আবদুল মান্নান সৈয়দ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎সাহিত্যচর্চা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎সাহিত্যচর্চা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
২৭ নং লাইন:
== সাহিত্যচর্চা ==
তাঁকে বলা হয়েছে সব্যসাচী লেখক। বাংলা সাহিত্যের যে শাখায়ই তিনি চর্চা করেছেন, সাফল্য ও কীর্তি ধরা দিয়েছে অবলীলায়।<ref name="amardeshonline.com"/>
বলা হয়েছে এদেশে তাঁর মতো পরিশ্রমী লেখক নেই। যে কোন লেখার মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন। প্রচণ্ড তোলপাড় করা শক্তি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। বাংলা কবিতায় কবিতায় তিনি যুক্ত করেছিলেন পরাবাস্তববাদী দিগন্ত। তাঁর উদ্ভাবনী শক্তি ও ব্যঞ্জনা সৃষ্টি তাঁর ভাষাকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী। মহাসমর পরর্তীকালে দুই বাংলাতেই তাঁর মতো সাহিত্যসমালোচক খুঁজে পাওয়া যায় দুষ্কর। বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে ছিল তাঁর অগাধ ধারণা। সমসাময়িককালে তাঁর মতো বড় মাপের লেখক দেখা যায় না। কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও কবিতায় তাঁর সৃজনশীলতা অসাধারণ।<ref name="202.79.16.19"/> সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় প্রচৃর কাজ করলেও ভগ্নস্বাস্থ্য উপেক্ষা করে তিনি আরো কাজ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "মাইকেল সম্পর্কে, বঙ্কিমের উপন্যাস সম্পর্কে আমার লেখার ইচ্ছা আছে। ফররুখ আহমেদ একজন বিরাট লেখক। আমার একটা আক্ষেপ, এত বড় কবি জসীমউদ্দীন, তাঁর ওপর আমি কোনো কাজ করিনি। জীবনানন্দকে নিয়ে আমি যে কাজটা করেছি, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও সে রকম কাজ করা আমার উচিত ছিল।"<ref name="banglanews24.org">[http://www.banglanews24.org/newlocation/bangla/detailsnews.php?nssl=a4b4a777d704346280fc18fc9ca1d6b1&nttl=201009067536 আবদুল মান্নান সৈয়দ: অতৃপ্ত ও অস্তিত্ববাদীর প্রস্থান]</ref> তাঁর আত্মজৈবণিকআত্মজৈবনিক লেখার মধ্যে বিষাদের সুর পরিলক্ষিত হয়। যে তুলনারহিত সৃজনশক্তির স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন তার মূল্য জীবদ্দশায় যথাযথভাবে স্বীকৃত হয় নি।হয়নি। স্বীয় বিশ্বাসে রাজনৈতিক ঔদার্য়েরঔদার্যের কারণে তাঁকে প্রায়শ: রাষ্ট্রীয় উপেক্ষার শিকার হতে হয়েছে।
 
মান্নান সৈয়দ ছিলে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম "পোয়েট ইন রেসিডেন্স"। তাঁকে স্কলার-ইন-রেসিডেন্স পদমর্যাদায় নিয়োগ করে জাতীয় কবি [[কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলামের]] সংগ্রামী জীবনকে গ্রোথিত করে পূর্ণাঙ্গ নজরুলজীবনী রচনার দায়িত্ব দেয়া হয়।<ref name="dailykalerkantho.com"/>
 
