বাংলাদেশ–ভারত সীমান্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র
তথ্যসূত্র
২৬ নং লাইন:
গোসম্পদ, খাবার জিনিস, ওষুধ এবং মাদকদ্রব্য ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরা কারবারের গুপ্তপথ হিসেবে সীমানাকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে সীমানা অতিক্রম করে। কারণ একটা বিরাট সংখ্যক বেআইনি অনুপ্রবেশকারী সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকে, ভারতীয় সীমা প্রহরা চৌকিগুলো একটা বিতর্কিত দেখামাত্র-গুলিচালনা নীতি কার্যকর করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://indianmilitarynews.wordpress.com/2011/10/09/blood-on-the-border-extra-judicial-killings-by-bsf/|title=WordPress.com|publisher=|accessdate=17 November 2016}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| url=https://www.theguardian.com/commentisfree/libertycentral/2011/jan/23/india-bangladesh-border-shoot-to-kill-policy | location=London | work=The Guardian | first=Brad | last=Adams | title=India's shoot-to-kill policy on the Bangladesh border | date=23 January 2011}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://www.hrw.org/news/2011/07/24/india-new-killings-torture-bangladeshi-border|title=India: New Killings, Torture at Bangladeshi Border|date=24 July 2011|publisher=|accessdate=17 November 2016}}</ref> ভারতীয় সেনা এবং বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে হিংসার খবরের জন্যে এই নীতি নেওয়া হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.dnaindia.com/india/report_bsf-jawan-killed-in-ambush-near-bangladesh-border_1419764|title=BSF jawan killed in ambush near Bangladesh border – Latest News & Updates at Daily News & Analysis|date=6 August 2010|publisher=|accessdate=17 November 2016}}</ref> ২০০১ খ্রিস্টাব্দে খুব লক্ষণীয়ভাবে ভারতীয় [[সীমা সুরক্ষা বল]] এবং [[বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ|বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ]] ছোটো লড়াইয়ে সামিল হয়ছিল, এই সীমানা যার সাক্ষ্য বহন করে।  
 
২০০৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাইতে [[চ্যানেল ৪ নিউজ]] সংবাদ দেয় যে, বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশি বেড়া চৌকির পাশাপাশি কয়েকশো [[বাংলাদেশি]] মানুষকে হত্যা করে। বিএসএফ দাবি করে যে, বেড়া চৌকির মূল উদ্দশ্য হল বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং [[সীমা-পার সন্ত্রাসবাদ]] প্রতিরোধ।<ref name="India-Bangladesh 'security' fence">[http://www.channel4.com/news/articles/politics/international_politics/indiabangladesh+apossecurityapos+fence/3281357], Channel 4 News, 24 July 2009</ref> ২০১০ খ্রিস্টাব্দে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লু) ৮১ পাতার প্রতিবেদন দাখিল করে যাতে বলা হয়েছে, বিএসএফের অসংখ্য অপব্যবহার সামনে এসেছে। প্রতিবেদনটা নেওয়া হয়েছে বিএসএফের পীড়নের শিকার, সাক্ষী, বিএসএফ সদস্য এবং তার [[বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ|বাংলাদেশি প্রতিরূপ]] থেকে। প্রতিবেদন বলছে যে, একুশ শতকের প্রথম দশকের মধ্যে ১০০০ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। এইচআরডব্লু বলছে বিএসএফ শুধু বেআইনি অনুপ্রবেশকারী অথবা চোরাকারবারীদেরই হত্যা করেনি, এমনকি নিরীহ ব্যক্তি যাদের কাছাকাছি দেখা গিয়েছে, কখনোবা এমনকি যারা সীমানার কাছে জমিতে কাজ করছে (কৃষিজমি) তাদেরো।তাদেরও।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=India/Bangladesh: Indiscriminate Killings, Abuse by Border Officers|url=https://www.hrw.org/en/news/2010/12/06/indiabangladesh-indiscriminate-killings-abuse-border-officers|work=[9[Human Rights Watch]]|accessdate=21 January 2011| archiveurl= https://web.archive.org/web/20110123104243/http://www.hrw.org/en/news/2010/12/06/indiabangladesh-indiscriminate-killings-abuse-border-officers| archivedate= 23 January 2011 <!--DASHBot-->| deadurl= no}}</ref>
[[চিত্র:The_Last_House_of_Bangladesh,_Sylhet_(01).jpg|থাম্ব|250x250পিক্সেল|[[বাংলাদেশ লাস্ট হাউজ]], তামাবিল, [[সিলেট]], জয়িন্তা পাহাড় রিসর্ট, বাংলাদেশ-ভারত সীমানা]]
বাংলাদেশ সরকার বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তারা জোর করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে ভারত-বাংলাদেশ সীমানার পাশাপাশি এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এটা বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকভাবে বেআইনি অনুপ্রবেশের প্রতিশোধ এবং যার ফলে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে কাঁটাতারের বেড়ার সূত্রপাত।[<nowiki/>[[10]]] ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের অগস্টে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে, তারা ৫৯ জন বেআইনি ব্যক্তিকে হত্যা করেছে (৩৪ বাংলাদেশি, ২১ ভারতীয় এবং বাকি অজ্ঞাত) যারা আগের ছ-মাসের মধ্যে সীমানা পার করার চেষ্টা করেছিল।[<nowiki/>[[11]]] বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যম অভিযোগ করেছে যে বিএসএফ বাংলাদেশের [[ঠাকুরগাঁও জেলা]]<nowiki/>র [[হরিপুর উপজেলা]] থেকে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ৮ এবং ১৫ বছর বয়সী ৫ জন বাংলাদেশি শিশুকে অপহরণ করেছে। শিশুরা সীমানার কাছে মাছ ধরতে এসেছিল।[<nowiki/>[[12]]] ২০১০-এ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে সীমা সুরক্ষা বল এলোপাথাড়ি হত্যা করেছে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারি বিএসএফ বাহিনী হত্যা করে লাশটা বেড়ার ওপর ঝুলিয়ে রেখেছিল - যেটা ছিল ফেলানি (১৫ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি বালিকা)।[<nowiki/>[[13]]]    
 
