অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shebu Islam (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সংশোধন (ভট-->ভইট) |
||
৪ নং লাইন:
| imagesize = 250px
| caption = ২০১৪ সালে যৌন নিপীড়ন বন্ধে আয়োজিত বিশ্ব সম্মেলনে জোলি।
| birth_name = অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
| birth_date = {{জন্ম তারিখ ও বয়স|df=yes|1975|6|4}}
| birthplace = [[লস অ্যাঞ্জেলেস]], [[ক্যালিফোর্নিয়া]], <br /> {{পতাকা|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র}}
১১ নং লাইন:
| spouse = [[জনি লি মিলার]] (১৯৯৬–১৯৯৯) <br /> [[বিলি বব থর্নটন]] (২০০০–২০০৩) <br /> [[ব্র্যাড পিট]] (২০১৪–২০১৬)
| children = ৬ জন (৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে)
| parents = [[জন
}}
{{তথ্যছক
৪৭ নং লাইন:
}}
'''অ্যাঞ্জেলিনা জোলি''' ({{lang-en|Angelina Jolie}}) (জন্ম: [[৪ জুন]], [[১৯৭৫]]; '''অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
১৯৮২ সালে ''[[লুকিন’ টু গেট আউট]]'' চলচ্চিত্রে বাবা [[জন
ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবার অভিনেতা [[জনি লি মিলার]], দ্বিতীয়বার [[বিলি বব থর্নটন]] ও তৃতীয়বার [[ব্র্যাড পিট|ব্রাড পিটের]] সাথে। পরবর্তীতে সকলের সাথেই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।<ref name="bigstory.ap.org">http://bigstory.ap.org/article/angelina-jolie-and-brad-pitt-were-married-saturday-france-says-spokesman-couple</ref> জোলি-পিট যুগলের দাম্পত্য সম্পর্ক বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে বারংবার আলোচিত হয়েছে। তাঁদের সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ছয়; এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের তিন সন্তান শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ান; এবং বিভিন্ন সময়ে দত্তক নেয়া তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা।
== প্রাথমিক জীবন ও পরিবার ==
যুক্তরাষ্ট্রের [[ক্যালিফোর্নিয়া]] অঙ্গরাজ্যের [[লস অ্যাঞ্জেলেস|লস অ্যাঞ্জেলেসে]] জোলির জন্ম। তার মা-বাবার নাম যথাক্রমে [[মার্শেলিন বার্ট্রান্ড]] ও [[জন
১৯৭৬ সালে তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের পর জোলি ও তার ভাই উভয়েই তাদের মায়ের কাছে বেড়ে উঠতে থাকেন। বিচ্ছেদ-পরবর্তী এই প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিতে তার মা নিজের অভিনয়ের উচ্চাশা বিসর্জন দেন, এবং সন্তানদের সাথে নিয়ে [[নিউ ইয়র্ক|নিউ ইয়র্কের]] প্যালিসেডে চলে যান।<ref name="Angelina Jolie: Body Beautiful">ভ্যান মিটার, জনাথন; [http://web.archive.org/web/20071209202602/http://www.style.com/vogue/feature/032602/page2.html {{lang|en|Angelina Jolie: Body Beautiful}}]। ''ভোগ''; এপ্রিল ২০০২। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> শৈশব থেকেই জোলি নিয়মিতভাবে ছবি দেখতেন ও ছবি দেখার পর মায়ের কাছে, অভিনয় করার ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করতেন। কিন্তু তিনি কখনোই তার বাবার কারণে অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট হননি।<ref name="Angelina Jolie Biography">উইলস, ডোমিনিক; [http://www.tiscali.co.uk/entertainment/film/biographies/angelina_jolie_biog.html {{lang|en|Angelina Jolie Biography}}]। টিসকালি ডট সিও ডট ইউকে। