দীর্ঘস্থায়িত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
শুরু
 
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
wikilink
১ নং লাইন:
'''দীর্ঘস্থায়িত্ব''' বলতে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য কোনও মানব সম্প্রদায়, তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রীতিনীতি টিকে থাকার ক্ষমতাকে বোঝায়। অর্থাৎ এমনভাবে মানবজাতির বর্তমান [[চাহিদা]] মেটানোকে বোঝায় যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানুষদের চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা ব্যাহত না হয়। এই ধারণাটি শুধু [[প্রাকৃতিক সম্পদ]] আহরণের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের সাথেও জড়িত। দীর্ঘস্থায়িত্ব ধারণাটিতে কেবল [[পরিবেশ সংরক্ষণ]] নয়, বরং [[সামাজিক বৈষম্য]] দূরীকরণ ও [[অর্থনৈতিক উন্নয়ন|অর্থনৈতিক উন্নয়নের]] ব্যাপারগুলিও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
 
বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে প্রতিভাত হয় যে [[শিল্পায়ন|শিল্পায়নের]] মাধ্যমে [[জীবনযাত্রার মান]] উন্নত করার বহু দশকব্যাপী প্রচেষ্টার পরেও বিশ্বের বহু দেশ চরম [[দারিদ্র্য|দারিদ্র্যের]] সাথে যুদ্ধ করছে। মানব ইতিহাসের এই সাম্প্রতিকতম পর্যায়ে পৃথিবীর বুকে মানুষের সংখ্যা [[জনসংখ্যা বিস্ফোরণ|বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি]] পায়। কিন্তু একই সাথে আধুনিক সমাজগুলিতে মানুষের লাগামহীন প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, কেবল [[অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরপ্রবৃদ্ধি]]র পেছনে ছোটা এবং অপচয়প্রবণ ভোগবাদিতাও[[ভোগবাদিতা]]ও বাড়তে থাকে, যার কারণে বহু কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে জীবনের ভারসাম্য অক্ষুণ্ণ রাখার যে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ব্যবস্থা ও চক্রগুলি আছে, সেগুলির কর্মক্ষমতা কম-বেশি ব্যাহত হয়। এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সুদূরপ্রসারী হতে পারে। তাই দীর্ঘস্থায়িত্বের সমর্থকেরা বলেন যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে গিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনা ও সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি করা মানবজাতির দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধির চাবিকাঠি নয়। অর্থনীতি সমাজের বাইরে নয়, আর সমাজ প্রকৃতির বাইরে নয়।
 
১৯৮৩ সালে জাতিসংঘ নরওয়েজীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রো হার্লেম ব্রুন্টলান্ডকে নব্যপ্রতিষ্ঠিত [[বিশ্ব পরিবেশ ও উন্নয়ন সমিতিরসমিতি]]র পরিচালকের পদ দান করে। এর চার বছর পরে সমিতিটি "আমাদের একত্রিত ভবিষ্যৎ" (Our common future) নামক যে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে, তাতে দীর্ঘস্থায়ী বা [[টেকসই উন্নয়ন|টেকসই উন্নয়নের]] উপরোক্ত বিখ্যাত সংজ্ঞাটি প্রথমবারের মত প্রকাশ করা হয়। সমিতিটি সাফল্যের সাথে বিশ্বের উন্নয়ন পরিকল্পনাতে পরিবেশবাদের সাথে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নসংক্রান্ত তত্ত্বগুলির মেলবন্ধন ঘটায়। তাদের মতে দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধির জন্য পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতি - এই তিনটি দিককেই সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে এবং এদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে।
 
[[বিষয়শ্রেণী:পরিবেশবাদ]]