লালবাগের কেল্লা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

লালবাগ কেল্লার তিনটি স্থাপনার মধ্যে অন্যতম এটি। এখানে পরিবিবিপরী বিবি সমাহিত আছেন। শায়েস্তা খানখাঁ তাঁর কন্যার স্মরণে এই মনমুগ্ধকর মাজারটি নির্মাণ করেন।লালবাগকরেন। লালবাগ কেল্লার তিনটি বিশাল দরজার মধ্যে বর্তমানে জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত মাত্র একটি দরজা ।এইদরজা। এই দরজা দিয়ে ঢুকলে বরাবর সোজা চোখে পড়ে পরী বিবির সমাধি। আসলে " লালবাগ কেল্লা " বলতে যেই ছবিটি বেশী পরিচিত সেটি মূলত পরী বিবির সমাধির ছবি।পরিবিবিছবি। পরী বিবি যার অন্য নাম '''ইরান দুখত রাহমাত বানু''' ছিলেন বাংলার মুঘল শায়েস্তা খানেরখাঁর কন্যা। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা আজম এর সাথে ১৬৬৮ ইং সালের ৩ মে পরিবিবিরপরী বিবির বিয়ে হয়। ১৬৮৪ সালে পরিবিবিরপরী অকালবিবির মৃত্যুরঅকালমৃত্যুর পর তাঁকে নির্মাণাধীন লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তরে সমাহিত করা হয়। তাঁর সমাধীস্থলকে চিহ্নিত করে পরিবিবিরপরী বিবির মাজার নির্মিত হয়। পরিবিবিরপরী বিবির মাজার এর স্থাপনাটি চতুষ্কোন।চতুষ্কোণ। মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর ও বিভিন্ন রং এর ফুল-পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে। মাঝের একটি ঘরে পরিবিবিরপরী বিবির সমাধিস্থল এবং এই ঘরটি ঘিরে আটটি ঘর আছে। স্থাপনাটির ছাদ করবেল পদ্ধতিতে কষ্টি পাথরে তৈরীতৈরি এবং চারকোণে চারটি অষ্টকোণ মিনার ও মাঝে একটি অষ্টকোণ গম্বুজ আছে। মূল সমাধি সৌধেরসমাধিসৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের এই গম্বুজটি একসময়ে স্বর্ণখচিত ছিল , পরবর্তীতে পিতলের/ তামার পাত দিয়ে পুরো গম্বুজটিকে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থাপনাটিরহয়েছে। স্থাপনাটির অভ্যন্তর ভাগ সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে আচ্ছাদিত। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Bibi_Pari|title=বাংলাপিডিয়া|work=}}</ref>.<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.daily-sun.com/post/140008/Seven-places-in-old-Dhaka-mesmeriging-tourists|title=The Daily Sun|work=}}</ref>. ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের পুর্বে নির্মিত। তবে এখানে পরীবিবিরপরী বিবির মরদেহ বর্তমানে নেই বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।&nbsp;

=== তিন গম্বুজওয়ালা&nbsp; দুর্গ মসজিদ (শাহী মসজিদ) ===

লালবাগ কেল্লা মসজিদ, সম্রাট আওরঙ্গজেবের ৩য়তৃতীয় পুত্র শাহজাদা আজম বাংলার সুবাদার থাকাকালীন এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ১৬৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে। আয়তাকারে (১৯.১৯ মি: × ৯.৮৪ মি) নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এদেশের প্রচলিত মুঘল মসজিদের একটি আদর্শ উদাহরণ। বর্তমানেও মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

শায়েস্তা খাঁর বাসভবন ও দরবার হল বর্তমানে লালবাগ কেল্লা জাদুঘর হিসেবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্তউন্মুক্ত।