সৈয়দ শামসুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ উদ্ধৃতি টেমপ্লেটের তারিখ সংশোধন |
অ উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ও অন্যান্য সংশোধন |
||
১ নং লাইন:
{{জন্য|একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য|শামসুল হক}}
{{তথ্যছক লেখক
|
|
| চিত্রের_আকার = 250px
| caption = সৈয়দ শামসুল হক▼
| শিরোলিপি = সৈয়দ শামসুল হক
| স্থানীয়_নাম =
| birth_place = [[কুড়িগ্রাম]], [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারত]]▼
|
| death_place = ইউনাইটেড হাসপাতাল, [[ঢাকা]], [[বাংলাদেশ]]▼
| মৃত্যু_তারিখ = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|২০১৬|০৯|২৭|১৯৩৫|১২|২৭}}
| resting_place = [[কুড়িগ্রাম]], [[বাংলাদেশ]]▼
| occupation = কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, অনুবাদক▼
| nationality = [[বাংলাদেশী]]▼
| বাসস্থান =
| citizenship = {{পতাকা|বাংলাদেশ}} ▼
| education = [[ইংরেজি]]▼
| alma_mater = [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]▼
|
|
▲| notableworks = {{unbulleted list | ''[[নিষিদ্ধ লোবান]]'' | ''[[খেলারাম খেলে যা]]'' | ''পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়'' | ''নুরুলদীনের সারাজীবন''}}
|
|
▲| awards = [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]], [[একুশে পদক]], [[স্বাধীনতা পুরস্কার]]
▲| birthname = সৈয়দ শামসুল হক
}}
'''সৈয়দ শামসুল হক''' ([[২৭ ডিসেম্বর]] [[১৯৩৫]] - [[২৭ সেপ্টেম্বর]] [[২০১৬]]) বিংশ শতাব্দীর শেষাভাগে সক্রিয় একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সাহিত্যিক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাঁকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়। তার লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছর ব্যাপী বিস্তৃত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== প্রাথমিক জীবন ==
সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের [[কুড়িগ্রাম জেলা]]য় জন্মগ্রহণ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== শিক্ষা জীবন ==
সৈয়দ হকের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। সেখানে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুলে। এরপর [[১৯৫০]] খ্রিষ্টাব্দে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে সৈয়দ শামসুল হক ম্যাট্রিক (বর্তমানের এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সৈয়দ শামসুল হকের পিতার ইচ্ছা ছিল তাকে তিনি ডাক্তারি পড়াবেন। পিতার ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে তিনি ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে [[মুম্বাই|বম্বে]] পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বছরখানেকের বেশি সময় এক সিনেমা প্রডাকশন হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর [[১৯৫২]] খ্রিষ্টাব্দে তিনি দেশে ফিরে এসে [[জগন্নাথ কলেজ|জগন্নাথ কলেজে]] নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হন। কলেজ পাসের পর [[১৯৫৪]] খ্রিষ্টাব্দে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে স্নাতক পাসের আগেই [[১৯৫৬]] সনে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর তাঁর প্রথম উপন্যাস ''দেয়ালের দেশ'' প্রকাশিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== কর্মজীবন ==
সৈয়দ হক তার বাবা মারা যাবার পর অর্থকষ্টে পড়লে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[মাটির পাহাড়]] চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। পরে ''তোমার আমার'', ''শীত বিকেল'', [[কাঁচ কাটা হীরে]], [[ক খ গ ঘ ঙ]], [[বড় ভাল লোক ছিল]], [[পুরস্কার (চলচ্চিত্র)|পুরস্কার]]সহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেন। [[বড় ভাল লোক ছিল]] ও [[পুরস্কার (চলচ্চিত্র)|পুরস্কার]] এই দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] অর্জন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== পারিবারিক জীবন ==
সৈয়দ হক প্রথিতযশা লেখিকা ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. [[আনোয়ারা সৈয়দ হক]]কে বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== সাহিত্যকর্ম ==
সৈয়দ শামসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী তাঁর রচিত প্রথম পদ তিনি লিখেছিলেন এগারো-বারো বছর বয়সে। টাইফয়েডে শয্যাশায়ী কবি তাঁর বাড়ির রান্নাঘরের পাশে সজনে গাছে একটি লাল টুকটুকে পাখি দেখে দু’লাইনের একটি পদ "আমার ঘরে জানালার পাশে গাছ রহিয়াছে/ তাহার উপরে দুটি লাল পাখি বসিয়া আছে" রচনা করেন। এরপর [[১৯৪৯]]-[[১৯৫০|৫০]] খ্রিষ্টাব্দের দিকে ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরে ব্যক্তিগত খাতায় ২০০টির মতো কবিতা রচনা করেন।
সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় [[১৯৫১]] খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে। [[ফজলে লোহানী]] সম্পাদিত '[[অগত্যা]]' পত্রিকায়। সেখানে 'উদয়াস্ত' নামে তাঁর একটি গল্প ছাপা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
=== কবিতা ===
সৈয়দ হকের কবিতায় রয়েছে গভীর অনুপ্রেরণা। তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ''একদা এক রাজ্যে'' ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়। পরে ''বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা'', ''পরাণের গহীন ভেতর'', ''নাভিমূলে ভস্মাধার'', ''আমার শহর ঢাকা'', ''বেজান শহরের জন্য কেরাম'', ''বৃষ্টি ও জলের কবিতা'' কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে পাঠকমহলে জনপ্রিয় করে তুলে। সৈয়দ হক মৃত্যুর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী [[শেখ হাসিনা]]র জন্মদিন উপলক্ষে তার শেষ কবিতা লিখেন। কবিতার নাম ''আহা, আজ কি আনন্দ অপার!''।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
=== উপন্যাস ===
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৫৬ সালে প্রথম উপন্যাস ''দেয়ালের দেশ'' প্রকাশিত হয়। তার রচিত ''এক মহিলার ছবি'' (১৯৬১), ''অনুপম দিন'' (১৯৬২), ''সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪)'' উপন্যাসগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। ষাটের দশকে তার রচিত উপন্যাসগুলো ''পূর্বাণী'' পত্রিকায় ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
=== কাব্যনাট্য ===
সৈয়দ হক নাট্যকার হিসেবে সফলতা পেয়েছেন। বিবিসি বাংলায় নাটকে কাজ করার মাধ্যমে তিনি নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান। তার ''পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়'' নাটকে ধর্মীয় বিষয়ে মানুষের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তার পরের নাটক ''নুরুলদীনের সারাজীবন'' ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== মৃত্যু ==
২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিলে তাকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে পরীক্ষায় তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== গ্রন্থতালিকা ==
১৬৮ ⟶ ১৬০ নং লাইন:
* শ্রেষ্ঠ উপন্যাস
* শ্রেষ্ঠ কবিতা
* মুখ (১৯৯১)<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
{{div col end}}
২৩১ ⟶ ২২৩ নং লাইন:
* নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, [[১৯৯০]]
* টেনাশিনাস পদক, ১৯৯০
* মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার [[২০১১]] <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
*[[ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার]], ২০১১<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== আরও দেখুন ==
২৪৯ ⟶ ২৪১ নং লাইন:
{{একুশে পদক}}
{{
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩৫-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১৬-এ মৃত্যু]]
|