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> জোলির বয়স যখন এগারো, তখন তার পরিবার আবার [[লস অ্যাঞ্জেলেস|লস অ্যাঞ্জেলেসে]] ফিরে আসে। লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে এবার তিনি অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এরই সূত্র ধরে তিনি [[লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইন্সটিটিউট|লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার ইন্সটিটিউটে]] ভর্তি হন। সেখানে তিনি দুই বছর ধরে অভিনয়ের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই থিয়েটার ইনস্টিটিউটে থাকাকালীন সময়ে তিনি বেশ কিছু [[মঞ্চনাটক|মঞ্চনাটকেও]] অভিনয় করেন।
৬০ নং লাইন:
চৌদ্দ বছর বয়সে জোলি তার অভিনয় শিক্ষা থেকে সরে গিয়ে একজন [[অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালক]] হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।<ref>হিথ, ক্রিস। [http://www.rollingstone.com/news/story/5938014/blood_sugar_sex_magic {{lang|en|Blood, Sugar, Sex, Magic}}]। ''রোলিং স্টোন''। জুলাই ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref> তখন তিনি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালকদের মতো কালো পোশাক পরা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি তার চুলের রং পরিবর্তন করে বেগুনী করেছিলেন, এবং তৎকালীন প্রেমিকের সাথে [[মোশিং|মোশিংয়ে]] যাওয়াও শুরু করেছিলেন।<ref name="Angelina Jolie Biography"/> দুই বছর পর প্রেমিকের সাথে তার সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর তিনি তার মায়ের বাড়ি থেকে কয়েক গলি দূরে অবস্থিত একটি গ্যারাজের ওপরের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন।<ref name="Angelina Jolie: Body Beautiful"/> কিছুদিন পর তিনি আবারও অভিনয় শিক্ষায় ফিরে যান, এবং কয়েকবার সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেও শেষপর্যন্ত হাই স্কুলের গণ্ডি পার হন। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জোলির বক্তব্য, “আমি মূলত এখনো—উল্কিওয়ালা এক বদমাশ পিচ্চি—এবং আমি থাকবোও”।<ref>স্ট্রেজেক, জিঞ্জার। [http://www.seasonmagazine.com/Profiles/angelinaj.htm {{lang|en|Attracting the Eyes of the World}}]। ''সিজন ম্যাগাজিন''। গ্রীষ্মকাল ২০০৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
[[চিত্র:Jon Voight 1988.jpg|right|thumb|upright|170px|১৯৮৮ সালে অস্কার অনুষ্ঠানে [[জন
পরবর্তীতে জোলি [[ক্যালিফোর্নিয়া|ক্যালিফোর্নিয়ার]] [[বেভারলি হিল্স হাই স্কুল|বেভারলি হিল্স হাই স্কুলে]] (পরবর্তী নাম মরেনো হাই স্কুল) ভর্তি হন। সেখানে তার সময় কাটতো অনেকটা বিচ্ছিন্ন ও একাকী অবস্থায়, কারণ এ স্কুলের ছেলেমেয়েরা সবাই ছিলো সেই এলাকার অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান। অপরদিকে জোলির মা তার স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। অধিকাংশ সময়ই জোলিকে অন্যের ব্যবহৃত পুরোন জামাকাপড় ব্যবহার করতে হতো। স্বাতন্ত্রসূচক বেশভূষার (যেমন: হ্যাংলা স্বাস্থ্য, রোদচশমা ও [[ব্রেস]] পরে থাকা ইত্যাদি<ref name="Angelina Jolie Biography"/>) জন্য স্কুলের অন্যান্য ছেলেমেয়েরা জোলিকে উত্ত্যক্ত করতো। মডেল হওয়ার জন্য তার প্রথম চেষ্টাটি বিফলে গেলে জোলির আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরে। সেসময় প্রায়ই তিনি নিজের শরীর কাটাকাটি করার মাধ্যমে নিজেকে রক্তাক্ত করতেন। পরে তিনি এসম্বন্ধে বলেছিলেন, “আমি সবসময়ই ছুরি সংগ্রহ করতাম আর এগুলো আমার ধারেকাছেই থাকতো। কিছু কারণে, কাটাকাটি করার এই আচরণটি, এবং ব্যথা অনুভব করা—আমাকে অনুভব করতে সাহায্য করতো যে, আমি বেঁচে আছি, এবং আমি কিছুটা মুক্তি পাচ্ছি। এটা আমার কাছে ছিলো কিছুটা রোগণিরাময়ের মতো।”