সংবাদপত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Che12Guevara (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র
১১ নং লাইন:
প্রাচীন রোমে, ''অ্যাক্টা দিউরমা'' বা সরকারের ঘোষণা পত্র প্রকাশ করা হত। সেটা ধাতু বা পাথরে খোদাই করে জনসমাগম হয়, এমন জায়গায় টাঙ্গিয়ে দেওয়া হত। চায়নায়, ৮ম শতাব্দীর দিকে [[কাইয়ুয়ান ঝা বাও]] নামে এক রাজকীয় দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের অস্তিত্ত পাওয়া যায়। মুসলমান রাজত্বকালে ভারতবর্ষে সংবাদপত্রের প্রচলন ছিল। অবশ্য তখন সংবাদপত্র মুদ্রিত হত না, সমস্ত রাজনৈতিক বিষয়ক সংবাদ হাতে লেখা হত এবং তা দেশের রাজকর্মচারীর নিকট প্রেরিত হত। সমস্ত বিভিন্ন বিভিন্ন প্রদেশের সংবাদ একত্র করে সম্রাটের কাছে যেত। এরূপ সংবাদ- সংগ্রহের জন্য আলাদা বিভাগ ছিল।
 
;ভারতে
''কানুন এ-জং'' নামক প্রাচীন পারস্য গ্রন্থে লেখা আছে যে, পানিপথের প্রথম যুদ্ধে (১৫২৬ খ্রী:) বাবর শাহ শিবিরে বসে সংবাদপত্র পাঠ করছিলেন এমন সময়ে হিন্দু রাজারা এসে সন্ধির প্রস্তাব করেন। আবুল ফজল ''আইন-ই-আকবরী'' গ্রন্থে লিখেছেন, সম্রাট আকবরের সময় প্রতি মাসে গভর্নমেন্ট গেজেটের মত রাজকীয় সমাচারপত্র প্রচলিত ছিল। শাজাহান আগ্রার মহরম দরবারে বলেছিলেন, "এলাহাবাদের হিন্দু রাজাদের বিদ্রোহের কথা সমাচার পত্রে পাঠ করে বিস্মিত ও বিষাদিত হলাম।" সম্রাট আওরঙ্গজেব ঔরঙ্গাবাদ নামক স্থানে জীবনলীলা সম্বরণ করেন, তাঁর পীড়ার সমাচার ও বিবরণ দিল্লির 'পয়গম-এ-হিন্দ্' নামক ফারসি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।
 
মুসলমান রাজত্বকালে মধ্যযুগীয় ভারতে সংবাদপত্রের প্রচলন ছিল।অবশ্য তখন সংবাদপত্র মুদ্রিত হত না, সমস্ত রাজনৈতিক বিষয়ক সংবাদ হাতে লেখা হত এবং তা দেশের প্রধান প্রধান রাজকর্মচারীর নিকট প্রেরিত হত।সমস্ত বিভিন্ন বিভিন্ন প্রদেশের সংবাদ একত্র করে সম্রাটের কাছে যেত। এরূপ সংবাদ- সংগ্রহের জন্য আলাদা বিভাগ ছিল।
''কানুন এ-জং'' নামক প্রাচীন পারস্য গ্রন্থে লেখা আছে যে, পানিপথের প্রথম যুদ্ধে (১৫২৬ খ্রী:) বাবর শাহ শিবিরে বসে সংবাদপত্র পাঠ করছিলেন এমন সময়ে হিন্দু রাজারা এসে সন্ধির প্রস্তাব করেন। আবুল ফজল ''আইন-ই-আকবরী'' গ্রন্থে লিখেছেন, সম্রাট আকবরের সময় প্রতি মাসে গভর্নমেন্ট গেজেটের মত রাজকীয় সমাচারপত্র প্রচলিত ছিল। শাজাহান আগ্রার মহরম দরবারে বলেছিলেন, "এলাহাবাদের হিন্দু রাজাদের বিদ্রোহের কথা সমাচার পত্রে পাঠ করে বিস্মিত ও বিষাদিত হলাম।" সম্রাট আওরঙ্গজেব ঔরঙ্গাবাদ নামক স্থানে জীবনলীলা সম্বরণ করেন, তাঁর পীড়ার সমাচার ও বিবরণ দিল্লির 'পয়গম-এ-হিন্দ্' নামক ফারসি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।<ref>বাঙ্গালার সামাজিক ইতিহাস, দুর্গাচন্দ্র সান্যাল, মডেল পাবলিসিং হাউস, ISBN 81-7616-067-9</ref>
 
=== বাংলায় সংবাদপত্র ===
 
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের আগে এই উপমহাদেশে সংবাদপত্র প্রকাশের কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে না।১৭৮০না। ১৭৮০ সালে [[জেমস অগাস্টাস হিকি]] স্থানীয় ইংরেজদের জন্য বেঙ্গল গেজেট বা ক্যালকাটা জেনারেল অ্যাডভার্টাইজার নামে দুই পাতার একটি সাপ্তাহিক প্রকাশ করেন। কিন্তু ওয়ারেন হেস্টিংস, তাঁর পত্নী ও ইংরেজ বিচারকদের সম্পর্কে সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের দরুন এটিও দ্রুত বাজেয়াপ্ত হয়।১৮১৮ সালের গোড়ার দিকে রাজা রামমোহন রায়ের সহায়তায় শিক্ষক ও সংস্কারক গঙ্গা কিশোর ভট্টাচার্য প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ করেন।
অতঃপর ১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিদের উদ্যোগে শ্রীরামপুর থেকে বাংলা মাসিক পত্রিকা দিগদর্শন প্রকাশিত হয়। ১৮১৮ সালের ২৩ মে বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশের এক সপ্তাহ পর সমাচার দর্পণ প্রকাশিত হয়।
রাজা রামমোহন রায় বাংলা সংবাদ কৌমুদী, ইংরেজি ব্রাহ্মিনিক্যাল ম্যাগাজিন ও ফার্সিতে মিরাত-উল-আকবর প্রকাশ করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় ও ইউরোপীয় সম্পাদকদের ঐক্যবদ্ধ চাপে লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক বিদ্যমান সংবাদপত্র আইন শিথিল করতে বাধ্য হন।