নোয়াখালী জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sanzid Sayed (আলোচনা | অবদান)
Sanzid Sayed (আলোচনা | অবদান)
১০৯ নং লাইন:
 
== শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাস ==
এই জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার মান প্রশংসনীয়। কিন্তু পূর্বে শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন আছে তা ফিরে দেখা প্রয়োজন। মোগল ও ব্রিটিশ শাসনামলের শুরুর দিকে সাধারণত শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল টোল স্কুল এবং মক্তব নির্ভর। এগুলাতে আরবি, পারসি ও সংস্কৃত পড়ানো হতো। তবে ধীরে ধীরে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হতে থাকে এবং মাইনর স্কুল গড়ে উঠে। ১৮৫৭ সালে নোয়াখালীতে শুধুমাত্র একটি ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয় ছিল। ছাত্র ছিল ৬৯ জন। ততপরবর্তী ১৮৬১ সালে শিক্ষার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৭১ জন। কিন্তু ১৮৭১ সালে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৯৬-এ পোঁছায় পাশাপাশি সরকারী ও সাহায্য প্রাপ্ত স্কুল ২৬-এ পোঁছায়। ১৮৭২ সালের জরিপে ৭৪.৬৬% মুসলমানদের জনসংখ্যা হলেও তাহাদের সেই সময়ে শিক্ষার হার ছিল মোট শতাংশের মাত্র ২৭ শতাংশ। তবে ১৮৭৪ সালে মুসলমানদের শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশে বর্ধিত হয়। ১৮৯৫ মোট স্কুলের সংখ্যা ছিল ২৭৭৫টি। সেই সময়ে শিক্ষা নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসলে অনেক পাঠশালা বন্ধ হয়ে যায় তাই ১৮৯৮ সালে স্কুল সংখ্যা ১৩৩০-এ নেমে যায়। ১৯০৮ সালে এই জেলার শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৬২ হাজারেরও বেশী। এবার উচ্চ বিদ্যালয়ের কথায় আসা যাক। ১৯০৫ সালে নোয়াখালী জেলায় শুধু ৫টি ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয় ছিল। তার মধ্যে ছিল নোয়াখালী জিলা স্কুল যা ১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৮৫৩ সালে জিলা স্কুল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়, ফেনী উচ্চ বিদ্যালয় যা ১৮৮৬ প্রতিষ্ঠিত, লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয় যা ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, সন্দ্বীপ কার্গিল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০২) এই কয়টি উচ্চ বিদ্যালয় তখন বিদ্যমান ছিল। তারপর থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯১৪ সালে এই জেলার আরো ৫টি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সেগুলো যথাক্রমে মাইজদি অরুণ চন্দ্র হাই স্কুল যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৎকালীন ভুলুয়ার জমিদার অরুণ চন্দ্র সিংহ বাহাদুর, মাইজদি বাজার থেকে ৪ কিলো পশ্চিমে রাজগঞ্জে, রাজগঞ্জ ইউনিয়ন হাই স্কুল যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সৈয়দ সুলতান আলম চৌধুরী এবং আলাদিনগর গ্রামের বণিক পরিবার, নোয়াখালী আহমদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বেগমগঞ্জ হাই স্কুল ও খিলপাড়া হাই স্কুল যাকেযা রামগঞ্জ থানায় অবস্থিত। স্কুলের সংখ্যা বিংশ শতকের মাঝামাঝিতে ৬০ এর কাছাকাছি পৌছায়। তবে ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ফেনি কলেজ ব্যতিত অন্য কলেজ না থাকায় কলেজের গুরুত্ব ভেবে ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চৌমুহনী কলেজ যার ভিত্তি স্থাপন করেন ডঃ মেগনাদ শাহা। এই কলেজটি বর্তমানে চৌমুহনী এস এ কলেজ নামে পরিচিত। এস এ কলেজ নামকরণ হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহমেদের নামে। অন্যদিগে নোয়াখালী সরকারী কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল হল ১৯৬৩ সাল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতির চরম সীমায় আরোহণ করেছে।
 
== যাতায়াত ব্যবস্থা ==