<ref>[http://transcripts.cnn.com/TRANSCRIPTS/0506/09/pzn.01.html {{lang|en|Paula Zahn Now}}]। সিএনএন ডট কম। ৯ জুন, ২০০৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
জোলির সাথে তার বাবা জন
== পেশাজীবন ==
৬৯ নং লাইন:
একজন [[ফ্যাশন মডেল]] হিসেবে চৌদ্দ বছর বয়সে জোলির পেশাজীবন শুরু হয়। তিনি মডেলিং করতেন মূলত লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক ও [[লন্ডন|লন্ডনে]]। সে সময়ে তৈরি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে [[মিট লোফ|মিট লোফের]] (‘রক অ্যান্ড রোল ড্রিমস কাম থ্রু’), [[অ্যানতোনেল্লো ভেনেডিত্তি|অ্যানতোনেল্লো ভেনেডিত্তির]] (‘আলতা মারিয়া’), [[লেনি ক্রাভিট্জ|লেনি ক্র্যাভিট্জের]] (‘স্ট্যান্ড বাই মাই ওমেন’), এবং [[দ্য লেমনহেডস|দ্য লেমনহেডসের]] (‘ইট'স অ্যাবাউট টাইম’)। ষোলো বছর বয়সে [[মঞ্চনাটক|মঞ্চ]] থেকে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু, এবং তাঁর প্রথম চরিত্রটি ছিলো একজন জার্মান প্রতাপশালীর। মূলত বাবার থেকেই জোলির অভিনয়ের হাতেখড়ি। অভিনয় শেখার জন্য তিনি তাঁর বাবার শিখন প্রক্রিয়া লক্ষ করতেন। তিনি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতেন, এবং আচরণ ও বাহ্যিকতায় ঠিক তাদের মতো হয়ে ওঠার চেষ্টা করতেন। সে সময় বাবার সাথে জোলির সম্পর্ক পরবর্তীকালের মতো এতোটা শীতল ছিলো না। তখন জোলির কাছে তাঁরা দুজনেই হচ্ছেন ‘নাট্যজগতের রাজা-রাণী’।<ref name="Angelina Jolie Biography"/>
জোলির ভাই জেমস হ্যাভেন যখন [[ইউএসসি স্কুল অফ সিনেম্যাটিক আর্টস|ইউএসসি স্কুল অফ সিনেম্যাটিক আর্টসের]] শিক্ষার্থী, তখন তাঁর পাঁচটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রে জোলি অভিনয় করেন। যদিও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে জোলির পেশাজীবন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে; স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র ''[[সাইবর্গ ২]]''-এ নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিলো ক্যাসেলা ‘ক্যাশ’ রিজ, যে কিনা মানুষের কাছাকাছি একটি [[রোবট]]। রোবটটিকে এমনভাবে নকশা করা হয় যেন সে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরে নিয়ে যেতে প্রলুব্ধ করে, অতঃপর নিজেকে ধ্বংস করে ফেলে। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে জোলি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। একটি হচ্ছে [[স্বাধীন চলচ্চিত্র]] ''উইদাউট এভিডেন্স'', এবং অপরটি রহস্য চলচ্চিত্র ''[[হ্যাকারস (চলচ্চিত্র)|হ্যাকারস]]''। ''হ্যাকারস''-এ তিনি কেট ‘এসিড বার্ন’ লিবি চরিত্রে পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করেন। এটি ছিলো জোলির অভিনয় জীবনের প্রথম হলিউড চলচ্চিত্র। এবং এখানেই জোলির সাথে পরবর্তীতে তাঁর প্রথম স্বামী [[জনি লি মিলার|জনি লি মিলারের]] পরিচয় হয়। চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে ''[[নিউ ইয়র্ক টাইমস]]''-এর মন্তব্য ছিলো, “কেট (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) আসলেই অসাধারণ। তাঁর সহঅভিনেতার চেয়েও তাঁর মুখখানি ছিলো নিষ্প্রতিভ, এবং এই বিরল নারী হ্যাকার যিনি কিনা অর্ধস্বচ্ছ টপস পরিহিত অবস্থায় মনোযোগের সাথে কিবোর্ড নিয়ে কাজে বসেন। তাঁর গুরুগম্ভীর আকর্ষণটুকুকে বাদ দিলে চরিত্রটির যা দরকার ছিলো তার সবই তাঁর মাঝে বিদ্যমান। মিজ জোলির ভঙ্গিমাটি ছিলো খুবই মিষ্টি, একেবারে তাঁর বাবা জন
