বিজ্ঞানের দর্শন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
বিষয়বস্তু যোগ
১২ নং লাইন:
 
অধ্যয়ন বা ভাবনা-চিন্তার কোনো ক্ষেত্র, যে ক্ষেত্রই অন্যথা লাভ করতে না পারার বৈধতার দাবী করার প্রচেষ্টাতে বিজ্ঞানের ছদ্মবেশ ধারণ করে, সেই অধ্যয়ন বা ভাবনা চিন্তাকে [[অপবিজ্ঞান]], পার (ফ্রিঞ্জ — fringe)) বিজ্ঞান বা আবর্জনা বিজ্ঞান বলা হয়।<ref>"''Pseudoscientific&nbsp;– pretending to be scientific, falsely represented as being scientific''", from the ''Oxford American Dictionary'', published by the Oxford English Dictionary; Hansson, Sven Ove (1996)."</ref> ভৌতবিজ্ঞানী [[রিচার্ড ফাইনমেন|রিচার্ড ফেইনমেন]] এমন ঘটনাসমূহের জন্য, যে ঘটনাসমূহে গবেষণাকারীবৃন্দ তাঁদের কার্যকে বিজ্ঞান বলে ভাবেন, কিন্তু আসলে বাইরে থেকে বৈজ্ঞানিক আবরণ থাকলেও কার্যসমূহে কাঠিন্যের মূল্যায়ন করার যোগ্য "চরম সততা" থাকে না, সেগুলিকে মাল-পন্থ বিজ্ঞান (কার্গো-কাল্ট সায়েন্স — cargo-cult science) সংজ্ঞা ব্যবহার করেছিলেন।
 
=== বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ===
অন্য এক প্রশ্ন হল "ভাল [[বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা]] কাকে বলা হয়?"। [[ভবিষ্যত]]ের ঘটনার পূর্বানুমান করা ছাড়াও, [[সমাজ|সমাজ]] প্রায়ই বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহের সহায়তায় বর্তমানে ঘটে থাকা এবং পূর্বে ঘটিত ঘটনার ব্যাখ্যা তুলে ধরে। দার্শনিকগণ বৈজ্ঞানিক সূত্র কোনো এক ঘটনাকে সফলভাবে ব্যাখ্যা করছে কি না এবং এটি বৈজ্ঞানিক সূত্রের ব্যাখ্যার শক্তি আছে কি না, তা নির্ণয় করার মাপ-কাঠি অনুসন্ধান করে চলেছেন।
 
একটি আগেকার সময় থেকে চলে আসা প্রভাবশালী বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সূত্র হল ন্যায়িক-নোমলজিকাল মডেল। এই মডেল অনুসারে, এক সফল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রশ্নোদ্ধৃত ঘটনায় কোনো এক বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তিতে উপনীত হতে হয়।<ref name="Hempel1948">{{Cite journal|last=Hempel|first=Carl G.|authorlink=Carl Hempel|author2=Paul Oppenheim|year=1948|title=Studies in the Logic of Explanation|journal=Philosophy of Science|volume=15|pages=135–175|doi=10.1086/286983|issue=2}}</ref> এই ধারণাকে বারংবার সমালোচনা করা হয়েছে এবং অনেক অভ্যুদাহরণ বহুলভাবে স্বীকৃত।<ref name="Salmon1992">{{Cite book|last=Salmon|first=Merrilee|author2=John Earman, Clark Glymour, James G. Lenno, Peter Machamer, J.E. McGuire, John D. Norton, Wesley C. Salmon, Kenneth F. Schaffner|title=Introduction to the Philosophy of Science|year=1992|publisher=Prentice-Hall|isbn=0-13-663345-5}}</ref> বিশেষত, ব্যাখ্যা সনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে যখন ব্যাখ্যা করাকালীন বস্তুত কোনো সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তিতে উপনীত হতে পারা না যায়। কারণ এটি কেবল সুযোগের বস্তু, বা একে যা জনা যায় তা সঠিকভাবে পূর্বানুমান করতে পারা যায় না। [[বেস্লি সেল্মন]]ের মতে, একটি ভাল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পরিসংখ্যানভাবে ব্যাখ্যা করতে ফলাফলের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়।<ref name="Salmon1971">{{Cite book|last=Salmon|first=Wesley|title=Statistical Explanation and Statistical Relevance|year=1971|location=Pittsburgh|publisher=University of Pittsburgh Press}}</ref><ref name="Woodward2003">{{Cite web|url=http://plato.stanford.edu/entries/scientific-explanation/|title=Scientific Explanation|accessdate=2007-12-07|last=Woodward|first=James|year=2003|work=Stanford Encyclopedia of Philosophy}}</ref> অন্যান্য মতে, ভাল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার চাবি হল ভিন্ন ভিন্ন ঘটনাকে একই ব্যাখ্যা দ্বারা বোঝানো।
 
=== বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ===
বিজ্ঞান প্রকৃত সত্য প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে, এমন কোনো প্রশ্ন নেই যার উত্তর বিজ্ঞান প্রদান করতে না পারে? বৈজ্ঞানিক বাস্তববাদীদের মতে, বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য সত্য প্রকাশ করা হওয়া উচিত এবং মানুষকে বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহকে সত্য, প্রায় সত্য বা সম্ভাব্য সত্য রূপে গণ্য করতে হয়। তার বিপরীতে বৈজ্ঞানিক অ-বাস্তববাদীগণ তর্ক করেন যে, বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য সত্য নয় (অন্ততঃ সত্যে উপনীত হতে পারে না) এবং বিশেষত অপর্যবেক্ষণীয়সমূহের সত্য, যেমন [[ইলেক্ট্রন]] বা অন্য [[ব্রহ্মাণ্ড]]ের সত্য বিজ্ঞান প্রকাশ করতে পারে না।<ref name="Levin1984">{{Cite book|last=Levin|first=Michael|editor=Jarrett Leplin|title=Scientific Realism|year=1984|publisher=University of California Press|location=Berkeley|isbn=0-520-05155-6|pages=124–1139|chapter=What Kind of Explanation is Truth?}}</ref> বাদকসলক তর্ক করেন যে, বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহকে ব্যবহারযোগ্যতার ওপরেই মূল্যাংকন করতে হয়। এই দৃষ্টিতে, বৈজ্ঞানিক সূত্র সত্য না মিথ্যা সেটি আলোচনার বিষয় নয়, কারণ বিজ্ঞানকে সঠিক পূর্বানুমান এবং প্রভবশালীপ্রভাবশালী প্রযুক্তি নির্মাণ করতেই ব্যবহার করা হয়।
 
বাস্তববাদীগণ প্রায় নতুন সূত্রসমূহের সফলতার কথা বলেন — সত্যের (বা সত্যের কাছের) সাক্ষ্যরূপে।<ref name="Boyd2002" /><ref>Specific examples include: