স্নায়ুযুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Yogabrata Chakraborty (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Yogabrata Chakraborty (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{unreferenced|date=ফেব্রুয়ারি ২০১২}}
[[File:Berlin Wall 1961-11-20.jpg|thumb|১৯৬১ সালে [[পূর্ব জার্মানি|পূর্ব জার্মানি]] কর্তৃক নির্মাণাধীন [[বার্লিন দেয়াল]]]]
'''স্নায়ুযুদ্ধ''' বা '''শীতলযুদ্ধ''' বা '''ঠান্ডা লড়াই'''({{lang-en|Cold War; {{lang-ru|холо́дная война́, ''kholodnaya voĭna''}}}}) হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রসমূহ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্রসমূহের মধ্যকার টানাপোড়েনের নাম। ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৮০'র দশকের শেষ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিল। প্রায়প্রায়K পাঁচ দশকব্যাপী সময়কালে এই দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যকার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রাজনৈতিক মতানৈক্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির চেহারা নিয়ন্ত্রণ করত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশসমূহ ছিল [[গণতন্ত্র]] ও পুঁজিবাদের স্বপক্ষে; আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্র দেশসমূহ ছিল সাম্যবাদী বা সমাজতন্ত্রপন্থী। স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান মিত্র ছিল [[যুক্তরাজ্য]], [[ফ্রান্স]], পশ্চিম জার্মানি, [[জাপান]] ও [[কানাডা]]। আর [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] পক্ষে ছিল পূর্ব ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র, যেমন [[বুলগেরিয়া]], [[চেকোস্লোভাকিয়া]], [[হাঙ্গেরি]], [[পোল্যান্ড]], পূর্ব জার্মানি ও [[রোমানিয়া]]। স্নায়ুযুদ্ধের কিছুকাল যাবৎ [[কিউবা]] এবং [[চীন]] সোভিয়েতদের সমর্থন দেয়। যেসমস্ত দেশ দুই পক্ষের কাউকেই সরকারিভাবে সমর্থন করত না, তাদেরকে নিরপেক্ষ দেশ বলা হত। [[তৃতীয় বিশ্ব|তৃতীয় বিশ্বের]] নিরপেক্ষ দেশগুলি [[জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন|জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের]] অংশ ছিল। অবশেষে [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] নাটকীয় পরিবর্তন ও পতনের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সমাপ্তি হয়।
 
এই বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনাকে ইংরেজিতে 'Cold War' কথাটি দিয়ে সর্বপ্রথম সূচিত করেন মার্কিন সাংবাদিক [[ওয়াল্টার লিপমান]], ১৯৪৭ সালে, তাঁর একই শিরোনামের বইতে।
৮ নং লাইন:
* ঠান্ডা লড়াই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনাপর্ব, মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সমগ্র বিশ্ব দুইটি শিবিরে ভাগ হয়ে যায় যথা 1. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট এবং 2. সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক শিবির. বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পর্বে মার্কিন আধিপত্যবাদ এর সূচনা হয় এবং হিরোশিমা ও নাগাসাকি আণবিক বিস্ফোরণ এর মধ্যে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পারমানবিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করে ফলে মার্কিন এই ঔদ্ধত্য রুশ শিবিরকে ঠান্ডা যুদ্ধে সামিল করে. বিশ্ব অর্থনৈতিক দিকে থেকে superpower বা শক্তিশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই রুশ আধিপত্যবাদ এর বিনাশ সাধনে অগ্রসর হয় এবং চার্চিল এর ফালটন বক্তৃতা ও 1947 এর মার্শাল পরিকল্পনা র মধ্যে দিয়ে এই চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে. যাই হোক এভাবে ঠান্ডা লড়াই বা স্নায়ুযুদ্ধ শুধুমাত্র ইউরোপীয় রাজনীতিকেই নয় বরং সমগ্র বিশ্ব রাজনীতি কে প্রভাবিত করেছিল এবং পরবর্তী সংকটসমূহ যেমন কিউবা, কোরিয়া এবং নানা সংঘাত ও ছোটো খাটো যুদ্ধসমূহ আন্তর্জাতিক আঙিনায় এক জটিলাবস্থা ও প্রবল রেষারেষির উদ্ভব ঘটায়. এশিয়ার মাটিতে এই রেষারেষি বেশি প্রবল হয়ে ওঠে এবং পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রসমূহের এই প্রতিদ্দন্দিতা ব্যাপক অনিশ্চয়তা ও রুদ্ধশ্বাস টানাপোড়েন এর জন্ম দেয় ফলে বিশ্বশান্তি বিনষ্ট হয়. ন্যাটো, সিয়াটো র পাশাপাশি রুশশক্তির গঠিত ওয়ারশ প্যাক্ট এই স্নায়ুযুদ্ধকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়. জার্মানির বিভক্তিকরণ এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তার সন্ধান এই সময়কালে অন্যতম বিষয় ছিল যা ঠান্ডাযুদ্ধ কর্তৃক প্রভাবিত হয় ফলে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অবর্ণনীয় জটিলতার প্রসার ঘটায়. চিরায়ত, বাস্তববাদী এবং সংশোধনবাদী ঐতিহাসিক ব্যাখ্যায় এই ঠান্ডা লড়াইয়ের বিশ্লেষণ উঠে এসেছে. লিপিমান এর বক্তব্য এপ্রসঙ্গে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কেননা তিনি তার "The Cold war" গ্রন্থে বিশ্বযুদ্ধত্তোর পর্বের স্নায়ুযুদ্ধের চরিত্র ও কাঠামো ব্যাখ্যা করেছেন. ঐতিহাসিক ফ্লেমিং মার্কিন রাজনৈতিক নীতিগত দিকে থেকে বিশ্লেষণ করেছেন.গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো যে কোরিয়া যুদ্ধের সূত্র ধরে ঠান্ডা লড়াই রাজনীতিতে ইউরোপকেন্দ্রিকতার সীমানা অতিক্রম করে এশিয়া ভূখণ্ডেও মার্কিন বেষ্টনী নীতি জমাট হয়. এভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা লড়াই এক নতুন ধরণের লড়াই বিশ্ব কে উপহার দেয় যাকে আটকানো সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নিকট সম্ভবপর ছিলোনা এবং ভারতবর্ষের মতো তৃতীয় বিশ্বের কিছু দেশ জোট নিরপেক্ষতাকে হাতিয়ার করে নিজেদের দূর অবস্থান বজায় রাখে.
* যোগব্রত চক্রবর্তী
আধুনিক ইতিহাস বিভাগ, কলকাতা
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
------------------------------