পরবর্তী বছরে জোলি রম্য চলচ্চিত্র ''[[লাভ ইজ অল দেয়ার ইজ]]'' (১৯৯৬)-এ জিনা মালাসিসি চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি অনেকাংশে ''[[রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট]]'' নাটকের একটি অঙ্কের ওপর ভিত্তি করে রচিত, এবং অনেকটা এর সাম্প্রতিক সংস্করণের মতো। তবে মানের দিক থেকে এটি ততোটা উঁচুদরের ছিলো না। চলচ্চিত্রের কাহিনী গড়ে উঠেছিলো নিউ ইয়র্কের ব্রনক্সে বসবাসরত পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্ব্বী দুই রেস্তোরাঁ মালিকের পরিবারকে কেন্দ্র করে। এছাড়াও ঐ বছর জোলি ''মোহাভি মুন'' নামে একটি পথচলচ্চিত্রে ইলিয়ানর রিগবি চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটিতে কাহিনী অনেকটা এরকম: মাকে দেখতে যাওয়ার পথে মোহাভি মরুভূমি পাড়ি দেবার সময় পথিমধ্যে এক রেস্তোরাঁয় জোলির (ইলিয়ানর রিগবি) সাথে [[ড্যানি আয়েলো|ড্যানি আয়েলোর]] (অ্যাল ম্যাকর্ড) দেখা হয় ও তাঁরা পরস্পরের প্রেমে পড়েন। একই বছর জোলি ''[[ফক্সফায়ার (১৯৯৬-এর চলচ্চিত্র)|ফক্সফায়ার]]'' চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। এখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিলো মার্গারেট ‘লেগ্স’ স্যাডোভ্স্কি নামের এক কিশোরীর। ছবিতে লেগ্স পাঁচ কিশোরীর একজন। তাঁদের ওপর যৌননিপীড়ন চালানোর কারণে তাঁরা তাঁদেরই এক শিক্ষককে প্রহার করে। এ ছবিতে জোলির অভিনীত চরিত্রটি সম্পর্কে ''[[লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস]]''-এর মন্তব্য, “এই চরিত্রটি তৈরিতে প্রচুর অবাঞ্ছিত বিষয়বস্তুর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে; কিন্তু জোলি,
১৯৯৭ সালে জোলি [[লস অ্যাঞ্জেলেস|লস অ্যাঞ্জেলেসের]] অপরাধজগতের ওপর ভিত্তি করে তৈরি রহস্যচলচ্চিত্র ''[[প্লেয়িং গড (চলচ্চিত্র)|প্লেয়িং গড]]''-এ [[ডেভিড ডুকভ্নি]] চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি সমালোচকদের দৃষ্টিতে মানসম্পন্ন ছিলো না, এবং [[রজার এবার্ট]] মন্তব্য করেন, “সাধারণত কঠিন ও আক্রমণাত্মক চরিত্রে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে অভিনয় করেন; অপরাধীর প্রেমিকা হিসেবে তাঁর অভিনয় সবসময়ই রমণীয়, এবং হয়তো তিনি তাই।”<ref>এবার্ট, রজার। [http://rogerebert.suntimes.com/apps/pbcs.dll/article?AID=/19971017/REVIEWS/710170306/1023 {{lang|en|Reviews: ''Playing God''}}]। ''শিকাগো সান-টাইমস''। ১৭ অক্টোবর, ১৯৯৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> এরপর তিনি টেলিচলচ্চিত্র ''ট্রু উইমেন''-এ অভিনয় করেন। এটি ছিলো একই নামের একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক নাটকের একটি অঙ্কের চলচ্চিত্ররূপ। নাটকটি ছিলো আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলের একটি অন্যতম জনপ্রিয় নাটক। আর এটির মূল ধারণাটি এসেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের [[টেক্সাস|টেক্সাস-নিবাসী]] কথাসাহিত্যিক জেনিস উডস উইন্ডেলের লেখা একটি বই থেকে। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি সেবছর তাঁকে [[দ্য রোলিং স্টোনস|রোলিং স্টোনসের]] মিউজিক ভিডিও ‘এনিবডি সীন মাই বেবি?’-তেও দেখা যায়।
