জিয়া হায়দার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

| nameনাম = জিয়া হায়দার

| imageচিত্র = =

| birth_placeসমাধিস্থল = দোহারপাড়া, [[পাবনা জেলা]], [[ব্রিটিশ ভারত]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]])

| nationalityজাতীয়তা = [[বাংলাদেশী]]

| languageপুরস্কার = [[বাংলা ভাষা|বাংলাএকাডেমি পুরস্কার]] <br /> [[একুশে পদক]]

'''জিয়া হায়দার''' ([[১৮ নভেম্বর]] [[১৯৩৬]] - [[২ সেপ্টেম্বর]] [[২০০৮]]) একজন [[বাংলাদেশী]] [[লেখক]], [[কবি]], [[নাট্যকার]], [[অনুবাদক]] ও [[অধ্যাপক]]। তার পুরো নাম শেখ ফয়সাল আব্দুর রউফ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হায়দার। তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা)-এর প্রতিষ্ঠাতা।<ref name="মনে পড়ে">{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.dainikazadi.org/details2.php?news_id=1923&table=november2014&date=2014-11-18&page_id=5 |titleশিরোনাম=জিয়া হায়দার : মনে পড়ে |newspaperসংবাদপত্র=দৈনিক আজাদী |authorলেখক=শুভ্রা বিশ্বাস |dateতারিখ=২ সেপ্টেম্বর ২০০৮ |locationঅবস্থান=ঢাকা, বাংলাদেশ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০১৬}}</ref> তিনি ৭টি কাব্যগ্রন্থ, ৪টি নাটক লিখেছেন এবং বেশ কিছু নাটক অনুবাদ করেছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৭ সালে [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]] এবং ২০০১ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান [[একুশে পদক]]-এ ভূষিত হন।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.porua.com.bd/author/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-zia-haider |titleশিরোনাম=জিয়া হায়দার |workকর্ম=পড়ুয়া |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০১৬}}</ref>

জিয়া হায়দার ১৯৩৬ সালের ১৮ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাবনা জেলার দোহারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাকিমউদ্দিন শেখ ও মা রহিমা খাতুন। বাবা মায়ের সাত ছেলে ও সাত মেয়ে। তিনি ছিলেন ছেলেদের মধ্যে সবার বড়। তার ছোট ভাই [[রশীদ হায়দার]], মাকিদ হায়দার, [[দাউদ হায়দার]], জাহিদ হায়দার,আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার - সবাই দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে জড়িত।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.sachalayatan.com/f_elias/17975 |titleশিরোনাম=চলে গেলেন কবি জিয়া হায়দার |authorলেখক=ফকির ইলিয়াস |workকর্ম=সচলায়তন |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০১৬}}</ref>

জিয়া পড়াশুনা শুরু করেন তার বাবার প্রতিষ্ঠিত আরিফপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করে তিনি ভর্তি হন পাবনা জেলা স্কুলে। পরে ১৯৫২ সালে গোপালচন্দ্র ইন্সটিটিউশন থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং ১৯৫৬ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর ভর্তি হন রাজশাহী কলেজে। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স পাস করেন। পরে ১৯৬১ সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারের বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের [[হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়]]-এ নাট্যকলায় ভর্তি হন এবং সেখান থেকে নাট্যকলায় এম.এফ.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সানফ্রান্সিসকো স্টেট কলেজ ও নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি নাট্যকলা বিষয়ে পড়াশুনা করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের [[বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে 'সার্টিফিকেট ইন শেক্সপিয়ার থিয়েটার' ডিগ্রি লাভ করেন।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.uttorbangla.com/77530 |titleশিরোনাম=জিয়া হায়দার |dateতারিখ=২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |workকর্ম=উত্তরবাংলা |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০১৬}}</ref>

জিয়া হায়দার কর্মজীবন সাংবাদিকতা দিয়ে। ১৯৬১ সালে তিনি সাপ্তাহিক পত্রিকা 'চিত্রালি'-তে যোগ দেন। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জের [[সরকারী তোলারাম কলেজ]]-এ অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। মাঝে কিছুদিন [[বাংলা একাডেমি]]র সংস্কৃতি বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপরে পাকিস্তান টেলিভিশনে সিনিয়র প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭০ সালে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের]] চারুকলা বিভাগের নাট্যকলা শাখায় সহকারী হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন।<ref name="স্মরণে জিয়া">{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.nokkhotro.com/k2gxbk9i11/blog/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0 |titleশিরোনাম=স্মরণে জিয়া হায়দার |authorলেখক=শফিক সোহাগ |workকর্ম=নক্ষত্র |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০১৬}}</ref> তিনি টেলিভিশনে থাকাকালীন সময়ে পরিচয় হওয়া সমমনাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন 'নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়' এবং ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে এম.এফ.এ ডিগ্রি চালু করেন। এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যায়তনিক নাট্যকলা শিক্ষার সূত্রপাত হয়। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি সিলেবাস প্রণয়ন, নাটকের ইতিহাস, তথ্য, প্রকার ও প্রকরণ অনুবাদ করেন বাংলায়। ১৯৯১ সালে তার প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা শাখায় অনার্স শুরু হয়। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা)। ২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থাকাকালীন অবসর নেন।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=246 |titleশিরোনাম=জিয়া হায়দার |authorলেখক=চন্দন সাহা রায় |workকর্ম=গুণীজন |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০১৬}}</ref>

জিয়া হায়দার শেষ জীবনে ক্যান্সারে আক্রান্তে হন। ২০০৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পাবনা জেলায় তার নিজ গ্রাম দোহারপাড়া সংলগ্ন পাবনা সদর গোরস্থানে(আরিফপুর গোরস্থান নামে খ্যাত) সমাহিত করা হয়।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.goldenbangladesh.com/eminentPeople/130.html |titleশিরোনাম=জিয়া হায়দার|workকর্ম=গোল্ডেন বাংলাদেশ |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=১ অক্টোবর ২০১৬}}</ref>

{{DEFAULTSORTপূর্বনির্ধারিতবাছাই:হায়দার, জিয়া}}