বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Titodutta-এর করা 2589441 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ইতিহাস
১ নং লাইন:
{{unreferenced|https://www.moitribd.org=}}বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে, শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগামে ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’ এদেশের ছাত্র সমাজের কাছে প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন। মেহনতী জনতার সাথে একাত্ম হওয়ার রাজনৈতিক দিশা নিয়ে, মেহনতী মানুষের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাহসী ভূমিকার ইতিহাস রচনা করেছে ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’। মহান ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাসের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার, সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান নিয়ে ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল গড়ে উঠে তৎকালীন ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন’। তারই ধারাবাহিকতা এবং উত্তরাধিকার ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’।
{{unreferenced}}
৬০ দশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলা ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন’ থমকে দাঁড়ায় কমিউনিষ্ট আন্দোলনের আন্তর্জাতিক মহাবির্তকে। বিভক্ত হয় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন। আপোষকামিতা ও সুবিধাবাদকে পরিহার করে সাম্রাজ্যবাদ, স্বৈরাচার এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আপোষহীনভাবে এগিয়ে নিয়েছেন ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর’ পূর্বসূরীরা। ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আসাদ আমাদের গর্ব। ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ৮০’র দশক জুড়ে স্বৈরশাসন উৎখাত ও পরবর্তীকালের প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লড়াইয়ের লাখো শহীদ আমাদের প্রেরণা।
[[File:Bangladesh Students Solidarity.jpg|thumb|বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর দেয়াল লিখন]]
এদেশের প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে ধারাবাহিক ভাঙ্গন আমাদের আন্দোলনের ঐতিহ্যকে নিঃশেষ করছিল। সাম্রাজ্যবাদ, স্বৈরাচার এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের এ রকম ক্রান্তিকালে, ১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের একীভূত হওয়ার আহ্বান বুকে ধারণ করে তৎকালীন প্রগতিশীল চারটি ছাত্র সংগঠন ‘জাতীয় ছাত্র আন্দোলন’ ‘জাতীয় ছাত্র দল’ দু’টি অংশ এবং ‘বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন’ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’ গঠন করে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের ধারাকে শক্তিশালী করে। অতীতের ভুল-ভ্রান্তিকে সচেতনতার সাথে এড়িয়ে ঐক্যের ধারাবাহিক সংগ্রামে ১৯৮১ সালে ‘জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নে’র একটি অংশ, ১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন’ এর একটি অংশ মিলিত হয়ে ‘বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’ নাম ধারণ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল  ‘বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন’ এর আরেকটি অংশের ঐক্যের মধ্য দিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’ সুস্থ ধারা ছাত্র আন্দোলনে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর ঐক্যের মোহনায় মিলেছে ‘জাতীয় ছাত্র সংসদ’।
'''বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন হতে নানা বিভক্তি ও একীকরণের মাধ্যমে এই দলটির উদ্ভব ঘটেছে।
ঐক্যের ধারায় বিকশিত ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন’, ১৯৯২ সালের ২৩-২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনকে আরো বেগবান করে। উল্লেখ্য: ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে ‘বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন’ ও ‘বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন’র খ-িত অংশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গঠন করে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন’। ১৯৮৭ সালের আগস্টে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নের ঐক্যের মোহনায় মিলিত হয় ‘ছাত্র ঐক্য ফোরাম’।
 
মেহনতী জনতার সাথে একাত্ম হওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে সমাজ বিপ্লবের সহযোগী শক্তি হিসেবে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের ঐক্যের সংগঠন ‘[https://www.moitribd.org বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী]’। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক কেএএম জুয়েল।
পুর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন সংগঠনটি ষাটের দশকে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের বিভক্তির ফলশ্রুতিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এর এক অংশ ছিলো পিকিংপন্থী (মেনন গ্র“প) আর অন্যটি মস্কোপন্থী (মতিয়া গ্র“প)। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে-পরে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের এই অংশগুলো আদর্শিক দ্বন্দ্বে বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জাতীয় ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় ছাত্র দলের দুই অংশ এবং বাংলা ছাত্র ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।
এটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ রুবেল।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}