কালীগঞ্জ উপজেলা, লালমনিরহাট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Khurshiduzzaman Ahmed (আলোচনা | অবদান)
Khurshiduzzaman Ahmed (আলোচনা | অবদান)
→‎কৃতী ব্যক্তিত্ব: নুরুজ্জামান আহমেদ এম, পি সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ( বীর মুক্তিযোদ্ধা )
৬৫ নং লাইন:
== কৃতী ব্যক্তিত্ব ==
 
<nowiki/>*</nowiki><nowiki>[[নুরুজ্জামান আহমেদ এম পি]]</nowiki>, <nowiki>[[বীর মুক্তিযোদ্ধা]]</nowiki>
 
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামে ১৯৫০ সালের ৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ দু’বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম নূর জাহান বেগম।
 
জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ তৃণমূল রাজনীতিতে একজন সফল এবং সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত মুখ। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে ছাত্রজীবন থেকেই সম্পৃক্ত। জনাব নুরুজ্জামান আহমেদের পিতা আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছের রাজনৈতিক সহচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজ পিতার রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ ছাত্রজীবনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তৃণমূলে বিপুল কর্মীবাহিনী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রধান চালিকাশক্তি ও হাতিয়ার। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে জনগণ তাঁকে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে তিনি গণপজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
 
তৃণমূল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে দু’বার তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতার সাথে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সফলভাবে পালন করেন।
 
১৯ জুন ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং ২১ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
 
মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি’র আরও একটি বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বাবা জনাব আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
 
মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জনাব নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে কৃতিত্বের সাথে বি.কম ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে এইচ.এস.সি ও ১৯৬৫ সালে লালমনিরহাট জেলার তুষভান্ডার হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হন।
 
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব নুরুজ্জামান আহমেদের সাহিত্য, কবিতা ও গান নিয়ে রয়েছে প্রগাঢ় আগ্রহ। অবসর সময়ে তিনি কবিতা আবৃত্তি চর্চা করেন। অবসরে গান শোনাও তাঁর প্রিয় অভ্যাস। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অন্যতম প্রিয় কবি। কবিতায় মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রিয় উদ্ধৃতির একটি হচ্ছে রবি ঠাকুরের কবিতা-
 
“আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিশ্ব ভরা প্রাণ,
 
তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান,
 
বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান।।”
 
ব্যক্তিগত জীবনে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বিবাহিত এবং ৩ সন্তানের গর্বিত পিতা। তাঁর সহধর্মীনির নাম হোসনে আরা বেগম। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী’র প্রথম সন্তান পারমিতা জামান চৌধুরী, ২য় সন্তান জনাব রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ৩য় সন্তান শাকিলা আজাদ।
 
 
 
*[[আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ (এম, পি )]]
[[মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক]]