শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ও অন্যান্য সংশোধন
Agent amerus (আলোচনা | অবদান)
→‎ভাগ্যান্বেষণ: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
৩১ নং লাইন:
== ভাগ্যান্বেষণ ==
[[File:Study with Furniture - First Floor West - House of Sarat Chandra Chattopadhyay - Samtaber - Howrah 2014-10-19 9838.JPG|thumb|শরৎচন্দ্রের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, সামতাবেড়, হাওড়া।]]
কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র [[ভাগলপুর]] শহরের আদমপুর ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে খেলাধুলো ও অভিনয় করে সময় কাটাতে শুরু করেন। এই সময় প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে তিনি [[বড়দিদি]], [[দেবদাস (উপন্যাস)|'দেবদাস']], [[চন্দ্রনাথ]], [[শুভদা]] ইত্যাদি উপন্যাস এবং [[অনুপমার প্রেম (ছোট গল্প)|'অনুপমার প্রেম']], [[আলো ও ছায়া]], [[বোঝা (গল্প)|'বোঝা']], [[হরিচরণ']] ইত্যাদি গল্প রচনা করেন। এই সময় তিনি বনেলী রাজ-এস্টেটে কয়েকদিন চাকরি করেন। কিন্তু পিতার ওপর কোনো কারণে অভিমানবশত তিনি সন্ন্যাসী সেজে ঘর ছেড়ে চলে যান। এই সময় তাঁর পিতার মৃত্যু হলে তিনি [[ভাগলপুর]] ফিরে এসে পিতার শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করে [[কলকাতা]] যাত্রা করেন, যেখানে তিনি [[কলকাতা উচ্চ আদালত|কলকাতা উচ্চ আদালতের]] উকিল লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]] বইয়ের [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]] তর্জমা করার জন্য মাসে ত্রিশ টাকা মাইনেরবেতনের চাকরি পান। এই সময়, তিনি 'মন্দির' নামে একটি গল্প লিখে 'কুন্তলীন' প্রতিযোগিতায় পাঠালে তা বিজয়ী ঘোষিত হয়।<ref name="Nath"/>{{rp|৫৯৩}}
 
ছয় মাস লালমোহনের বাড়িতে কাটানোর পর শরৎচন্দ্র ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে [[ইয়াংগন|রেঙ্গুনে]] লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের ভগ্নিপতি উকিল অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে যান। অঘোরনাথ তাঁকে বর্মা রেলওয়ের অডিট অফিসে একটি অস্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। দুই বছর পর তাঁর চাকরি চলে গেলে তিনি তাঁর বন্ধু গিরীন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে [[পেগু]] চলে যান ও সেখানে অবিনাশ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসবাস করেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে বর্মার পাবলিক ওয়ার্কস অ্যাকাউন্টস অফিসের ডেপুটি একজামিনার মণীন্দ্রনাথ মিত্রের সাহায্যে শরৎচন্দ্র রেঙ্গুনে এই অফিসে চাকরি পান ও পরবর্তী দশ বছর এই চাকরি করেন।<ref name="Nath"/>{{rp|৫৯৩-৫৯৪}}
৩৭ নং লাইন:
১৯১২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে শরৎচন্দ্র এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে এলে 'যমুনা' নামে পত্রিকার সম্পাদক ফনীন্দ্রনাথ পাল তাঁকে পত্রিকার জন্য লেখা পাঠাতে অনুরোধ করেন। সেই অনুযায়ী, শরৎচন্দ্র রেঙ্গুনে ফিরে গিয়ে [[রামের সুমতি]] গল্পটি পাঠিয়ে দেন, যা যমুনা পত্রিকায় ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন ও চৈত্র্য সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি 'ভারতবর্ষ' পত্রিকার জন্যেও লেখা পাঠাতে শুরু করেন। ফনীন্দ্রনাথ পাল তাঁর উপন্যাস [[বড়দিদি]] পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স ও গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স তাঁর উপন্যাসগুলি পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন।<ref name="Nath"/>{{rp|৫৯৫}}
 
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছুটি নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে শরৎচন্দ্র চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রেঙ্গুন বাংলায় ফিরে আসেন।<ref name="Nath"/>{{rp|৫৯৫}}
 
== বৈবাহিক জীবন ==