সমকামিতা ও মনোবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৯ নং লাইন:
{{আরো দেখুন|Homophobia|Societal attitudes toward homosexuality}}
 
[[Anti-LGBT rhetoric|সমকামি বিরোধী]] এ মনোভাব এবং আচরণ ( যাকে মাঝে মাঝে 'হোমোফোবিয়া' বা 'হেটোরোসেক্সুয়াল' নামে অভিহিত করা হয়) মনস্তাত্ত্বিক গবেষণাগুলির একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের গবেষণাগুলোতে; সমাজে নারী সমকামির তুলনায় পুরুষ সমকামীদের প্রতি যে বৈরী আচরণ সচরাচর পরিলক্ষিত হয়, তাই ফুটে উঠেছে।<ref name="intro"/> যারা সমকামীদের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিত নন, সমকামী-বিরোধী মনোভাব মুলত তাদের মধ্যেই দেখা যায়।<ref>[https://web.archive.org/web/20030704111036/http://www.affirmation.org/jeff.htm National Affirmation Annual Conference: "Homosexuality: A Psychiatrist's Response to LDS Social Services", September 5, 1999]</ref> <!-- সমকামী ও উভকামী ব্যক্তিরা নিজেদের যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের জন্য যদি মনোথেরাপি নিতে যায়, তবে সমকামী হওয়া থেকে তাদের প্রতিহত করতে সমকামীতার প্রতি বিদ্বেষমুলক যেসব কথাবার্তা থেরাপিষ্টরা বলেন, তা [[এলজিবিটি]] মানুষদের মানসিক ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে।<ref name="textbook">Cabaj, R; Stein, T. eds. ''Textbook of Homosexuality and Mental Health'', p. 421</ref> এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব সমকামী থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, সেসব সমকামীদের প্রায় অর্ধ শতাংশই তাদের যৌন অভিমুখিতার জন্য সমাজের পুরুষ দ্বারা (যেমন: তার পরিবারের পুরুষ সদস্য, তার পুরুষ বন্ধুবান্ধব বা পুরুষ প্রতিবেশী) মৌখিক বা শারীরিকভাবে সহিংসতার শিকার হয়েছিল, এই নিগ্রহের সাথে স্ট্রেস পরবর্তী বিভিন্ন লক্ষণ যেমনঃ হতাশা, উদ্বেগজনিত সমস্যা, রগচটা ইত্যাদি সমস্যা-একজন নিগৃহীত সমকামিতে দেখার উচ্চতর ঝুকি থাকে।<ref>Herek, et al. (1997)</ref> গবেষকেরা দেখিয়েছেন, শিশুর যৌন অভিমুখিতা নিয়ে যেসমস্ত অভিভাবকেরা ঋণাত্মক চিন্তাধারণা পোষণ করেন, তাদের সন্তানেরা আত্মগ্লানিতে ভুগে এবং নারীদের প্রতি ঋণাত্মক চিন্তাজ্ঞাপন করে। এটাও দেখা গিয়েছে যে, পিতামাতা যত বেশি দিন সন্তানের [[সমকামিতা]]র ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকেন, তত দ্রুত তারা বিষয়টি মেনে নিতে শিখেন।<ref>Holtzen and Agresti (1990).</ref>
 
উপরন্তু, গবেষণায় প্রস্তাবনা করা হয়েছে যে, "যেসব পরিবার তাদের পারিবারিক ঐতিহ্যগত মূল্যবোধ অনুসরণ করে, ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে, বিবাহ এবং সন্তানাদি থাকার প্রতি জোর দেয়, সেসব পরিবারের; উদার মনোভাবাপন্ন পরিবারের তুলনায় সমকামিতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা কম দেখা যায়।"<ref>Newman and Muzzonigro (1993)</ref> তবে আরো একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, এটি সর্বজনীন নয়। অর্থাৎ এর উল্টোটাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চানা এটেনংফ এবং কোলেট ডাইয়েট কর্তৃক "এপিএ'র সাইকোলজি অফ রিলিজিয়ন অ্যান্ড স্পিরিচুয়ালিটি" (APA's Psychology of Religion & Spirituality) নামক জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা গেছে যে; বেশ কিছু ধর্মীয় পরিবারের সদস্যরা তাদের কোনো সদস্যের ভিন্ন [[যৌন অভিমুখিতা]]কে ধর্মীয় মুল্যবোধ ও ধর্মীয় গ্রন্থ দ্বারাই স্বীকার বা সমর্থন করেছেন। যেমনঃ একজন ক্যাথলিক মা, তার সমকামি পুত্রের অভিব্যক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, "স্রষ্টার সকল নির্দেশনার উর্ধ্বে যে নির্দেশনা আছে; তা হলো ভালোবাসা"। একইভাবে একজন মেথোডিস্ট মা তার সমকামী পুত্রের সাথে এ বিষয়ে কথা আলোচনা করতে গিয়ে যীশুকেই তথ্যসুত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, "আমি যীশুর বার্তা পড়ি, তার বার্তায় তিনি ভালোবাসার কথা বলেছেন, ক্ষমার কথা বলেছেন, এবং আমি মনে করি না, একজন মানুষকে কখনোই তার ভালোবাসার ন্যায় কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া যায়।।" একই বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে একজন ধার্মিক মরমন পিতার দ্বারা, তিনি বলেছেন, "যদি তুমি কাওকে ভালোবাসো, তাহলে সেটা স্বীকার করে নেওয়াই সবচেয়ে বেশি যৌক্তিক এবং সমাজের কোনো অধিকার ন্যায়, এজন্য তাকে শাস্তির কাঠগড়ায় দাড় করানোর।"<ref name="Etengoff, C. 2014"/>
 
==মানসিক থেরাপি==
<!--
বিষমকামী ব্যক্তিরা চাপ, সম্পর্ক, সমস্যা, সামাজিক কর্মে নিজেকে রাখতে সমস্যায় পরলে বিভিন্ন থেরাপি নিয়ে থাকে। সমকামী ব্যক্তিদের অনেকেই বিষমকামী ব্যক্তিদের মত নিজের যৌন অভিমুখিতা পাল্টানোর জন্য এরকম থেরাপি নিতে চায়। কিন্তু এই থেরাপি গুলো যারা বিষমকামী নয়, তাদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক ঝুঁকি তৈরী করতে পারে।<ref name="textbook"/>