=== কবিতা ===
বাংলা ভাষায় তিনি সেই একজন কবি যিনি ষাটের দশকে সমকালীন কাব্যরুচিকে বদলে দেয়ার অভিপ্রায়ে পরাবাস্তবতার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। এভাবেই তিনি স্বীয় কবিকণ্ঠস্বরকে অনন্যসাধারণ করে উপস্থাপন করেছিলেন।<ref>[http://ittefaq.com.bd/content/2010/09/17/news0330.htm পরাবাস্তবাদ ও আবদুল মান্নান সৈয়দ]</ref> ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন [[ইত্তেফাক]] পত্রিকার সাহিত্যবিভাগে "সোনার হরিণ" শিরোনামে একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা কবিতার জগৎেজগতে তাঁর অন্নপ্রাশন হয়েছিল।<ref name="ittefaq.com.bd"/> ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ''জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ'' শিরোনামীয় কাব্যগ্রন্থের মধ্য দিয়ে বাংলা কবিতায় আবদুল মান্নান সৈয়দের অনির্বচনীয় আসনের শিলান্যাস হয়েছিল। জীবদ্দশায় তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ২১। ষাটের দশকের আধুনিকতাবাদী কবিদের মধ্যে আবদুল মান্নান সৈয়দ অন্যতম। তাঁর কাব্যশৈলীর বড় বৈশিষ্ট্য আধুনিকতা ও নন্দনতত্ত্বের বহুমাত্রিক প্রয়োগ। স্যুররিয়ালিস্ট বা পরাবাস্তবতার কবি হিসেবে তিনি খ্যাতিমান ছিলেন। বলা হয়েছে, "তিনি প্রচণ্ড তোলপাড় করা শক্তি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কবিতায় তিনি এনেছেন পরাবাস্তববাদী অনন্য বৈভব।"<ref name="ReferenceA">[http://202.79.16.19/index.php?option=com_content&task=view&id=10068&Itemid=1 অন্তিম শয়ানে কবি আবদুল মান্নান সৈয়দ]</ref>
নতুনতর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে গতানুগতিকতাকে তিনি বরাবরই চ্যালেঞ্জ করেছেন। নিজের রচনায় নিরন্তর তিনি নিরীক্ষা চালিয়েছেন। ফলত: প্রায় পাঁচ দশকের কবি জীবনে তিনি বহু বার বাঁকবদল করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "কবিতায় আমি ভ্রাম্যমাণ। ফলে বছর পঞ্চাশ ধরে কবিতা যে লিখে গেছি, তার মধ্যে যে রূপান্তর তাকে আমি বাধা দিইনি। জোর করে কখনো কবিতা লিখিনি। আজো না। কবিতা আমি তখনই লিখি যখন কবিতা নিজে এসে আমার ওষ্ঠ চুম্বন করে।"<ref>[http://taiyabs.wordpress.com/2008/10/25/abdul-manan-syed/ কবিতা এবং আবদুল মান্নান সৈয়দ ]</ref> প্রতীক-পরাবাস্তব থেকে সহজ-সাধারণসাধারন ধর্মীয় কবিতা; অক্ষরবৃত্ত-মাত্রাবৃত্ত থেকে সনেট ও টানাগদ্য - প্রায় সর্ববিধ আঙ্গিকে তিনি নিরীক্ষাধর্মীতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তবে সর্ব্বদাইসর্বদাই যে প্রণোদনা তাঁর কবিসত্তায় অন্তর্নিহিত ছিল তা' হলো ১৯৩০ দশকের কবিদের প্রভাব মুক্ত হয়ে বাংলা আধুনিক কবিতায় নতুন একটি দিগণ্তদিগন্ত সৃষ্টি করা।<ref>[http://www.shomoy24.com/index.php/2009-10-11-12-28-57/24-2009-10-11-12-26-31/13974-2010-09-08-19-34-23 একজন শুদ্ধতম কবি - সাযযাদ কাদির]</ref> বহুলপ্রজ এই কবির কবিজীবনে সবচেয়ে ফলপ্রসূ সময় আশীরআশির দশক। এই কালপরিধিতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ৬টি কাব্যগ্রন্থ। শৈলী ও বিষয়বস্তুর বৈচিত্রে এই কাব্যগ্রন্থগুলো ভাস্বর, বহুবর্ণিল। ''নির্বাচিত কবিতা'' (২০০১) শিরোনামীয় সংকলনগ্রন্থে তাঁর কবিসত্তার সামগ্রিক পরিচয় পাওয়া যায়।<ref>[http://www.banglanews24.org/newlocation/bangla/detailsnews.php?nssl=a4b4a777d704346280fc18fc9ca1d6b1&nttl=201009067536 আবদুল মান্নান সৈয়দ- অতৃপ্ত ও অস্তিত্ববাদীর প্রস্থান]</ref>
 
=== সাহিত্য-সমালোচনা ===