১৭৫ নং লাইন:
== গণমাধ্যমে উপস্থিতি ==
[[চিত্র:Angelina jolie lugar.jpg|thumb|upright|200px|২০০৫ সালে [[ওয়াশিংটন, ডি.সি.]]-তে জোলি]]
অল্প বয়স থেকেই জোলিকে তাঁর বিখ্যাত বাবা
পেশাজীবনের শুরু থেকেই জোলির কোনো মুখপাত্র বা এজেন্ট নেই।<ref>বার্নেস, ব্রুকস। [http://www.nytimes.com/2008/11/21/business/media/21angelina.html {{lang|en|Angelina Jolie’s Carefully Orchestrated Image}}]। ''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''। ২০ নভেম্বর ২০০৮। সংগৃহীত হয়েছে: ২৪ নভেম্বর ২০০৮।</ref> নিজের জীবন সম্পর্কে খোলামেলাভাবে বিভিন্ন রকমের আলোচনা করা, সাক্ষাৎকার দেওয়া, এমনকি [[বিডিএসএম]]-এর প্রতি তাঁর আগ্রহ ব্যক্ত করা<ref>[http://www.nina.com/vboard/showthread.php?t=1973 {{lang|en|Jolie's quest for S&M lover}}] - নাইনা ডট কম। ২০ অক্টোবর ২০০৪। সংগৃহীত হয়েছে: ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯।</ref>–এসব তাঁকে খুব দ্রুত গণমাধ্যমের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। একবার তিনি দাবি করেছিলেন যে, “তিনি তাঁর এক নারী ভক্তের সাথে যৌনসম্পর্ক করতে চান”।<ref name="Angelina, saint vs. sinner"/> সেই সাথে সবাইকে জানিয়ে [[বিলি বব থর্নটন|বিলি বব থর্নটনকে]] বিয়ে করা, মানবতার প্রচার ও বিশ্বব্যাপী মানবতার সপক্ষে কথা বলার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। [[ইউএনএইচসিআর শুভেচ্ছাদূত|ইউএনএইচসিআর-এর একজন শুভেচ্ছাদূত]] হিসেবে মর্যাদা পাবার পর তিনি তাঁর তারকা ব্যক্তিত্বকে বিশ্বব্যাপী মানুষকে মানবতার সপক্ষে কাজ করার প্রচারে ব্যবহার করা শুরু করেন। ২০০৪ সাল থেকে জোলি উড়োজাহাজ চালনা শিক্ষা করা শুরু করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ চালানোর লাইসেন্স আছে ([[ইন্সট্রুমেন্টাল রেটিং|ইন্সট্রুমেন্টাল রেটিংসহ]]), এবং তিনি একটি [[সাইরাস এসআর২২]] উড়োজাহাজের মালিক।<ref>নরমান, পিট। [http://www.people.com/people/article/0,,20039712,00.html {{lang|en|Angelina Jolie Taking a Year Off Work}}]। ''পিপল''। ২২ মে ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> গণমাধ্যমে প্রায়ই বলা হয় যে, তিনি বৌদ্ধধর্মের অনুসারী, কিন্তু তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর ছেলেকে [[বৌদ্ধধর্ম]] শিক্ষা দিয়েছেন, কারণ তিনি মনে করেন এটা তাঁর সংস্কৃতির একটি অংশ। জোলি আসলেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কী না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। ২০০০ সালে তাঁকে যখন এবিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এটি সেসমস্ত মানুষের জন্য যাঁরা এটিতে বিশ্বাস করে। আমার জন্য কোনো ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই।”<ref>থম্পসন, স্টিফেন। [http://www.avclub.com/content/node/24504 {{lang|en|Is there a God?}}]। ''দি এ.ভি. ক্লাব''। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০০। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮। {{Dead link |date=April 2017}}</ref>
|