এই গ্রামটিতে প্রায় ২০০০ বছর আগে থেকে মানুষ বাস করতো।
ঐতিহাসিক ঘটনা
==মঙ্গলকোটের ভাস্কর্য==
মঙ্গলকোটে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮১-৮৩ সালে উৎখননের মাধ্যমে এক হাজারেরও বেশি প্রত্ননিদর্শন আবিষ্কার করে। প্রত্ননিদর্শনগুলো গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগের পোড়ামাটির ভাস্কর্য। ভাস্কর্যগুলোর গড় উচ্চতা ০.০৬১ মিটার এবং সেগুলোর প্রায় অধিকাংশই সর্পদেবী [[মনসা|মনসার]] আবক্ষ নারী মূর্তি।<ref name="বাংলাপিডিয়া" />
এখানে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ভাস্কর্যগুলো গুপ্ত কালে পুন্ড্রবর্ধনভূক্তিতে ধ্রুপদী শিল্পচর্চার উচ্চমার্গীয় ইতিহাসকে সামনে এনেছে। বাংলা অঞ্চলে পাথরের কোন উল্লেখযোগ্য উৎস ছিলো না। তাই শিল্পী পাথরের বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করেছিলো পোড়ামাটির মাধ্যমকে, আর অসাধারণ শৈল্পিক দক্ষতায় তৈরি করেছিলো কালোত্তীর্ণ সব ভাস্কর্য। অনেক ক্ষেত্রেই তা অতিক্রম করেছিল প্রস্তর ভাস্কর্যের শিল্প সুষমাকে। আর এ ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা পরবর্তী সময়ে লক্ষ করা যায় উত্তরবঙ্গে পাল যুগের এবং দেব, চন্দ্র আমলে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গের পোড়ামাটির ফলকচিত্রে এবং খানিকটা ভিন্ন রুপে সুলতানি আমলের বাংলায়।<ref name="বাংলাপিডিয়া">{{cite web | title = মঙ্গলকোটের ভাস্কর্য | work = [[বাংলাপিডিয়া]] | publisher = [[বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]] | url = http://bn.banglapedia.org/index.php?title=মঙ্গলকোটের_ভাস্কর্য | accessdate = ২ মার্চ ২০১৫}}</ref>