael Martin, Cambridge University Press: Cambridge, 2005.</ref><ref>However, data from the [http://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2006/71342.htm U.S. State Dept]. may contradict this figure, since 44% are reported as adherents of Shinto, a polytheistic religion, and information was not provided on the number of respondents identifying with multiple categories. (64% atheists/agnostics/non-believers, plus 44% Shintoists, adds up to more than 100%.)</ref> রাশিয়াতে এই সংখ্যা প্রায় ১৩% এবং [[ইউরোপীয় ইউনিয়ন]] এ ১২% নাস্তিক, ৬% ([[ইতালী]]) থেকে শুরু করে ৪৬% থেকে ৮৫% ([[সুইডেন]]) মত।<ref name="adherents.com"/>
 
পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়।<ref>Cline, Austin (2005). "[http://atheism.about.com/b/a/220595.htm Buddhism and Atheism]". [about.com]. [http://atheism.about.com/b/a/220595.htm]. Retrieved on 2006-10-21.</ref> কিন্তু [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ ধর্মের]] মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না তারাও এক প্রকার নাস্তিক ধরতে গেলে। <ref>Kedar, Nath Tiwari (1997). Comparative Religion. Motilal Banarsidass. pp. 50. {{আইএসবিএন|81-208-0293-4}}.</ref> কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে [[ধর্মনিরপেক্ষতা]], হিন্দু ধর্মের দর্শন, [[যুক্তিবাদ]], [[মানবতাবাদ]] এবং [[প্রকৃতিবাদ|প্রকৃতিবাদে]] বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে,নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
১৬ নং লাইন:
একবিংশ শতাব্দীতে কয়েকজন নাস্তিক গবেষক ও সাংবাদিকের প্রচেষ্টায় নাস্তিক্যবাদের একটি নতুন ধারা বেড়ে উঠেছে যাকে "নব-নাস্তিক্যবাদ" বা "New Atheism" নামে ডাকা হয়। [[২০০৪]] সালে [[স্যাম হ্যারিস (লেখক)|স্যাম হ্যারিসের]] ''দি ইন্ড অব ফেইথ: রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন'' বইয়ের মাধ্যমে নব-নাস্তিক্যবাদের যাত্রা শুরু হয়েছে বলে মনে করেন আরেক প্রখ্যাত নব-নাস্তিক [[ভিক্টর স্টেংগার]]। প্রকৃতপক্ষে স্যাম হ্যারিসের বই প্রকাশের পর এই ধারায় আরও ছয়টি বই প্রকাশিত হয় যার প্রায় সবগুলোই নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলারে স্থান করে নিতে সমর্থ হয়। সব মিলিয়ে নিচের বইগুলোকেই নব-নাস্তিক্যবাদী সাহিত্যের প্রধান উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়:
 
১. দি ইন্ড অব ফেইথ: রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন (২০০৪) – [[স্যাম হ্যারিস (লেখক)|স্যাম হ্যারিস]]<br />
২. লেটার টু এ কৃশ্চিয়ান নেশন (২০০৬) – [[স্যাম হ্যারিস (লেখক)|স্যাম হ্যারিস]]<br />
৩. দ্যা গড ডিলিউশন (২০০৬)-[[রিচার্ড ডকিন্স]]<br />
৪. ব্রেকিং দ্যা স্পেল: রিলিজান এ্যাজ এ ন্যাচারাল ফেনোমেনন (২০০৬) – [[ড্যানিয়েল ডেনেট]]<br />
৫. গড: দ্যা ফেইলড হাইপোথিসিস- হাউ সাইন্স সোজ দ্যাট গড ডাজ নট এক্সিস্ট (২০০৭)- [[ভিক্টর স্টেংগার]]<br />
৬. গড ইজ নট গ্রেট: হাউ রিলিজান পয়জনস এভরিথিং (২০০৭) – [[ক্রিস্টোফার হিচেন্স]]<br />
৭. দ্যা নিউ এইথিজম (২০০৯) – [[ভিক্টর স্টেংগার]]