জৈব রসায়ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Meherab Hossain Masud (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: ইউরিয়া তৈরীর পদ্ধতি যোগ করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৭ নং লাইন:
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে [[রসায়নবিদ]]রা ধারণা করত যে জীব হতে প্রাপ্ত যৌগসমূহ সংশ্লেষণাত্মকভাবে তৈরি করা অত্যন্ত জটিল। প্রাণশক্তি মতবাদ অনুসারে, জৈব পদার্থসমূহ একধরনের প্রাণশক্তির অধিকারী। তারা এসকল যৌগের নাম দিল জৈব যৌগ এবং অজৈব পদার্থের রসায়নের গবেষণায় আত্মনিয়োগ করলো কেননা অজৈব রসায়ন তুলনামূলকভাবে সহজ।
 
1815 খ্রিস্টাব্দে বার্জেলিয়াস প্রাণ শক্তি তত্ত্বের [[vital force theory]] দ্বারা জৈব এবং অজৈব যৌগগুলি পার্থক্য করেন এবং তিনি বলেন জৈব যৌগগুলির উত্পন্নের জন্য উদ্ভিদ কিংবা প্রাণীদেহে উপস্থিত প্রাণশক্তির প্রয়োজন । তাঁর মতে, এই শক্তি মানুষের করায়ত্ত নয়, তাই পরীক্ষাগারে অজৈব যৌগ থেকে জৈব যৌগগুলি প্রস্তুত করা সম্ভব নয় । ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম অর্ধে এটা প্রমাণিত হয় যে জৈব যৌগসমূহ গবেষণাগারে সংশ্লেষণ করা সম্ভব। ১৮১৬ সালের দিকে ফরাসি রসায়নবিদ [[মাইকেল শেভরিউল]] [[চর্বি]] ও [[ক্ষার|ক্ষারের]] মাধ্যমে গঠিত [[সাবান]] নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সে উপলব্ধি করলো যে, বিভিন্ন [[এসিড]] ও ক্ষারের সমন্বয়ে [[সাবান]] তৈরি হয়। তিনি আরও কিছু যৌগ তৈরির মাধ্যমে প্রমাণ করলেন যে প্রাণশক্তির প্রভাব ছাড়াও চর্বির রাসায়নিক পরিবর্তন সাধন সম্ভব। [[১৮২৮]] সালে জার্মান বিজ্ঞানী [[ফ্রেডরিখ ভোলার]] মানুষের মূত্রের একটি জৈব উপাদান [[ইউরিয়া]] তৈরি করলেন অজৈব যৌগ [[অ্যামোনিয়াম সায়ানেট]] হতে। তিনি অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও লেড সায়ানেট এর বিক্রিয়া [[অক্সিজেন]] প্রভাবকের সাহায্যে উচ্চ চাপ এবং ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঘটিয়ে [[অ্যামোনিয়াম সায়ানেট]] নামক লবন এবং [[লেড ক্লোরাইড]] উৎপন্ন করেন। [[অ্যামোনিয়াম সায়ানেট]]কে তাপ দিলে এর আণবিক গঠন বিন্যাসের মাধ্যমে [[ইউরিয়া]] তৈরী হয়। এই প্রক্রিয়াকে এখন বলা হয় ভোলার সংশ্লেষণ। যদিও ভোলার এসময় এবং পরবর্তিতে প্রাণশক্তি ধ্বংসের দাবির ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন, তবুও ঐতিহাসিকরা এই ঘটনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হিসেবে দেখেন।
 
[[১৮৫৬]] সালে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞানী [[উইলিয়াম হেনরি পার্কিন]] [[কুইনিন]] তৈরি করতে গিয়ে আকস্মিকভাবে এক ধরণের জৈব রঙ আবিষ্কার করেন। এর ফলে রঞ্জক শিল্পে প্রভূত উন্নতি হয় এবং সেসময়ে জৈব রসায়নের প্রতি বিজ্ঞানীদের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। [[ফ্রেডরিখ অগাস্ট কেকুল]] ও [[স্কট কুপারের]] যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ভূত যৌগের রাসায়নিক গঠন জৈব রসায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনে। উভয় বিজ্ঞানী প্রস্তাব করেন যে, [[চতুর্যোজী]] [[কার্বন]] পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন [[ল্যাটিস]] গঠন করে। তারা আরও প্রস্তাব করেন যে, কার্বন পরমাণুর বিস্তারিত বিন্যাস যথোপযুক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ণয় করা সম্ভব।পেট্রোলিয়ামের আবিষ্কার এবং এটি হতে পেট্রোলিয়ামের বিভিন্ন জাতক পৃথকীকরণ জৈব রসায়নের অগ্রগতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যৌগসমূহের রূপান্তর পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পের সূচনা করে। এর ফলে কৃত্রিম [[রাবার]], বিভিন্ন আঠা জাতীয় পদার্থ ও [[প্লাস্টিক]] উৎপন্ন করা সম্ভব হল।