পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{DISPLAYTITLE:পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন}}
[[চিত্র:reflexion totale interne.png|thumb|250px|পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের জ্যামিতিক চিত্র। আপতন কোণ যত বেশি হবে, আলোও অভিলম্ব থেকে তত দূরে বেঁকে যাবে. (চিত্রে বিভিন্ন রঙের রশ্মি ব্যবহার করা হয়েছে বোঝার সুবিধার জন্য, আলোকরশ্মির রংএর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।)|alt=]]
[[চিত্র:Total internal reflection.jpg|thumb|250px|পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন|alt=]]
 
১১ ⟶ ১০ নং লাইন:
 
== সংকট কোণ ==
<p style="font-family:times new roman">নির্দিষ্ট রঙের আলোক রশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রতিসরিত হওয়ার সময় আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান এক সমকোণ হয় অর্থাৎ প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদ তল ঘেঁষে চলে যায় তাকে ঐ রঙের জন্য হালকা মাধ্যমের সাপেক্ষে ঘন মাধ্যমের সংকট কোণ বা ক্রান্তি কোণ ([[:en:critical angle (optics)|critical angle]]) বলে।</p>
[[চিত্র:TIR in PMMA.jpg|thumb|250px|PMMA-তে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন|alt=]]</p>
 
<p style="font-family:times new roman">সংকট কোণ বা ক্রান্তি কোণকে ''&theta;<sub>c</sub>'' দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ''&theta;<sub>c</sub> = sin<sup>-1</sup> (n<sub>1</sub>/n<sub>2</sub>)''</p>
== ব্যবহার ==
{{Main|অপটিক্যাল ফাইবার}}
[[চিত্র:TIR in PMMA.jpg|thumb|302x302px|PMMA-তে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন|alt=]]অপটিকাল ফাইবার হল একধরনের অতিসূক্ষ্ম এবং নমনীয় কাচ তন্তু। এর মাধ্যমে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতফলনের ধর্মকে কাজে লাগিয়ে আলো বহনের কাজ করা হয়। আলোক রশ্মি যখন কাচ তন্তুর এক প্রান্তদিয়ে প্রবেশ করে তখন তন্তুর ভিতরের পৃষ্ঠে বারাবার এর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে ঠিক যতক্ষন না তা অপর প্রান্ত দিয়ে নির্গত হয়। এভাবে আলোকরশ্মি ফাইবারটির সম্পুর্ণ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে। চিকিৎসকরা মানবদেহের বিশেষ কোন অংশ পরীক্ষা করতে অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে থাকেন।
== দৈনন্দিন জীবন থেকে উদাহরণ ==
* [[মরিচীকা]]-র দৃষ্টিভ্রম
* জলের নিচে থেকে উপরের পৃষ্ঠের দিকে তাকালে [[দর্পণ|দর্পণের]] মতো দেখায়
[[চিত্র:Total_internal_reflection_of_Chelonia_mydas.jpg|পানির উপিরতেল পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন|thumb]]
 
== মরীচিকার দৃষ্টিবিভ্রম ==
[[চিত্র:Mirage_-.png|থাম্ব|304x304পিক্সেল|মরীচিকার দৃষ্টিবিভ্রম]]
মরীচিকা হচ্ছে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল। মরুভূমির উপরের স্তরে বাতাসের ঘনত্ব বেশি, তাই প্রতিসরণাঙ্ক বেশি। নিচের স্তরে বাতাস উত্তপ্ত কম, তাই প্রতিসরণাঙ্কও কম। যদিও উত্তপ্ত বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, কিন্তু মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর কারণে তার কাছাকাছি বাতাস উপরের বাতাস থেকে উত্তপ্ত থাকে। মরুভূমির কোনো গাছ থেকে আলো প্রতিটি স্তরে প্রতিসরিত হওয়ার সময় প্রতিসরণ কোণ বেড়ে যায় এবং একেবারে শেষের স্তরে এসে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়ে যেতে পারে। বেশি প্রতিসরণাঙ্কের থেকে কম প্রতিসরণাঙ্কের মাধ্যমে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখা হলে আপতন কোণের মান বেশি হওয়ার কারণে ক্রান্তি কোণকে অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই মরীচিকাকে দূর থেকে দেখা যায়, কাছে এলে দেখা যায় না। যেহেতু কোনো মানুষ দূরের একটি গাছের দিকে তাকালে সরাসরি গাছটি দেখতে পাবে এবং পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কারণে কারণে গাছের একটি প্রতিবিম্ব গাছের নিচেও দেখতে পাবে। মনে হবে নিচে পানি আছে। কাছে গিয়ে দেখা যাবে কোনও পানি নেই।
 
== তথ্যসূত্র ==
 
== {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=জুলাই,২০১৮}} ==
[[বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান]]