|
== ইতিহাস ==
ইন্টারনেট সৃষ্টি এবং ব্যবহার যখন বাড়তে থাকে ঠিক তখন থেকেই মূলত এসইও (SEO)-এর যাত্রা শুরু হয় । যদিও তখন এসইও (SEO)-এর ব্যবহার বা এসইও এলগরিদম বর্তমান অবস্থার মত ছিলো না।
ওয়েবমাস্টার্স এবং কন্টেন্ট প্রোডাক্টররা ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলোত জন্য ওয়েবসাইট অপটিমাইজ শুরু করেছিল, কারণ প্রথম সার্চ ইঞ্জিনগুলি প্রাথমিক ওয়েবকে তালিকাভুক্ত করছিলো। প্রাথমিকভাবে, সমস্ত ওয়েবমাস্টারের প্রয়োজন শুধুমাত্র একটি পৃষ্ঠা, অথবা URL এর বিভিন্ন ইঞ্জিনের ঠিকানা জমা দিতে যা "স্পাইডার" পৃষ্ঠাটি "ক্রল" পাঠাতে পারে, এটি থেকে অন্য পৃষ্ঠাগুলিতে লিঙ্কগুলি বের করে এবং পৃষ্ঠায় পাওয়া তথ্য ফেরত দেয়। সূচক করা হবে এই প্রক্রিয়াটিতে একটি সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডার একটি পৃষ্ঠা ডাউনলোড করে এবং অনুসন্ধান ইঞ্জিনের নিজস্ব সার্ভারে এটি সংরক্ষণ করে। একটি দ্বিতীয় প্রোগ্রাম, একটি ইন্ডেক্সার হিসাবে পরিচিত, পৃষ্ঠা সম্পর্কে তথ্য নিষ্কাশন করে, যেমন এটি অন্তর্ভুক্ত শব্দ, যেখানে তারা অবস্থিত, এবং নির্দিষ্ট শব্দ জন্য কোন ওজন, সেইসাথে পাতা অন্তর্ভুক্ত সমস্ত লিঙ্ক। এই সমস্ত তথ্য তারপর পরবর্তী তারিখে ক্রল করার জন্য একটি নির্ধারণকারী মধ্যে স্থাপন করা হয়।
যখন ইন্টারনেট এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং এর ব্যবহার ও বাড়তে থাকে তখন সকল ওয়েবসাইটকে সংগঠিত করা বা একত্রিত করে ওয়েবসাইটগুলোতে শ্রেণিবিন্যাস করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে । ঠিক তখনই সার্চ ইঞ্জিন এর ডেভেলপ শুরু হয়ে যায় আর এটি করেন ওয়েবমাস্টারগণ । তারা মূলত সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলের উপর প্রচুর পরিমাণে গবেষণা শুরু করেন এবং এভাবেই সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন এর যাত্রা শুরু হয়।
<b>১৯৯৫-১৯৯৬</b>
ওয়েবসাইট মালিকদের সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলের একটি উচ্চ র্যাংকিং এবং ভিজিবিলিটি মান স্বীকৃত, সাদা টুপি এবং কালো হিট এসইও অনুশীলনকারীদের উভয়ের জন্য একটি সুযোগ তৈরি। শিল্প বিশ্লেষক ড্যানি সুলিভান মতে, "সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান" সম্ভবত ১৯৯৭ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল। সুলেভান শব্দটি জনপ্রিয় করার জন্য প্রথম মানুষ হিসেবে ব্রুস ক্লেকে কৃতিত্ব দেয়। ২ মে, ২০০৭ তারিখে, জেসন গ্যামবার্ট টার্মিনালটি এসইও অ্যারিজোনাতে ট্রেডমার্ক অফিসকে বিশ্বাস করে যে এসইও একটি "প্রক্রিয়া" যা কীওয়ার্ডগুলির ম্যানিপুলেশন এবং "মার্কেটিং সার্ভিস" নয়।
এরপর ১৯৯৫ সালে এসইও প্রথম অফিসিয়ালভাবে যাত্রা শুরু করে। [[ইয়াহু]] ডেভেলপারগন সর্ব প্রথম এ্যালফ্যাবেটিক অপটিমাইজেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন খুব বেশি সময় নয়, মাত্র ১ বছরেই অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে এসইও এর ব্যাপকতা শুরু হয় । কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি এর উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদম করা হতো তখন ।
