বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৮৬ নং লাইন:
 
বাংলা আধুনিক কবিতার যাঁরা অগ্রপথিক তাঁদের মধ্যে অজিত দত্ত ছিলেন অন্যতম কবি ব্যক্তিত্ব। গত শতকের ত্রিশের দশকে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "কুসুমের মাস" প্রকাশিত হয় ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে । তবে রোমান্টিক চেতনার প্রকাশ ঘটিয়ে তাঁর পদযাত্রা শুরু হয়। শুরুতেই বিদ্যাপতির পদ ---
"চল দেখনে যাই ঋতু বসন্ত ।
জঁহা কুন্দকুসুম কেতকী হসন্ত ।।
জঁহা চন্দা নিরমল, ভমর কার ।
রজনী উদযাপন, দিন অন্ধার ।।"
প্রেমের কবি, যৌবনের কবি, ভালোবাসার কবি তিনি নিজেকে এই বলে ঘোষণা করেছিলেন ---
" আমিও কুসুমপ্রিয়। আজিকে তো কুসুমের মাস ।মাস।
মোর হাতে হাত দাও , চলো যাই কুসুম-বিতানে।
বসিয়া নিভৃত কুঞ্জে কহিব তোমার কানে-কানে, কোন্ ফুলে ভরিয়াছি জীবনের মধু-অবকাশ ।"
 
'কুসুমের মাস' কাব্যের প্রথম কবিতা কুসুমের মাস। একটি স্বপ্ন, গুরুজনদের মাঝে, আকাঙ্ক্ষা, নাস্তিক, বার্তা ,এলিজি, শরৎ , ছায়াসঙ্গিনী , প্রার্থনা ,প্রেম , বর্ষায় ইত্যাদি শিরোনামে আরো কবিতা আছে।
মূলত রবীন্দ্রবিরোধিতার মধ্যদিয়েই কল্লোলের কবিরা বাস্তব চেতনাকে গুরুত্ব দিয়ে যে পথে হেঁটেছিলেন, অজিত দত্ত একদিন সেই কল্লোলের কোলাহলে মিশে গিয়েছিলেন । তাঁর কবিতার গতিমুখ তারপর থেকেই পাল্টে গিয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার পর তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতার রিপন কলেজিয়েট স্কুলে । তারপর তিনি চন্দননগর , বারাসাত প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন । এখানে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান হিসেবে পাঠদান করেছেন । শুধু কবিতা নয় প্রবন্ধ রচনাতেও তাঁর মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে "প্রগতি" পত্রিকা এবং "দিগন্ত" নামের একটি সাহিত্য-বার্ষিকী পত্রিকা সম্পাদনা করেন । তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে পাতাল কন্যা, নষ্টচাঁদ, পুনর্নবা, ছায়ার আলপনা, জানালা উল্লেখযোগ্য । তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'কুসুমের মাস' । এই কাব্যে সাধু রীতিতে অসাধারণ সব কবিতা লেখা হয়েছে। [[ব্যবহারকারী:ড. সেখ রমজান আলি|ড. সেখ রমজান আলি]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি|আলাপ]]) ০৫:২৯, ৩০ জুন ২০১৮ (ইউটিসি)