সানফয়েল সিরিজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পয়েন্ট পদ্ধতি - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ইতিহাস - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৮ নং লাইন:
 
এছাড়াও, প্রত্যেক দলের প্রথম ইনিংসের প্রথম ১০০ ওভারে দলীয় প্রদর্শনের উপরও দলগুলোর বোনাস পয়েন্ট নির্ধারিত হয়।
* [[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিং]] বোনাস পয়েন্ট: ১৫০ [[রান (ক্রিকেট)|রান]] সংগ্রহ করলে ১ পয়েন্ট। এরপর প্রত্যেক রানের জন্য ০.০২ পয়েন্ট যুক্ত হতে থাকে।
* [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিং]] বোনাস পয়েন্ট: তিন [[উইকেট]] লাভে ১ পয়েন্ট। এরপরের দুই উইকেট লাভের ক্ষেত্রে ১ পয়েন্ট যুক্ত হতে থাকে।
 
১৯৭১-৭২ [[মৌসুম (ক্রীড়া)|মৌসুমে]] প্রথমবারের মতো পয়েন্ট তালিকা ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটানো হয়। এরপর থেকে প্রত্যেক মৌসুমেই এ ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। ২০০২-০৩ মৌসুমে প্রকৃত পয়েন্ট তালিকার প্রথম প্রচলন ঘটে ও অদ্যাবধি ব্যবহৃত হচ্ছে।
 
== ইতিহাস ==
ব্রিটিশ শাসনামলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেট খেলার প্রচলন ঘটে। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড থেকে একটি দল প্রথমবারের মতো সফর করে। পরের গ্রীষ্মে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা হিসেবে কারি কাপের প্রচলন ঘটে। স্যার ডোনাল্ড কারির নাম অনুসরণে ট্রফির নামকরণ হয়। এর পূর্বেকার প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন ব্যাট প্রতিযোগিতা ১৮৭৬ সালে শুরু হয় ও পাঁচবার অনুষ্ঠিত হয়। মূলতঃ কেপের শহরগুলোর বৃহৎ বসতিস্থাপনকারী এলাকা থেকে গঠিত দলগুলো এতে অংশ নিতো। কেবলমাত্র চ্যাম্পিয়ন ব্যাটের সর্বশেষ আসরটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদা পায়। ১৮৯০-৯১ মৌসুমে ইস্টার্ন প্রভিন্স, গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
 
১৮৮৯-৯০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কিম্বার্লী ও ট্রান্সভালের মধ্যে একটিমাত্র খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ঐ খেলায় ট্রান্সভালের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে কিম্বার্লীর পক্ষে বার্নার্ড ট্যানক্রেড (১০৬) ও ট্রান্সভালের পক্ষে মন্টি বাউডেন (১২৬*) সেঞ্চুরি করেন যা কারি কাপ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির ঘটনা ছিল। একই খেলায় প্রথম ইনিংসে কিম্বার্লীর পক্ষে জর্জ গ্লোভার ৬/৫০ লাভ করেছিলেন। পরের মৌসুমেও উভয় দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কিম্বার্লীর পক্ষে চার্লি ফিনল্যাসন ১৫৪* ও ট্রান্সভালের পক্ষে জন পিটন ১৩/২০৪ পেয়েছিলেন। প্রত্যেক দলই শুরুর দিকের খেলায় জয় পায়।
 
এরপর থেকে ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে প্রতিযোগিতার বিস্তৃতি ঘটানো হয়। ১৮৯২-৯৩ মৌসুম থেকে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট নামে পরিচিত কিম্বার্লী, ১৮৯২-৯৩ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স থেকে ট্রান্সভাল, ১৮৯৩-৯৪ মৌসুমে নাটাল ও ইস্টার্ন প্রভিন্স, ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে বর্ডার এবং ১৯০৩-০৪ মৌসুমে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট যোগ দেয়। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবগুলো দল কোন মৌসুমেই একযোগে খেলেনি। ১৯০৪-০৫ মৌসুমে একবার করে রোডেশিয়া ও সাউথ ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল।
 
প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রচলিত হবার পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে সর্বমোট চৌদ্দ মৌসুম খেলা হয়নি। এছাড়াও, বোর যুদ্ধসহ সফরকারী ইংরেজ দলের আগমনের কারণও এর সাথে জড়িত। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-কানুন অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। তন্মধ্যে নক-আউট প্রতিযোগিতা ও পূর্ববর্তী বছরের বিজয়ী দলের বিপক্ষে আহুত দলের অংশগ্রহণে রাউন্ড-রবিন প্রতিযোগিতা অন্যতম। কিন্তু, ১৯০৬-০৭ মৌসুমে রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতির প্রচলন হলে তা ১৯৮২-৮৩ মৌসুম পর্যন্ত চলমান ছিল।
 
যুদ্ধের পর ১৯২০-২১ মৌসুমে পুণরায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। গড়পড়তা প্রতি তিন বছরের মধ্যে দুইবার সিরিজটি চলতে থাকে। টেস্ট সফরের ফলে প্রতিযোগিতা বাতিল করতে হয়েছিল। ১৯২৫-২৬ মৌসুমের পর থেকে প্রত্যেক আসরেই সাতটি প্রাদেশিক দলের সবগুলো অংশ নিতে থাকে। সাময়িকভাবে রোডেশিয়া এদের সাথে যোগ দেয়। দলটি ১৯২৯-৩০ ও ১৯৩১-৩২ মৌসুমে খেলেছিল।
 
== বহিঃসংযোগ ==