অনুসন্ধান অ্যালগরিদমগুলির প্রারম্ভিক সংস্করণগুলি ওয়েবমাস্টার-প্রদত্ত তথ্যের উপর নির্ভরশীল যেমন কীওয়ার্ড মেটা ট্যাগ বা ALIWEB ইঞ্জিনের ইনডেক্স ফাইল। মেটা ট্যাগ প্রতিটি পৃষ্ঠার বিষয়বস্তুতে একটি নির্দেশিকা প্রদান করে। সূচক পৃষ্ঠায় মেটা ডেটা ব্যবহার করা নির্ভরযোগ্য থেকে কম পাওয়া গেছে, কারণ, মেটা ট্যাগের মধ্যে ওয়েবমাস্টারের কীওয়ার্ডগুলির পছন্দটি সম্ভবত সাইটের প্রকৃত কন্টেন্টের একটি অগ্রহণযোগ্য উপস্থাপনা হতে পারে। মেটা ট্যাগগুলির মধ্যে অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং অসঙ্গত তথ্যগুলি অপ্রাসঙ্গিক অনুসন্ধানগুলির জন্য পৃষ্ঠাগুলিকে স্থান দিতে পারে। ওয়েব কনটেন্ট প্রদানকারীরা অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলির মধ্যে র্যাংক করার চেষ্টা করে একটি পৃষ্ঠার HTML উৎসের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহার করে। ১৯৯৭ সাল নাগাদ সার্চ ইঞ্জিন ডিজাইনাররা স্বীকৃত যে ওয়েবমাস্টাররা তাদের সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্কিং করার চেষ্টা করছে, এবং কিছু ওয়েবমাস্টার এমনকি সার্চ রেজাল্টেও তাদের ফলাফলগুলিকে অত্যধিক বা অপ্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড দিয়ে পৃষ্ঠাগুলি ছাঁটাই করে ছাঁটাতেও সক্ষম হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান ইঞ্জিন, যেমন আলতাভিস্তা এবং ইনফোসেক, তাদের ম্যানুফুলেটিং র্যাংকিং থেকে ওয়েবমাস্টারদের প্রতিরোধ করার জন্য তাদের অ্যালগরিদমগুলি সমন্বয় করে।
<b>১৯৯৮- ২০০৭</b>
যেমন কিওয়ার্ড ডেঞ্জিটিহুইচ যেমন বিষয়গুলি উপর নির্ভর করে একটি ওয়েবমাস্টার নিয়ন্ত্রণ মধ্যে একচেটিয়াভাবে ছিল, প্রাথমিক সার্চ ইঞ্জিন অপব্যবহার এবং র্যাংকিং ম্যানিপুলেশন থেকে ভোগা। তাদের ব্যবহারকারীদের ভাল ফলাফল প্রদান করার জন্য, অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলি তাদের ফলাফল পৃষ্ঠাগুলিকে অনিশ্চিত ওয়েবমাস্টারগুলি দ্বারা অসংখ্য কীওয়ার্ডগুলির সাথে ছড়িয়ে থাকা পৃষ্ঠার পরিবর্তে সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক অনুসন্ধান ফলাফলগুলি দেখানোর জন্য মানিয়ে নিতে হবে। এটি শব্দভিত্তিক সংকেত অঙ্কন করার জন্য শব্দ ঘনত্ব উপর একটি বৃহত্তর প্রক্রিয়া আরও ভারী সোপান থেকে দূরে সরানো মানে। যেহেতু সার্চ ইঞ্জিনের সাফল্য এবং জনপ্রিয়তার কারণে যে কোনও অনুসন্ধানের জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক ফলাফল তৈরির ক্ষমতা দ্বারা নির্ধারিত হয়, খারাপ মানের বা অপ্রাসঙ্গিক অনুসন্ধান ফলাফলগুলি ব্যবহারকারীদের অন্যান্য অনুসন্ধান উত্স খুঁজে পেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনগুলি আরও জটিল র্যাংকিং অ্যালগরিদম বিকশিত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা ওয়েবমাস্টারদের নিপূণভাবে নিপূণভাবে নিখুঁত করে তুলতে পারে। ২০০৫ সালে, একটি বার্ষিক সম্মেলন, অ্যারওয়েব, অ্যাডভাস্টারিয়াল ইনফরমেশন রিট্রিভাল অন দ্য ওয়েব তৈরি করা হয়েছিলো যা একসঙ্গে গবেষক ও গবেষককে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল।
