বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mosaraf acca (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
উদ্ধৃতি টেমপ্লেটের তারিখ সংশোধন
২৩ নং লাইন:
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিব]] হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল [[জিয়াউর রহমান]] ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান এবং ১৯৭৯ সালের মে মাসে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা [[আব্বাস আলী খান|আব্বাস আলী খানের]] নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো শরিয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ করা যায়। জামায়াতের বিরুদ্ধে হিন্দু ও বৌদ্ধ এবং আহমদিয়া মুসলিমদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের অভিযোগ করা হয়ে থাকে।{{citation needed}}
 
১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের জন্য বহুদলীয় জোটে যোগদান করে। এসময় দলটি [[আওয়ামী লীগ]] ও সমসাময়িক বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে দলটি [[বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার|তত্ত্বাবধায়ক সরকার]] ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে [[বিএনপি]]র সাথে মিলিত হয়ে আরো অন্য দুটি দলসহ চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট জয়লাভ করলে বেগম [[খালেদা জিয়া]]র নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে জামায়াতের দুজন সদস্য মন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল থেকে দলটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে এবং [[বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৮|নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন লাভ করে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল|আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের]] মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে; ২০১২ সালের মধ্যে দুজন বিএনপি নেতা ও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান সদস্যসহ ৮ জন নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত জামায়াতের সাবেক সদস্যসহ মোট চার জনকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক আমির [[গোলাম আযম|গোলাম আযমকে]] ৯০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।<ref name="বিবিসিবাংলা১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | url=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/07/130715_an_ghulam_azam_verdit.shtml | title=গোলাম আযম দোষী প্রমাণিত, ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=বিবিসি বাংলা | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=15 জুলাই 2013}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://bdnews24.com/bangladesh/2013/07/15/90-years-for-jamaat-guru-ghulam-azam |title=90 years for Jamaat guru Ghulam Azam |publisher=bdnews24.com |date= |accessdate=2014-06-24}}</ref><ref name="সময়টিভি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | url=http://www.somoynews.tv/details.php?id=15943 | title=গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=সময় টিভি | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=১৫ জুলাই, ২০১৩ | location=ঢাকা}}</ref><ref name="প্রথম১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | url=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-07-15/news/368067 | title=গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড | work=দৈনিক প্রথম আলো | date=১৫ জুলাই, ২০১৩ | accessdate=15 জুলাই 2013 | location=ঢাকা}}</ref> রায়গুলোর প্রতিবাদে জামায়াত দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস প্রতিবাদ করে যাতে অনেক লোক নিহত হয় ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়।<ref name="BBC">[http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-22058462 BBC (2013)], Bangladesh PM Sheikh Hasina rejects blasphemy law</ref>
 
== ইতিহাস ==