কালীগঞ্জ উপজেলা, লালমনিরহাট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Khurshiduzzaman Ahmed (আলোচনা | অবদান)
→‎কৃতী ব্যক্তিত্ব: আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ
Khurshiduzzaman Ahmed (আলোচনা | অবদান)
৬৪ নং লাইন:
 
== কৃতী ব্যক্তিত্ব ==
*[[আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ এম, পি]], [[ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ]] বীয় কর্ম দ্বারা যে কজন মানুষ নিজেকে কালোত্তীর্ন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমদ তাদের অন্যতম।
 
'''''*[[আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ (এম, পি )''''']]
 
[[মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক]]
১৯২৩সালের ১৯মার্চ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম গ্রামে জন্মগ্রহনকারী আলোকিত এই মানুষটির বাবা মৌলভী আজিম উদ্দিন আহমদ এবং মা নেছাবি বেওয়া।
[[৬ নং সেক্টর]]
 
 
১৯৪৫সালের দিকে মাড়োয়ারীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হলেও অল্পদিনের মধ্যে স্বল্পতম পুজি দিয়ে নিজে ব্যবসা শুরু করেন। অভাবনীয় সততা আর বিশ্বস্ততার কারণে দ্রুত ব্যবসার সম্প্রসারন ঘটতে থাকে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে কোলকাতা, ভৈরব, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঝালকাঠি, সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর পাট ও তামাক ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়ে পড়ে।
 
 
মদনপুর বৈরাতীর নিলাম্বর পন্ডিতের পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন শেষে খারিজি পাশ করেন গঙ্গাচড়ার চিলাখাল পাইকান মাদ্রাসা থেকে। অবশেষে তুষভান্ডার উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।
 
'''''আলহাজ্ব করিম উদ্দিন আহমেদ (এম, পি )'''''
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক
৬ নং সেক্টর
 
৯২ ⟶ ৭৯ নং লাইন:
 
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে করিম উদ্দিন আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। কালীগঞ্জ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে সাবেক ইপিআর, আনসার ও পুলিশ কতর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করেন তিনি। নিজের বাড়ীতেই মুক্তিবাহিনীর প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ চার মাস কালীগঞ্জ ‘মুক্ত এলাকা’ হিসেবে থাকায় স্থানীয় যুবকদের এখানেই প্রশিক্ষণ দেয়া হত। এই সময়েই কালীগঞ্জ মাঠে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে পাক বাহিনীর কালীগঞ্জ দখলের কারনে তিনি কুচবিহার জেলার সিতাই থানায় আশ্রয় গ্রহন করেন। সেখানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সম্মতিক্রমে তিনি দুটি ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং বাংলাদেশী যুবকদেরকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা করেন। এসময় তিনি উত্তরাঞ্চলীয় মুক্তিবাহিনীর সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশেও বিধ্বস্ত কালীগঞ্জ পূণ:র্গঠনে তিনি একক ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
 
 
১৯৭৩ সালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কালীগঞ্জের উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। শুধু রাজনীতিই নয়, সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতিও তার ছিল গভীর অনুরাগ। লোকসাহিত্য ও আঞ্চলিক ভাষার গবেষক ধর্মনারায়ন সরকার ভক্তিশাস্ত্রীকে তাঁর রচিত গবেষণা গ্রন্থ ‘উত্তরবাংলার লোকসাহিত্য ও ভাষা’ গ্রন্থ প্রকাশে মূদ্রণ ব্যয় বহন করে তাকেঁ উতসাহিত ও অনুপ্রানিত করেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় উপজেলার অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অন্বেষা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
 
১৯৯১ সালের ২৮আগষ্ট কালীগঞ্জের এই কীর্তিমান পুরুষ ৬৮ বছর বয়সে রংপুর মেডিকেল কলেজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
* [[তমিজ উদ্দিন|শহীদ তমিজ উদ্দিন]], [[বীর বিক্রম]] - [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] বীর শহীদ;
* [[শেখ ফজলল করিম]] - সাহিত্যিক;