এরপর ১৯৯৭ সালের কোন এক সময় ইয়াহু ওয়েবমাস্টার ওয়েবসাইট সাবমিশন করে।
নিখুঁত আক্রমনাত্মক কৌশল নিয়োগের কোম্পানি অনুসন্ধান ফলাফল থেকে তাদের ক্লায়েন্ট ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ পেতে পারেন। ২০০৫ সালে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ট্র্যাফিক পাওয়ার নামে একটি কোম্পানির রিপোর্ট করেছে, যা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কৌশলগুলি ব্যবহার করেছে এবং তার ক্লায়েন্টদের কাছে সেই ঝুঁকিগুলি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওয়্যার্ড ম্যাগাজিন রিপোর্ট করেছে যে একই কোম্পানী ব্লগার এবং এসইও হারুন ওয়ালকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করার অভিযোগ করেছে। গুগল এর ম্যাট কাটস পরে নিশ্চিত করেছে যে গুগল আসলে ট্র্যাফিক পাওয়ার এবং তার কিছু ক্লায়েন্ট নিষিদ্ধ করেছে।
এরপর ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের কোন এক সময়ই গুগল জন্ম হয়। তখন [[গুগল]] সাম্প রুল শুরু করে এবং এর জন্য গুগল কে নতুন ভাবে এলগরিদম করতে হয় । বলে
নেওয়া ভালো, [[এলগরিদম]] হল এক ধরনের প্রোগ্রামিং জার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন সব ধরনের কাজ করে। এ সময় এলগরিদম একটু আপডেটেড হয়।
কিছু সার্চ ইঞ্জিনগুলিও এসইও শিল্পে পৌঁছেছে এবং এসইও কনফারেন্স, ওয়েবচ্যাট এবং সেমিনারগুলিতে ঘন ঘন পৃষ্ঠপোষক এবং অতিথি প্রধান অনুসন্ধান ইঞ্জিন ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজেশান সাহায্য করার জন্য তথ্য এবং নির্দেশিকা প্রদান। গুগল ওয়েবমাস্টারকে সাহায্য করার জন্য গুগল- এ একটি সাইট-ম্যাপস-প্রোগ্রাম রয়েছে যাতে গুগল তার ওয়েবসাইটে সূচী সূচনার কোনও সমস্যায় পড়তে পারে এবং ওয়েবসাইটটিতে গুগল ট্র্যাফিকের তথ্যও সরবরাহ করে। বিং ওয়েবমাস্টার সরঞ্জামগুলি ওয়েবমাস্টারকে একটি সাইটম্যাপ এবং ওয়েব ফিড জমা দেওয়ার একটি উপায় প্রদান করে, ব্যবহারকারীরা "ক্রল রেট" নির্ধারণ করতে এবং ওয়েব পৃষ্ঠা সূচী স্থিতিটি ট্র্যাক করতে দেয়।
তবে গুগলের এই সাম্প রুল ভাল ভাবে যাত্রা শুরু করতে আরও প্রায় ২-৩ বছর সময় লেগে যায়। এ সকল সাম্প ট্যাকটিকস নিয়ে ২০০০-২০০৭ সালের দিকে গুগলের এসইও এক্সপার্টরা র্যাংক ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো ক্যাটাগরি আনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করা শুরু করে।
কিন্তু এ সময় কিছু সমস্যা ছিল তখন এসইও এর পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী এসইও এক্সপার্টগন তাদের ওয়েবসাইটি সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিশন করতেন এবং ডিরেকটরি টাইপের কিছু লিংক বিল্ডিং করতেন। কিন্তু সমস্যা হল এ নিয়ম আনুযায়ী আনেক হিডেন পেজ সৃষ্টি করা হত এবং কী-ওয়ার্ড স্টাফই এর মধ্যে ছিলো ।
এ সকল সমস্যার সমাধান করতে সার্চ ইঞ্জিন গুগল নতুন ভাবে নিয়ে এলো গুগল ক্রলার। সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে ক্রলার সিস্টেম যুক্ত হওয়ার পর এসইও তে কী-ওয়ার্ড স্টাফিং ও কমে আসলো । এভাবে মূলত আধুনিক এসইও এর যাত্রা শুরু হয়।
== তথ্যসূত্র ==
| 