তন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
৭ নং লাইন:
''তন্ত্র'' পরম্পরাগত মাধ্যমে যুক্ত একটি [[আগম]]শাস্ত্র। ভারতীয় পরম্পরায়, যে কোনো ব্যবস্থিত গ্রন্থ, সিদ্ধান্ত, বিধি, উপকরণ, কলাকৌশল বা কার্যপ্রণালীকেও ''তন্ত্র'' বলা হয়।<ref>Ron Barrett (2008). Aghor Medicine. University of California Press. p. 12. ISBN 978-0-520-25218-9.</ref><ref>[https://en.wikipedia.org/wiki/Tantra#CITEREFFlood2006 Flood 2006], pp. 9–14.</ref>
 
হিন্দু ঐতিহ্যে, তন্ত্র প্রধানত [[শাক্তধর্ম|শাক্ত সম্প্রদায়ের]] সঙ্গে যুক্ত, তারপর [[শৈবধর্ম|শৈব সম্প্রদায়]], ও কিছু ক্ষেত্রে [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব]] পরম্পরার সাথেও সম্পৃক্ত।<ref>[https://en.wikipedia.org/wiki/Tantra#CITEREFFlood2006 Flood 2006], pp. 7–8, 61, 102–103.</ref> শৈব পরম্পরায় তন্ত্র গ্রন্থের বক্তা সাধারণত মহাদেব [[শিব]], যেখানে তিনি দেবী [[পার্বতী]]র তন্ত্রসম্বন্ধীয় প্রশ্নের বিধিগত উপদেশমূলক উত্তর প্রদান করেন। বৌদ্ধধর্মের [[বজ্রযান]] সম্প্রদায় তাঁদের তন্ত্র-সম্বন্ধিত নীতি, কর্মপদ্ধতি ও সাহিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ।
 
'''তন্ত্র'''-এর আক্ষরিক উদ্ভব মনে করা হয় এরূপে - “তনোতি ত্রায়তি তন্ত্র”।
২৬ নং লাইন:
[[বাচস্পতি মিশ্র]] তাঁর [[যোগভাষ্য]]ের তত্ববৈশারদী ব্যাখ্যায় 'আগম' শব্দের অর্থ করতে গিয়ে লিখেছেন যে, যার দ্বারা অভ্যুদয় (লৌকিক কল্যাণ) ও নিঃশ্রেয়স (মোক্ষ) -এর উপায় বুদ্ধিগোচর হয়, তাকে 'আগম' বলা হয়।
 
তন্ত্র বা আগমে ব্যবহারই মুুখ্য,; তন্ত্রে ক্রিয়া ও অনুষ্ঠানের প্রতি জোর দেওয়া হয়। তন্ত্রশাস্ত্রের যে সাতটি লক্ষণ রয়েছে, তাতে জ্ঞান, কর্ম ও উপাসনার ব্যবহারিক বা আচরণীয় উপায়ের রূপ বর্ণিত হয়েছে। এই সাতটি লক্ষণ হল:
*সৃষ্টি
*প্রত্যয়
৩৫ নং লাইন:
*[[ধ্যান]] (ইষ্টদেবতার স্বরূপ একাগ্র তল্লীন মনে চিন্তন)
 
তন্ত্রের দৃষ্টিতে শরীর প্রধান নিমিত্ত; শরীর ছাড়া [[চেতনা]]র উচ্চস্তরে পৌঁছানো যায় না। এজন্য তন্ত্রের গূঢ়ার্থ নিজ 'তন' বা দেহের মাধ্যমে আপন আত্মার 'ত্রাণ' বা উদ্ধারও বলা হয়ে থাকে। বাস্তবক্ষেত্রে, তন্ত্রসাধনায় শরীর, মন ও কায়-কলেবরের সূক্ষতম স্তরের সুসমন্বিত ব্যবহার ঘটে। তবে এটি অবশ্যই সত্য যে, তন্ত্রে শরীরকে মন, বুদ্ধি ও চেতনার সমানই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
 
==আরও দেখুন==