সময় ভ্রমণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Korak Biswas (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Korak Biswas (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৫ নং লাইন:
 
== সময় ভ্রমণের ধারণার ইতিবৃত্ত ==
সময় ভ্রমণের আদিমতর কল্পনাপ্রসূত বিবরণগুলো আমরা পাই প্রাচীন মহাকাব্য কিংবা গল্প উপকথায়। যেমন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে রচিত [[মহাভারত | মহাভারতে]] রাজা কাকুদমির কাহিনীতে রাজা এবং তাঁর কন্যা রেবতীর সময়যাত্রার কাল্পনিক বিবরণ পেয়ে থাকি। <ref>{{cite web|url=http://eindtijdinbeeld.nl/EiB-Bibliotheek/Boeken/Ancient-Aliens-and-Indian-Scriptures.pdf|title= Ancient Aliens and Indian Scriptures|}}</ref> খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর জাপানের লোককথার এক চরিত্র উরাশিমাকো বা উরাশিমা তারোর সময় ভ্রমণের গল্পও যথেষ্ট জনপ্রিয়। তুলনামূলক আধুনিকতর অনেক গল্প উপন্যাসেরও কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে এই সময় যাত্রার ধারণা। <ref>{{cite book | author1 = Florence Sakade | author2= Yoshio Hayashi | title = Urashima Taro and Other Japanese Children's Favorite Stories | publisher = Tuttle Shokai Inc, Japan}}</ref> ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে লেখা আইরিশ লেখক স্যামুয়েল ম্যাদেনের 'মেমরিজ অব টোয়েণ্টিয়েথ সেঞ্চুরি' তে সময় ভ্রমণের হাল্কা আভাস পাওয়া যায়। ফরাসী লেখক ল্যুই সেবাস্তিয়ান মারসিয়ারের ''L'An 2440, rêve s'il en fut jamais'' উপন্যাসে আমরা পাই প্যারিসের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সময় ভ্রমণের বৃত্তান্ত। ১৭৭০ সালে লেখা এই উপন্যাসটি তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে রচিত মার্কিন লেখক ওয়াশিংটন আরভিংয়ের ' রিপ ভান উইঙ্কল ' ছোটগল্পটিও সময় ভ্রমণের একটি সুন্দর কাল্পনিক আখ্যান। রুশ সাহিত্যিক আলেকজান্ডার ফরমিচ ভেল্টম্যান ১৮৩৬ এ রচনা করেন 'প্রেদকি কালিমেরোসাঃ আলেকজান্ডার ফিলিপোভিচ ম্যাকেডনস্কি '। গল্পে গল্পকথক পক্ষীরাজের ঘোড়ায় প্রাচীন গ্রীস ভ্রমণ এবং সম্রাট আলেকজান্ডারের সঙ্গে সমুদ্রযাত্রার অনুষঙ্গে রুশ সাহিত্যে সম্ভবত সর্বপ্রথম সময় ভ্রমণের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। ১৮৬১ সালে লেখা ফরাসী উদ্ভিদবিদ এবং ভূতত্ত্ববিদ পিয়ের বইটার্ডের 'প্যারিস অ্যাভোঁ লেসোম্ব' রচনাটিতে কাহিনীর মূল চরিত্রের প্রাগৈতিহাসিক প্যারিস নগর ভ্রমণের এক সুন্দর বর্ণনা ফুটে উঠেছে। এ ছাড়া 'নিউ মান্থলি ম্যাগাজিন' এ প্রকাশিত স্বনামধন্য মার্কিন লেখক এডওয়ার্ড হেলের 'হ্যান্ডস অফ' গল্পেও আমরা সময় ভ্রমণের উল্লেখ পাই।
 
 
৪১ নং লাইন:
== ভবিষ্যতের সময়সঞ্চারীরা ==
 
[[File:Time traveller.jpg|thumb| upright=0.5| চিত্রশিল্পী স্ভেন স্পিগেলবার্গ অঙ্কিত 'The time traveller' ]]
অনেকেই মনে করেন যদি সময় পরিভ্রমণ আদৌ সম্ভব হত, তাহলে পৃথিবীতে নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের সময়সঞ্চারীদের দেখা মিলত। কিন্তু এই মত যুক্তিসঙ্গত নয়। হতে পারে- সময় ভ্রমণ হয়তো সম্ভব, কিন্তু তার প্রযুক্তি নিয়ে ভবিষ্যতের নাগরিকেরা যথেষ্ট আগ্রহী নন। কার্ল সেগান একবার বলেছিলেন,"কে বলতে পারে! হয়তো ভবিষ্যতের সময়ভ্রমণপিয়াসীরা ছদ্মবেশে আমাদের আশেপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।" অনেক সময়ই অনেকে দাবি করেছেন যে তাঁরা ভবিষ্যতের সময়সঞ্চারীদের চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের দাবির সমর্থনে তাঁরা সকলের সামনে কিছু প্রমাণও পেশ করেছেন। এর মধ্যে চার্লি চ্যাপলিনের 'দ্য সার্কাস'চলচ্চিত্রের একটি ছোট্ট অংশ (এটি Chaplin's Time Traveller নামে আন্তর্জাল দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল) এবং ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অন্তর্গত গোল্ডব্রিজে একটি সেতুর পুনরুদ্বোধন অনুষ্ঠানে গৃহীত একটি আলোকচিত্র উল্লেখযোগ্য। সময় ভ্রমণ নিয়ে অসংখ্য কাহিনীও শোনা গেছে বিভিন্ন সময়। প্রচলিত এই সব কাহিনীর মুখ্যচরিত্র, যেমন জন টাইটার, বব হোয়াইট, অ্যান্ড্রুুু কার্লসিন এবং এরকম আরও অনেককে বাস্তব চরিত্র বলে দাবি করেছেন অনেকেই। তবে এসমস্ত প্রমাণ বা গল্প- কোনটিই কখনো সর্বজনীন স্বীকৃতি লাভ করে নি।
 
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থা ভবিষ্যতের সময়সঞ্চারীদের অভ্যর্থনার জন্য প্রকাশ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এরমধ্যে ১৯৮২ সালে মার্কিন মুলুকের বাল্টিমোরে ক্রোনোনটসের (Krononauts) উদ্যোগ এবং ২০০৫ সালে ম্যাসাচুসেটস ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজির উৎসাহে অনুষ্ঠিত 'পার্থ'স ডেসটিনেশন ডে'র কথা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। যদিও এই সমস্ত অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতের কোনো সময়ভ্রমণপিয়াসীর সাথে আমাদের দেখা হয় নি। কিংবা কে বলতে পারে, ভবিষ্যতের নাগরিকদের সাথে আমাদের দেখা হয়েছে ওই দিনই,ওই অনুষ্ঠানে - হয়তো অন্য কোন বিশ্বে!
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|30em}}