লিওনেল প্যালেরিট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্তি - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
শেষদিকের কাউন্টি ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
১০৮ নং লাইন:
১৯০২ সালের ইংরেজ গ্রীষ্ম মৌসুমটি বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়। ফলশ্রুতিতে, ব্যাটিং করা বেশ দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছিল।<ref>Altham, Swanton (1938), p. 244.</ref> পুরো মৌসুম জুড়ে পালাইরেট কোন সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি। তাস্বত্ত্বেও, সহস্রাধিক রান উঠানোয় সক্ষমতা দেখান। আবারও তিনি ইয়র্কশায়ারের পরাজয়ের প্রতীকী কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। [[Sir Home Gordon, 12th Baronet|স্যার হোম গর্ডন]] বৃষ্টি আক্রান্ত উইকেটে পালাইরেটের ২৫ ও ২৪ রানের পাশাপাশি উভয় ইনিংসে ব্রন্ডের দুই অঙ্কে স্পর্শের কথা তুলে ধরেন। উইজডেনের মতে, এ জুটির ব্যাটিং অবিশ্বাস্য ও সমারসেটের ৩৪ রানে জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখে যা বছরে দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয়বার জয় পায়। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে সমারসেটই একমাত্র দল হিসেবে ইয়র্কশায়ারকে পরাজিত করেছিল।<ref>Green (1980), pp. 279–280.</ref>
 
১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর এক সপ্তাহ পূর্বে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। ড্র হওয়া খেলায় তিনি ৩৯ ও ৪৪ রান তুলেন।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/5/5915.html |title=Marylebone Cricket Club v Australians: Australia in British Isles 1902 |publisher=CricketArchive |accessdate=25 November 2012}}</ref> প্রথম তিন টেস্টে তাঁর খেলার সুযোগ হয়নি। পালাইরেটকে রণজিত সিংহ ও [[ফ্রেড টেট|ফ্রেড টেটকে]] ফ্রাই, [[জর্জ হার্স্ট]] ও [[Gilbert Jessop|গিলবার্ট জেসপের]] স্থলাভিষিক্ত করা হবে। উইজডেন খেলার প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, ফ্রাইকে বাদ দেয়া যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু হার্স্ট ও জেসপকে খেলানো হবে।<ref name="Green2932">Green (1980), pp. 29–32.</ref> অ্যাল্থাম তাঁর এ হিস্ট্রি অব ক্রিকেট গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, পালাইরেটকে হয়তো বা নেয়া হবে না। দল নির্বাচকমণ্ডলী একমত হয়েছেন হার্স্টের ন্যায় [[অল-রাউন্ডার|অল-রাউন্ডারের]] পরিবর্তে লিওনেল পালাইরেটকে মনোনীত করা প্রশ্নের উদয় ঘটাবে।<ref>Altham, Swanton (1938), p. 245.</ref>
 
টেস্ট অভিষেকে পালাইরেট ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন ও ছয় রান তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ যান। ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ৪৫ মিনিটে [[জ্যাক সন্ডার্স]] ও [[হিউ ট্রাম্বল|হিউ ট্রাম্বলের]] বোলিং তোপে প্রথম পাঁচজন শিকারের অন্যতম ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও পুণরায় ব্যাটিং উদ্বোধন করতে মাঠে নামেন পালাইরেট। এবার অন্য সঙ্গী হিসেবে ম্যাকলারেন [[ববি অ্যাবল|ববি অ্যাবলের]] পরিবর্তে উদ্বোধনে নামেন। এ জুটি ৪৪ রান তুলে। উইজডেন মন্তব্য করে যে, খেলতে যতোটা অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন, তারচেয়ে বেশী বোলিং আক্রমণ সামাল দিতে হয়েছে তাদেরকে। সন্ডার্সের বলে আউট হন পালাইরেট। ১২০ রানে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ও চার রানের ব্যবধানে পরাজিত হয় ইংরেজ দল।<ref name="Green2932"/>
 
সিরিজের পরবর্তী পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে পালাইরেটকে দলে রাখা হয়। হার্স্ট ও জেসপকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়।<ref name="Green3235">Green (1980), pp. 32–35.</ref> পুরোদিন সফরকারী দল ব্যাট করে ৩২৪ রান তুলে। রাতে বৃষ্টি নামলে ব্যাটিং করা বেশ দূরূহ হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ড ১৮৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ট্রাম্বলের বলে ২০ রানে পালাইরেট বিদায় নেন। অ্যাল্থাম তাঁর ব্যাটিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।<ref>Altham, Swanton (1938), pp. 246–247.</ref> অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ও খেলায় জয়ের জন্য ইংল্যান্ডেরে প্রয়োজন পড়ে ২৬৩ রান। পালাইরেট ছয় রানে আউট হন ও ইনিংসে ট্রাম্বলের তৃতীয় বোল্ড হন তিনি। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১০/৩ হয়। নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসপ ও হার্স্ট দলকে তুলে ধরেন ও ইংল্যান্ড এক উইকেটের নাটকীয় জয় পায়।<ref name="Green3235"/> ঐ গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমারসেটের সদস্যরূপে আরও একটি খেলায় অংশ নেন। টনটনে অনুষ্ঠিত ড্র হওয়া খেলাটিতে তিনি ৪৪ ও ৯০ রান তুলেছিলেন।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/6/6015.html |title=Somerset v Australians: Australia in British Isles 1902 |publisher=CricketArchive |accessdate=25 November 2012}}</ref> এরপর আর তাঁকে টেস্ট খেলায় অংশ নিতে দেখা যায়নি। সংক্ষিপ্ত টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ১২.২৫ গড়ে ৪৯ রান তুলেছেন লিওনেল পালাইরেট।<ref name="caprof">{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Players/0/260/260.html |title=Player Profile: Lionel Palairet |publisher=CricketArchive |accessdate=25 November 2012}}</ref> [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] পূর্বে অস্ট্রেলিয়া দলকে সেরা টেস্ট দলরূপে আখ্যায়িত করা হতো।<ref>{{cite news |url=http://jamaica-gleaner.com/gleaner/20111002/sports/sports8.html |title=The greatest team of all time |work=The Gleaner |publisher=Gleaner Company |last=Becca |first=Tony |date=2 October 2011 |accessdate=25 November 2012}}</ref>
 
