লালকেল্লা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
TaxuxTo (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৬ নং লাইন:
'''লাল কেল্লা''' ([[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]]: '''लाल क़िला'''; [[উর্দু ভাষা|উর্দু]]: ''' لال قلعہ '''; [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: '''Red Fort''') খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রাচীর-বেষ্টিত [[পুরনো দিল্লি]] (অধুনা [[দিল্লি]], [[ভারত]]) শহরে [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সম্রাট]] [[শাহজাহান]] কর্তৃক নির্মিত একটি দুর্গ। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এই দুর্গটি ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। এরপর [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতীয় সরকার]] মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসিত করলে ভারতের রাজধানী [[কলকাতা|কলকাতায়]] স্থানান্তরিত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা এই দুর্গটিকে একটি সামরিক ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করত। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং [[ভারত|ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের]] সার্বভৌমত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক: প্রতি বছর [[ভারতের স্বাধীনতা দিবস|ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস]] উপলক্ষে [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী]] লাল কেল্লার লাহোরি গেট সংলগ্ন একটি স্থানে [[ভারতের জাতীয় পতাকা|জাতীয় পতাকা]] উত্তোলন করে থাকেন। ২০০৭ সালে '''লাল কেল্লা''' ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।
 
১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট শাহজাহান সুবৃহৎ এই কেল্লাটির নির্মাণকার্য শুরু করেন। নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৮৪৮ সালে।<ref>Controversy: Though this fort was thought to be built in 1639, there are documents and a painting available of Shah Jahan receiving the Persian ambassador in 1638 at the jharokha in the Diwan-i-Aam in the Red fort. This painting preserved in the Bodleian Library, Oxford, was reproduced in the Illustrated Weekly of India (page 32) of 14 March 1971. However the painting shows the jharokha at Lahore, and not Delhi. See History of Mughal Architecture, R. Nath, Abhinav Publications, 2006</ref> প্রথম দিকে এই দুর্গের নাম ছিল "কিলা-ই-মুবারক" ("আশীর্বাদধন্য দুর্গ"); কারণ এই দুর্গে সম্রাটের পরিবারবর্গ বাস করতেন। দুর্গটি [[যমুনা নদী|যমুনা নদীর]] তীরে অবস্থিত। এই নদীর জলেই পুষ্ট হত দুর্গপ্রকারের পরিখাগুলি। দুর্গের উত্তর-পূর্ব কোণের প্রাচীর [[সালিমগড় দুর্গ]] নামে অপর একটি প্রাচীন দুর্গের সঙ্গে সংযুক্ত। ১৫৪৬ সালে [[ইসলাম শাহ সুরি]] এই প্রতিরক্ষা দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। লাল কেল্লার পরিকল্পনা ও সাজসজ্জা শাহজাহানের শাসনকালে মুঘল স্থাপত্য ও চিত্রকলার উৎকর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রকৃতপক্ষে লাল কেল্লা ছিল দিল্লি ক্ষেত্রের সপ্তম নগরী তথা শাহজাহানের নতুন রাজধানী শাহজাহানাবাদের রাজপ্রাসাদ। পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি দিল্লি থেকে [[আগ্রা]] শহরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিলেন। ১৭৮৩ সালের ১১ মার্চ [[শিখ|শিখরা]] সাময়িকভাবে লাল কেল্লায় প্রবেশ করে [[দিওয়ান-ই-আম]] দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছিল।
 
লাল কেল্লায় বসবাসকারী শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর। [[১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ|১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের]] ব্যর্থতার পর ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর লাল কেল্লা পরিত্যাগ করেন। পরে তিনি ব্রিটিশ বন্দী হিসেবে এই দুর্গে ফিরে আসেন। এখানেই ১৮৫৮ সালের ২৭ জানুয়ারি তাঁর বিচার শুরু হয় এবং ৭ অক্টোবর তাঁকে নির্বাসন দণ্ড দেওয়া হয়। এরপর লাল কেল্লার কর্তৃত্ব ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। তারা এটিকে একটি [[ক্যান্টনমেন্ট]] হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৪৫ সালে [[আজাদ হিন্দ ফৌজ|আজাদ হিন্দ ফৌজের]] পরাজয়ের পর লাল কেল্লাতেই যুদ্ধবন্দীদের বিচার হয়। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই কেল্লাটি ছিল [[ভারতীয় সেনাবাহিনী|ভারতীয় সেনাবাহিনীর]] নিয়ন্ত্রণাধীন।