কাজী আবদুল বাসেত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন নিবন্ধ শুরু
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
উদ্ধৃতি টেমপ্লেটের তারিখ সংশোধন
১৪ নং লাইন:
}}
 
'''কাজী আবদুল বাসেত''' (৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ - ২৩ মে, ২০০২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী এবং চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক। তিনি মূর্ত ও বিমূর্ত দু-ধারায়ই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তিনি তার নিরীক্ষামূলক "ফিশ ওম্যান" শীর্ষক চিত্রকর্মের জন্য প্রসিদ্ধ। চারুকলায় অবদানের জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] তাঁকে ১৯৯১ সালে [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে।<ref name="বাংলাপিডিয়া">{{বই উদ্ধৃতি |last=হক |first=সৈয়দ আজিজুল |year=২০১২ |chapter=বাসেত, কাজী আবদুল |chapter-url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=বাসেত,_কাজী_আবদুল |editor1-last=ইসলাম |editor1-first=সিরাজুল |editor2-last=হক |editor2-first=সৈয়দ আজিজুল |title=বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ |edition=২য় |publisher=[[বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]]}}</ref>
 
==প্রারম্ভিক জীবন==
বাসেত ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল জলিল এবং মাতা নূরজাহান বেগম। তার পৈতৃক বাড়ি [[মুন্সিগঞ্জ জেলা]]র রামপাল গ্রামে। বাসেত ১৯৫১ সালে ঢাকার সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকার [[চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট]] থেকে চারুকলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
==কর্মজীবন==
কর্মজীবনের শুরুতে বাসেত ১৯৫৬ সালে ঢাকার নবাবপুর সরকারি হাইস্কুলে ড্রয়িং-শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরের বছর ১৯৫৭ সালে তিনি তার নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউটে লেকচারার পদে যোগদান করেন। এই ইনস্টিটিউটে শিক্ষাদানকালে ১৯৬৩-৬৪ সালে তিনি ফুলব্রাইট ফেলোশিপ লাভ করেন এবং চিত্রশিল্পে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের [[শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়|শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের]] আর্ট ইনস্টিটিউট পড়তে যান। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এসে ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন।<ref name="কালি ও কলম">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |title=প্রচ্ছদ-পরিচিতি |url=http://www.kaliokalam.com/প্রচ্ছদ-পরিচিতি-19/ |work=কালি ও কলম |accessdate=৬ আগস্ট, ২০১৭}}</ref> ১৯৯৫ সালে তিনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যান।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
==চিত্রকর্ম==
বাসেত যুক্তরাষ্ট্রে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিমূর্ত প্রকাশবাদী ধারায় প্রভাবিত হন। সেখানে তিনি পল উইগার্ড, হ্যান্স হফম্যান এবং বাবভিক্টকে তার শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> দেশে ফিরে এসে তিনি বিমূর্ত প্রকাশবাদী ধারার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ১৯৮৪ পরবর্তী সময়ে তিনি বাস্তবধর্মী চিত্র রচনায়ও মনোযোগ দেন। নারী-প্রতিকৃতি, বিশেষ করে, নারীর মাতৃরূপ অঙ্কনে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। তিনি প্যাস্টেল রঙে যুদ্ধ শেষে প্রিয় সন্তানের জন্য অপেক্ষা করে আছেন মা এবং প্রিয় স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে আছেন স্ত্রী এ ধরনের কিছু কাজ করেন।<ref name="কালি ও কলম"/> তার একটি উল্লেখযোগ্য নিরীক্ষাধর্মী চিত্রকর্ম হল "ফিশ ওম্যান"।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |first=জাফরিন |last=গুলশান |title=গ্যালারি বাসিলিও - ইন্দো-বাংলা চিত্রপ্রদর্শনী |url=http://archive.prothom-alo.com/print/news/273102 |work=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |date=১৩ জুলাই, ২০১২ |accessdate=৬ আগস্ট, ২০১৭}}</ref>
 
==মৃত্যু==
২৯ নং লাইন:
 
==সম্মাননা==
বাসেত ১৯৫৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নিখিল পাকিস্তান চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে করাচীতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী থেকে দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮২ সালে [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি]] পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ চারুকলা সংসদ পুরস্কার লাভ করেন। চারুকলায় সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মাননা [[একুশে পদক]] লাভ করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
==তথ্যসূত্র==