চন্দ্রকেতুগড়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন:
এরপর, ১৯০৭ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সম্পাদক ও পুরাবিদ নৃপেন্দ্রনাথ বসু এবং ১৯০৯ সালে খ্যাতনামা প্রত্নতত্ত্ববিদ [[রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়]] স্থানটি পরিদর্শন করেন। রাখালদাসই সর্বপ্রথম চন্দ্রকেতুগড়ের প্রাচীনত্ব ও গুরুত্ব সম্যকভাবে উপলব্ধি করে এই প্রত্নস্থল সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু, সেসময় কিছু মূল্যবান প্রত্নবস্তু পাওয়া গেলেও কোনো উৎখনন সংঘটিত হয়নি৷ ১৯২২-২৩ সালের ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের বার্ষিক প্রতিবেদনে কাশীনাথ দীক্ষিত লেখেন, "চন্দ্রকেতুগড় বাংলার প্রাচীনতম জনবসতিগুলির অন্যতম।"
 
১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রত্নতত্ত্ব-বিষয়ক "আশুতোষ সংগ্রহশালা"র প্রতিষ্ঠা হয়। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর, ১৯৫৭ সালে [[আশুতোষ সংগ্রহশালা]]র উদ্যোগে [[জয়নগর- মজিলপুর]]-এর তৎকালীন জমিদার ও পুরাতাত্ত্বিক কালিদাস দত্তের প্রেরণায় এখানে প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন শুরু হয়। ১৯৬৭-৬৮ সাল পর্যন্ত এর নিরবিচ্ছিন্ন খননে নেতৃত্ব দেন কুঞ্জবিহারী গোস্বামী ও তাঁর সহযোগীরা। প্রত্নস্থলটিতে বৈজ্ঞানিক 'উলম্ব খনন' (কৌশল: হুইলার খুপরি পদ্ধতি) সাধিত হয়েছিল।
 
প্রথম বছরে উৎখননে দুর্গ-নগরীর ধ্বংসাবশেষ উদ্ঘাটিত হয় এবং প্রাচীন ভারতের দ্বিতীয় নগরায়নের সমসাময়িক প্রাক-মৌর্য (খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-৩০০ অব্দ) থেকে গুপ্তযুগের পাঁচটি অধিবসতি স্তর আবিষ্কৃত হয়। উৎখননের দ্বিতীয় বছরে 'খনা-মিহিরের ঢিবি' থেকে প্রাক-গুপ্তযুগ থেকে পাল-পরবর্তী যুগ পর্যন্ত প্রত্নদ্রব্য আবিষ্কৃত হয়। এখান থেকেই গুপ্তযুগের উত্তরমুখী মন্দির ও মন্দিরগুচ্ছের বিভিন্ন অংশ এবং সাতটি অধিবসতি স্তরের সন্ধান মেলে (প্রাক-NBP, NBP সংস্কৃতি, NBP পরবর্তী (শুঙ্গ যুগ), শুঙ্গ-কুষাণ যুগ, গুপ্তযুগ, গুপ্তযুগের শেষ ও গুপ্ত-পরবর্তী যুগ)। চতুর্থ বছরে ইটাখোলা ঢিবি খনন করা হয় (এখানে প্রাক-NBP ও শুঙ্গ-কুষাণ যুগের অধিবসতি স্তরের হদিশ মেলে; এর NBP স্তরেই উদ্ঘাটিত হয় ভূগর্ভস্থ পোড়ামাটির নলের পয়ঃপ্রণালী)।