মুক্ত ও উন্মুক্ত উৎসের সফটওয়্যার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
৫২ নং লাইন:
 
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এর জন্য কম্পিউটার সফটওয়্যার লাইসেন্সটি প্রতিষ্ঠানের চিহ্নের জন্য যোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য ওপেন সোর্স ডিফারিনিশন ওপেন সোর্স ইনিশিয়েটিভ দ্বারা ব্যবহৃত হয়। ব্রুস পেরিন দ্বারা প্রাথমিকভাবে লিখিত এবং অভিযোজিত ডেবিয়ান ফ্রি সফ্টওয়্যার নির্দেশিকা উপর ভিত্তি করে এই সংজ্ঞাটি প্রযোজ্য ছিল। ওপেন সোর্স: ওপেন সোর্স বিপ্লব, জানুয়ারি ১৯৯৯, ভয়েসেস, প্যারেনস পরবর্তীতে বলেছেন যে তিনি মুক্ত উত্সাহের এরিয়েল রেমন্ডের প্রচারটি অনুভব করে নিঃসন্দেহে ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টার ছায়ায় ছড়িয়ে পড়ে মুক্ত সফটওয়্যারের জন্য তার সমর্থন নিশ্চিত করেছে।
 
==ওপেন সোর্সের সুবিধা==
 
এই অবস্থায় আপনি হয়তো বলবেন, “আরে ভাই সোর্স কোড নিয়ে আমি কি করবো? আমি তো প্রোগ্রামিং পারি না”। ঠিক আছে, আপনি যদি এক লাইন প্রোগ্রামিং ও না পারেন তারপরেও আপনার ওপেন সোর্সকে সমর্থন করা প্রয়োজন। কেন? চলুন আমি নিচে কিছু কারন দর্শাচ্ছি।
 
===ওপেন-সোর্স, কমিউনিটি তৈরি করতে সাহায্য করে===
যখন কোন সোর্স কোডকে পাবলিক হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়, তখন যেকোনো ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার সেই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এই অর্জিত জ্ঞান তাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমনটা লাইব্রেরীতে হয়ে থাকে, সেখানে একই বিষয়ের উপর বিভিন্নভাবে লেখা বিভিন্ন বই থাকে, যাতে বিষয়টিকে আরো ভালো ভাবে এক্সপ্লোর করা সম্ভব হয়। ওপেন-সোর্স নিয়ে কাজ করলে নিজের মেধা, পরিশ্রম, এবং সৃজনশীলতা এবং সকলের সাহায্য নিয়ে একেবারে নতুন কিছু উদ্ভবন করা সম্ভব।
 
===এটি দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়===
মালিকানা কোন সফটওয়্যারে বা ক্লোজ সফটওয়্যারে কোন ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেলে, ব্যবহারকারীগনদের অপেক্ষা করতে হয়, যতক্ষণ না সেই সফটওয়্যার কোম্পানিটি তা ঠিক করে নতুন ভার্সন উন্মুক্ত করে, আর এটা অনেক সময় অনেক দেরি লাগিয়ে ফেলে। কিন্তু ওপেন-সোর্স সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে, আপনি ঠিক করতে না পারেন, কিন্তু হাজার হাজার ডেভেলপার রয়েছে, যাদের চোখ এড়িয়ে কোন ত্রুটি চলে যাওয়া মুশকিল, তারা দ্রুতই সেই ত্রুটি ফিক্স করে ফেলে। নামে ওপেন সোর্সে যেকোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি অনেক দ্রুত সমাধান হতে পারে।
 
===ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্যতার সৃষ্টি করে===
ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার বৈচিত্র্যতার জন্য বিশেষভাবে বিশিষ্ট। লিনাক্সের কতো গুলো ফ্লেভার রয়েছে, জেনেনই তো। আবার মজিলা ফায়ারফক্সের কতো গুলো ভাই ব্রাউজার রয়েছে তাও জানেন। এমনকি গুগল ক্রোম ব্রাউজারও ক্রমিয়াম নামক ওপেন-সোর্স প্রোজেক্ট থেকে প্রস্তুত। যখন প্রত্যেকেই কোন প্রোজেক্টকে নিজের হাতের নেয়ার ক্ষমতা পায়, এবং নিজের আইডিয়াতে রাঙাতে পারে, তখন অবশ্যই আপনি একসাথে অনেক বৈচিত্র্যতার সন্ধান পাবেন।
 
===ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার দায়িত্বকে প্রচার করে===
যখন আপনি কোন প্রোগ্রামের সোর্স-কোড দেখতে পান, তখন আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, ডেভেলপার কোন ম্যালিসিয়াস কিছু আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করাচ্ছে কিনা। যেমন ধরুন কীপাস একটি ওপেন-সোর্স পাসওয়ার্ড ম্যানেজার, যার মানে আপনি চেক করতে পারবেন যে, ডেভেলপাররা আপনার পাসওয়ার্ড চুরি করছে কিনা।
 
দায়িত্ব অনেক বড় একটি বিষয়, যখন এটি দেখানোর প্রশ্ন আসে ডিজিটাল নির্বাচন বুথে। বেশিরভাগ ভোটিং প্রোগ্রাম গুলো ক্লোজ সোর্স হয়ে থাকে, যেখানে আপনি এর সোর্স কোড গুলো অ্যাক্সেস করার সুবিধা পান না, ফলে আপনি জেনেন না যে সফটওয়্যারটি ভোটের হেরাফেরি করছে কিনা। নির্বাচনে দুর্নীতি হটানোর জন্য এই প্রোগ্রাম গুলোকে ওপেন সোর্স করা প্রয়োজন, যাতে অনেক ডেভেলপার একসাথে সফটওয়্যারটিকে নিরিক্ষা করতে পারে।
 
== সরকারী ভাবে গ্রহন করা ==