কাজী আরেফ আহমেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সংশোধন, তথ্যসূত্র, হালনাগাদ, টেমপ্লেট |
||
১৪ নং লাইন:
| spouse = রওশন জাহান সাথী
}}
'''কাজী আরেফ আহমেদ''' (জন্ম: [[৮ এপ্রিল]] [[১৯৪২]] - মৃত্যু: [[১৬ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৯৯]]) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি [[১৯৬২]] সালে ছাত্রলীগের গোপন সংগঠন 'স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8|title=সিরাজুল আলম খান|last=আলম খান|first=সিরাজুল|date=২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮|website=সিরাজুল আলম খান|publisher=উইকিপিডিয়া|access-date=২৪ মার্চ ২০১৮}}</ref> কেন্দ্রীয় [[সিরাজুল আলম খান|নিউক্লিয়াসের সদস্য]]<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.bd-pratidin.com/editorial/2017/01/16/200354|title=জাতীয় বীর কাজী আরেফ আহমেদ|last=আহমেদ|first=শফি|date=
২৭ নং লাইন:
[[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্বপাকিস্তান]] ছাত্রলীগের মধ্যে সুস্পষ্ট দু’টি ধারা বিদ্যমান ছিল। একটি ছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে নিজস্ব রাজনীতির ধারা এবং অপর অংশের ঝোঁক ছিল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রতি। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নিজস্ব রাজনীতির ধারার তিনজন ছাত্রনেতা [[১৯৬২]] সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে গোপন সংগঠন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করেন। তিন সদস্যের এই ক্ষুদ্র সত্তা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের ‘নিউক্লিয়াস’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিউক্লিয়াসের তিনজন সদস্য ছিলেন [[সিরাজুল আলম খান]], [[আব্দুর রাজ্জাক (রাজনীতিবিদ)|আব্দুর রাজ্জাক]] ও কাজী আরেফ আহমেদ। এরা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরের প্রগতিশীল অংশের মধ্যে থেকে প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী সংগ্রহ করে সারাদেশে একটি সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলেন। নিউক্লিয়াসের কাজ ছিল, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে যাবতীয় নীতি-কৌশল প্রনয়ণ করা এবং স্বাধীকার আন্দোলনকে সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়া। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সর্বময় কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা ছিল এই তিন ছাত্রনেতার কাছে। দেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচি বিশেষত শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঘোষিত ছয় দফা, ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের এগারো দফার আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনকে গণরূপদানের মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা। একইসাথে জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করা ছিল নিউক্লিয়াসের<ref name=":1">ষাট দশকের ছাত্ররাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি লেখক কে বি এম মফিজুর রহমান খান</ref> অন্যতম কাজ। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তৈরি, ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ [[বাধীনতার ইশতেহার|স্বাধীনতার ইশতেহার]] পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন, জয়বাংলা বাহিনী গঠন এবং তার কুচকাওয়াজ ও বঙ্গবন্ধুকে সামরিক অভিবাদন জানানো, সবই ছিল স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ। বিপ্লবী পরিষদের সকল কর্মকাণ্ডের প্রতি বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবর রহমানে]]<nowiki/>র প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন ছিল।
নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে [[১৯৬৪]] সালে কাজী আরেফ আহমেদের পৈত্রিক নিবাস পুরনো ঢাকার [[১৪/৩ অভয় দাস লেনে]]<nowiki/>র বাড়িতে একটি সাইক্লোস্টাইল মেশিন স্থাপন করা হয়। এ মেশিনে মূদ্রিত ‘জয়বাংলা’ ও ‘বিপ্লবী বাংলা’<ref name=":1" /> নামে স্বাধীনতার ইশতেহার<ref name=":1" /> প্রচার করা হতো। নির্দেশ ছিল যে এ ইশতেহার পড়ার পর পুড়িয়ে বা ছিঁড়ে ফেলতে হবে। নিউক্লিয়াস সদস্যদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের অন্যতম দায়িত্ব ছিলো শেখ মুজিবুর রহমান ও [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|আওয়ামী লীগে]]<nowiki/>র সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে নিউক্লিয়াসের<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8|title=সিরাজুল আলম খান|last=উইকিপিডিয়া|first=সিরাজুল আলম খান|date=২৫-২-২০১৮|website=উইকিপিডিয়া|publisher=উইকিপিডিয়া|access-date=২৪
==ছয়দফা ও এগারো দফা==
|