মুশতাক মোহাম্মদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
শৈশবকাল - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৮৯ নং লাইন:
}}
 
'''মুশতাক মোহাম্মদ''' ({{lang-ur|'''مشتاق محمد'''}}; [[জন্ম]]: [[২২ নভেম্বর]], [[১৯৪৩]]) তৎকালীন [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] জুনাগড় ও মনবদর (বর্তমান: [[গুজরাত]], ভারত) এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের সাবেক, বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা এবং অধিনায়ক। ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৯ সময়কালে [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তান ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ [[অল-রাউন্ডার]] হিসেবে খেলতেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও লেগ স্পিনার ছিলেন তিনি।
 
সাম্প্রতিককালে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলকে]] প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এরপর পাকিস্তান টেলিভিশনে ধারাভাষ্য কর্মে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে দেশে ফিরে আসেন।
 
== শৈশবকাল ==
শৈশবে করাচীর চার্চ মিশন স্কুলে (সিএমএস) ভর্তি হন।<ref name=SharifDawnRest>Sharif, Azizullah. "[http://www.dawn.com/news/521273/karachi-restoration-of-church-mission-school-ordered KARACHI: Restoration of Church Mission School ordered]" ([https://www.webcitation.org/6PqX0t8r5?url=http://www.dawn.com/news/521273/karachi-restoration-of-church-mission-school-ordered Archive]). ''[[Dawn (newspaper)|Dawn]]''. 20 February 2010. Retrieved on 26 May 2014.</ref> মা ‘আমির বি’ ভারতের স্বাধীনতার পূর্বেকার জাতীয় ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিসের শিরোপাধারী ছিলেন। ভারত বিভাগের পর তাঁদের পরিবার করাচিতে চলে যায়। হানিফ, সাদিক এবং ওয়াজির - ভাইত্রয় সকলেই পাকিস্তানের দলের হয়ে খেলেছেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে মুশতাকের অবস্থান তৃতীয়। ভাইপো শোয়েব মোহাম্মদ ও ভাই রইছ মোহাম্মদ একসময় পাকিস্তান দলের দ্বাদশ খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁর চার ভাইপো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৩ বছর ৪১ দিন বয়সে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] মুশতাক মোহাম্মদের অভিষেক ঘটে। ঐ খেলায় তিনি ৮৭ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৫/২৮ লাভ করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে করাচী ও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
 
এছাড়াও, ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে [[Northamptonshire County Cricket Club|নর্দাম্পটনশায়ারের]] সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। প্রত্যেক মৌসুমেই সহস্রাধিক রান তুলেছেন। ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের সফরকালীন কাউন্টি দলে অবস্থান করেন। এ সময়ে সফরকারী দলের পক্ষে কেবলমাত্র টেস্ট খেলাগুলোয় অংশ নিতেন ও অল্প কিছু অন্যান্য খেলায় অংশগ্রহণ ছিল তাঁর।
 
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে নর্দাম্পটনশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মুশতাক মোহাম্মদ। তন্মধ্যে, ১৯৭৬সালে জিলেট কাপের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে কাউন্টির ইতিহাসের প্রথম ট্রফি লাভের স্মরণীয় জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ঐ বছরই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে দ্বিতীয় স্থান দখল করে সেরা অবস্থানে ভাগ বসান।
 
তবে তাঁর অধিনায়কের দায়িত্বকাল কিছুটা বিতর্কের মাধ্যমে শেষ হয়। ১৯৭৮ সালের উইজডেন সংস্করণে উল্লেখ করা হয় যে, মুশতাক পদত্যাগ করেছেন। এতে তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কথা তুলে ধরেন ও কিছুটা গুজব রয়েছে যে, সাবেক অধিনায়কের দায়িত্ব পালনকারী জিম ওয়াটসকে পুণরায় দায়িত্ব দেয়া হবে।
 
মুশতাক মোহাম্মদ অস্ট্রেলিয়ায় খেলার জন্য প্যাকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু, কাউন্টি দলের সভাপতি বিশ্রাম কক্ষে রাজনীতি করার বিষয়ে কটাক্ষ করেন। এরপর নর্দান্টসের পক্ষে আর খেলেননি তিনি।
 
সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ৫০২ খেলায় অংশ নিয়ে ৭২টি শতক হাঁকিয়েছেন মুশতাক মোহাম্মদ। প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে ২৫,০০০ রান তুলেন ও অবসর গ্রহণ শেষে এ রান দাঁড়ায় ৩১,০৯১। অর্ধেকেরও অধিক রান তুলেছিলেন নর্দাম্পটনশায়ারে খেলে। তন্মধ্যে, অপরাজিত ৩০৩ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল। রিস্ট স্পিনার হিসেবে লেগ ব্রেক, গুগলি ও ফ্লিপার বোলিং করতেন।
 
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৭ টেস্ট ও ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার সুযোগ হয় তাঁর।
১১২ ⟶ ১২৫ নং লাইন:
{{s-start}}
{{succession box|
before= [[Asifআসিফ Iqbalইকবাল (cricketer, born 1943ক্রিকেটার)|আসিফ ইকবাল (ক্রিকেটার)]]|
title= [[Pakistani national cricket captains|পাকিস্তানী ক্রিকেট অধিনায়ক]]|
years= ১৯৭৮–১৯৭৯|