== শেষদিকের কাউন্টি ক্রিকেট ==
১৯০৩ সালে এগারোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন লিওনেল পালাইরেট। এ মৌসুমে একটিমাত্র সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে [[সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সারের]] বিপক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৪ রান তুলেন।<ref>{{cite web |url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/6/6341.html |title=Somerset v Surrey: County Championship 1903 |publisher=CricketArchive |accessdate=6 December 2012}}</ref> এছাড়াও আরও তিনবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন। বছর শেষে ৩৫.৩৮ গড়ে ৬৩৭ রান তুলেন।<ref name="batbs"/> পরের বছর তিনি আরও নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বশেষবারের মতো সহস্রাধিক রান তুলেন।<ref name="batbs"/> গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ১৬৬ রান তুলে মৌসুম শুরু করেন।<ref>{{cite web |url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/6/6417.html |title=Gloucestershire v Somerset: County Championship 1904 |publisher=CricketArchive |accessdate=6 December 2012}}</ref> বাথ ক্রিকেট উৎসবে ১১১ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ব্রন্ডের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১৬১ রান তুললেও ল্যাঙ্কাশায়ারের কাছে দশ উইকেটে পরাজিত হয় তাঁর দল।<ref>{{cite web |url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/6/6460.html |title=Somerset v Lancashire: County Championship 1904 |publisher=CricketArchive |accessdate=6 December 2012}}</ref> ঐ মাসের শেষদিকে [[Worcestershire County Cricket Club|ওরচেস্টারশায়ারের]] বিপক্ষে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দ্বি-শতকটি হাঁকান। ২০৩ রানের ঐ ইনিংসটি ওরচেস্টারশায়ারের প্রথম ইনিংসের দলীয় সংগ্রহেরও অধিক ছিল। খেলায় সমারসেট ইনিংস ও ১১৪ রানে জয়ী হয়।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/6/6493.html |title=Worcestershire v Somerset: County Championship |publisher=CricketArchive |accessdate=6 December 2012}}</ref> ক্রিকেট ঐতিহাসিক ডেভিড ফুট ১৯০৪ ও পরবর্তী কয়েকটি মৌসুমে সমারসেটের ছন্দপতন লক্ষ্য করেন।<ref name="Foot79">Foot (1986), p. 79.</ref> ঐ সময় ও [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] সময়কালের মধ্যবর্তী সময়ে ক্লাবটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে দশম স্থানের অধিক উচ্চতায় অগ্রসর হতে পারেনি।<ref>Foot (1986), p. 218.</ref> ১৯০৫ ও ১৯০৬ সালের অধিকাংশ সময়ই ক্রিকেট খেলার বাইরে অবস্থান করেন পালাইরেট। এ সময় তিনি [[Earl of Devon|ডেভনের আর্লের]] পক্ষে ভূমি প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে থাকেন।<ref name="Foot79"/> ১৯০৫ সালে তিনবার খেলায় অংশ নেন। সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশ, [[কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|কেন্ট]] ও ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে খেলেন। ১৯০৬ সালে কেবলমাত্র ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। <ref name="fcm"/> ১৮৯৪ সাল থেকে সমারসেটের অধিনায়ক উডস ১৯০৬ সাল শেষে অবসর নেন। পূর্ববর্তী বছরগুলোয় খেলায় সীমিত পর্যায়ে অংশ নিলেও ১৯০৭ সালে পালাইরেটকে উডসের স্থলাভিষিক্ত করা হয়।<ref name="Foot8284">Foot (1986), pp. 82–84.</ref>
 
১৯০৭ সালে পালাইরেট কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে সমারসেটের পক্ষে সবগুলো খেলাতেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, ১৯০৭ সালে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে ক্লাবের সদস্যরূপে অংশ নেন। এক পর্যায়ে কিছু খেলায় ক্লাবটিতে যোগ্যতাসম্পন্ন এগারোজন খেলোয়াড়কে নিয়ে খেলতে হিমশিম খায়। ফলশ্রুতিতে, [[Ted Tyler|টেড টাইলরকে]] পুণরায় জোরপূর্বক দলে খেলতে বাধ্য করা হয়। টাইলর চার বছর ধরে সমারসেটের পক্ষে খেলেননি ও ১৯০০ সাল থেকে মাত্র পাঁচ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।<ref name="Foot8284"/><ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Players/0/208/First-Class_Matches.html |title=First-Class Matches played by Ted Tyler (185) |publisher=CricketArchive |accessdate=8 December 2012}}</ref> পালাইরেট নিজেও কঠিনতম সময় পার করেন। দশ বা ততোধিক খেলায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে মাত্র ২১.৩৩ গড়ে রান তুলেন যা তাঁর যে-কোন মৌসুমের তুলনায় সর্বনিম্ন ছিল। মাত্র তিনবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলছেন।
 
== পাদটীকা ==