[[চিত্র:The_Last_House_of_Bangladesh,_Sylhet_(01).jpg|থাম্ব|250x250পিক্সেল|[[বাংলাদেশবাংলাদেশের লাস্টশেষ হাউজবাড়ি]], তামাবিল, [[সিলেট]], জয়িন্তা পাহাড় রিসর্ট, বাংলাদেশ-ভারত সীমানা]]
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ, গোরু পাচার, মাদক এবং বেআইনি অস্ত্র চালান ইত্যাদি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক সম্মেলন সংঘটিত হয়েছে, বিজিবি থেকে কর্নেল মুহম্মদ শাহিদ সারওয়ার সীমা সুরক্ষা বলকে দুর্বৃত্তদের এক তালিকা দিয়েছেন, যা ভারতে জায়গা নিয়েছে, এবং বিএসএফ-ও একই ধরনের তালিকা বিজিবিকে হস্তান্তর করেছে। 
বাংলাদেশ সরকার বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তারা জোর করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে ভারত-বাংলাদেশ সীমানার পাশাপাশি এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এটা বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকভাবে বেআইনি অনুপ্রবেশের প্রতিশোধ এবং যার ফলে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে কাঁটাতারের বেড়ার সূত্রপাত।[<nowiki/ref name="star">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=Border tension flares as BSF kills 2 more |last=Staff Correspondent |url=http://www.thedailystar.net/2005/04/24/d5042401022.htm |publisher=[[10]The Daily Star (Bangladesh)|The Daily Star]] |date=24 April 2005 |accessdate=19 April 2007}}</ref> ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের অগস্টেঅাগস্টে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে, তারা ৫৯ জন বেআইনি ব্যক্তিকে হত্যা করেছে (৩৪ বাংলাদেশি, ২১ ভারতীয় এবং বাকিবাকিরা অজ্ঞাত) যারা আগের ছ-মাসের মধ্যে সীমানা পার করার চেষ্টা করেছিল।[<nowiki/ref name="bsf killing">[http://in.reuters.com/article/topNews/idINIndia-35156020080824 India says 59 killed over last six months on Bangladesh border], [11][Reuters]], 24 August 2008.</ref> বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যম অভিযোগ করেছে যে বিএসএফ বাংলাদেশের [[ঠাকুরগাঁও জেলা]]<nowiki/>র [[হরিপুর উপজেলা]] থেকে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ৮ এবং ১৫ বছর বয়সী ৫ জন বাংলাদেশি শিশুকে অপহরণ করেছে। শিশুরা সীমানার কাছে মাছ ধরতে এসেছিল।[<nowikiref name="dstar">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=BSF abducts 5 children from border|url=http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=148029|accessdate=24 July 2010|newspaper=The Daily Star|date=24 July 2010| archiveurl= https://web.archive.org/web/20100726180826/http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=148029| archivedate= 26 July 2010 <!--DASHBot-->| deadurl= no}}</ref>[[12]]] ২০১০-এ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে সীমাযে সুরক্ষাসীমান্ত বলপ্রতিরক্ষা বাহিনী এলোপাথাড়ি হত্যা করেছে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারি বিএসএফ বাহিনী হত্যা করে লাশটা বেড়ার ওপর ঝুলিয়ে রেখেছিল - যেটা ছিল ফেলানি (১৫ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি বালিকা)।[<nowiki/ref>[[13]]] {{ওয়েব   উদ্ধৃতি|url=http://blog.akmnahid.com/countries/bangladesh/bsf-killed-innocent-bangladeshi-girl-117.html|title=15 Years Innocent Bangladeshi Girl Felani Killed by Aggressive Indian Border Security Force (BSF)|publisher=|accessdate=17 November 2016}}</ref>
 
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ, গোরু পাচার, মাদক এবং বেআইনি অস্ত্র চালান ইত্যাদি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক সম্মেলন সংঘটিত হয়েছে, বিজিবি থেকে কর্নেল মুহম্মদ শাহিদ সারওয়ার সীমাসীমান্ত সুরক্ষাপ্রতিরক্ষা বলকেবাহিনীকে দুর্বৃত্তদের এক তালিকা দিয়েছেন, যা ভারতে জায়গা নিয়েছে, এবং বিএসএফ-ও একই ধরনের তালিকা বিজিবিকে হস্তান্তর করেছে। 
 
== পরিবেষ্টিত অঞ্চল, বিপরীত অধিকৃত এবং অনির্দেশিত সীমানাগুলো ==