মঙ্গল শোভাযাত্রা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎শীর্ষ: সম্প্রসারণ
৭৯ নং লাইন:
 
== ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ‌্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ==
জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের [[সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের]] আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা বা ইনট্যানজিবল (ইং: Intangible ) সাংস্কৃতিক ঐতিহ‌্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।<ref name="thedailystar.netশোভাযাত্রার-বিশ্ব-স্বীকৃতি"/><ref name="unesco.org"/> ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা’য় অনুষ্ঠিত ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর সংশিষ্ট আন্তজাতিক পর্ষদ (INTERGOVERNMENTAL COMMITTEE FOR THE SAFEGUARDING OF THE INTANGIBLE CULTURAL HERITAGE) বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি Nomination file no. 01091 হিসেবে চিহ্নিত ছিল৤ছিল। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে [[বাংলা একাডেমী]] এই প্রস্তাবনাটি প্রণয়ন করে। পরবর্তীকালে ইউনেস্কোর চাহিদা অনুযায়ী এই প্রস্তাবনাকে গ্রহণযোগ্যরূপে পুনঃপ্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ এর ১লা জুন প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. শহিদুল ইসলাম এই পুনঃপ্রণীত প্রস্তবনাটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পুনরায় ইউনেস্কোর নিকট দাখিল করেন। <ref>[http://www.unesco.org/culture/ich/en/RL/mangal-shobhajatra-on-pahela-baishakh-01091 বাংলাদেশের নমিনেশনমনোনয়নের ফাইল সংখ্যানং 01091]</ref>
 
২০০৫-০৬ অর্থবৎসরে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা প্রণয়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং [[এশিয়াটিক সোসাইটি|এশিয়াটিক সোসাইটিকে]] এর দায়িত্ব দেয়া হয়। ১২ খণ্ডে প্রকাশিত এই তালিকা তথা সমীক্ষা প্রতিবেদনের ১১শ খণ্ডে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বপ্রথম ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কোর প্যারিসে অবস্থিত সদর দপ্তরে আবেদন করেছিল যে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হোক। ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ অশুভ শক্তির বিরূদ্ধে শান্তি, গণতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতিসত্বার ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিগণিত। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে বছরের প্রথম দিনে ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’’ মাধ্যমে অপশক্তির অবসান এবং বাংলাদেশের মানুষ কল্যাণময় ভবিষ্যতের আশা ব্যক্ত করে চলেছে। <ref>ইউনেস্কো লিখেছে: Mangal Shobhajatra is a festival for the public that celebrates Pahela Baishakh (New Year’s Day) on April 14, organized by students and teachers of Dhaka University’s Faculty of Fine Art. The tradition began in 1989 when students, frustrated by living under military rule, wanted to bring the community hope for a better future. It features floats and masks symbolizing strength, peace and a driving away of evil to allow for progress. With knowledge of the element shared by the school, it promotes public solidarity and democracy.</ref> ইতোপূর্বে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের বাউল গান ও ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে জামদানী বয়ন শিল্প ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ‌্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি লাভ করে। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]] সিলেটের [[শীতল পাটি]] বয়ন শিল্পকে ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ‌্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছে যা ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে বিবেচিত হবে।
 
==চিত্রশালা==