কলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{| class="wikitable"
|+
!
!
!
!
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|}
{{redirect|মুসা একুমিনাটা}}
'''কলা''' এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা ভাল জন্মায়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল হিসাবে পরিগণিত। [[বাংলাদেশ]] সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল। বাংলাদেশের [[নরসিংদী]], [[মুন্সীগঞ্জ]], [[যশোর]], [[বরিশাল]], [[বগুড়া]]{{taxobox
{{taxobox
|name = কলা ('''''মুসা একুমিনাটা''''')
|image = Banana and cross section.jpg
১৬ ⟶ ৩৮ নং লাইন:
|binomial_authority =
}}
'''কলা''' এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা ভাল জন্মায়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল হিসাবে পরিগণিত। [[বাংলাদেশ]] সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল। বাংলাদেশের [[নরসিংদী]], [[মুন্সীগঞ্জ]], [[যশোর]], [[বরিশাল]], [[বগুড়া]], [[রংপুর]], [[জয়পুরহাট]], [[কুষ্টিয়া]], [[ঝিনাইদহ]], [[মেহেরপুর]], প্রভৃতি এলাকায় শত শত বৎসর যাবৎ ব্যাপকভাবে কলার চাষ হয়ে আসছে। বাংলাদেশে কলা চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সারা বছর এ দেশের প্রায় সব অঞ্চলের উঁচু জমিতেই এর চাষ করা যায়। পার্বত্য এলাকায় বনকলা, বাংলাকলা, মামা কলাসহ বিভিন্ন ধরনের বুনোজাতের কলা চাষ হয়।<ref name="bd-pratidin.com">[http://bd-pratidin.com/print_news.php?path=data_files/66&cat_id=1&menu_id=7&news_type_id=1&index=2 বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ]</ref>। [[কলম্বিয়া]] ইত্যাদি ল্যাটিন আমেরিকান দেশে কলা প্রধান অর্থকরী ফসল। প্রাগাধুনিক ভারতীয় অর্থনীতিতেও একটি প্রধান অর্থকরী ফসল হিসাবে কলার চাষাবাদ হতো। [[খনা]]র বচনে আছে, "কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড়, তাতেই ভাত"।<ref name="bd-pratidin.com"/>
 
== গাছের বর্ণনা ==
[[চিত্র:Musa-sp3.1.jpg|right|thumb|100pxright|কলা গাছ থেকে ঝুলন্ত কলার কাঁদি]]
উদ্ভিদ বিজ্ঞানী মালানের মতে [[ভারতবর্ষ]] ও [[চীন]] কলার জন্মভুমি । কিন্তু আরেক উদ্ভিদ বিজ্ঞানী হিল পাক-ভারত ও [[মালয়কে]] কলার উৎপত্তিস্থল বিবেচনা করেছেন। কলাগাছ একটি [[বীরুৎ]] শ্রেণির উদ্ভিদ। আবার এটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ। অধিকাংশ জাতের গাছই বহুবর্ষজীবী । মাটির নীচে রাইজোম বা [[কন্দ]] এবং মাটির ওপরে একটি ছদ্মকাণ্ড বা সিউডোস্টেম নিয়ে এ গাছ গঠিত। কাণ্ড ও পাতা উভয়ই সবুজ।
 
২৭ ⟶ ৪৮ নং লাইন:
 
কলা Musaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এর দুটি গণ আছে যথা: Ensete ও Musa। এ পরিবারে প্রায় ৫০টি প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত । Ensete গণের মাত্র ৬-৭টি প্রজাতি আছে, তবে এর মধ্যে মাত্র একটি প্রজাতি এ পর্যন্ত ইথিওপিয়ায় জন্মানো সম্ভব হয়েছে। Musa গণের প্রায় ৪০টি প্রজাতি রয়েছে। এর অধিকাংশ প্রজাতির উৎপত্তি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায়। প্রায় সব আবাদকৃত কলাই এ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত । এই গণকে আবার ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ১৯টি জাত রয়েছে । পার্বত্য এলাকায় বাংলা কলা, বন কলা, মামা কলা ইত্যাদি নামেও কলার কিছু বুনো জাত দেখা যায়। ক্রমশ কলার জাতের সংখ্যা বাড়ছে। গাছের বৈশিষ্ট্য অনুসারে বাংলাদেশের বিভিন্ন্জান জাতের কলা গাছকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা: লম্বা জাতের গাছ ও খাটো জাতের গাছ। পাকা অবস্থায় খাওয়ার জন্য কলার জাত ৪ প্রকার যথা:
[[চিত্র:Bananen Frucht.jpg|right|thumb|250px|হলুদবর্ণ পাকা কলা]]
* সম্পূর্ণ বীজমুক্ত কলা: যেমন-সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর প্রভৃতি ।
* দু-একটি বীজযুক্ত কলা: যেমন-চাম্পা, চিনিচাম্পা, কবরী, চন্দন কবরী, জাবকাঠালী ইত্যাদি ।
৩৮ ⟶ ৫৮ নং লাইন:
 
=== খাদ্যগুণ ===
[[চিত্র:Musa-sp3.1.jpg|thumb|ন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন]]
প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় যে খাদ্যগুণ আছে তার বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ
* পানি (জল) ------------------ ৭০.১%
৬০ ⟶ ৮১ নং লাইন:
* কলা নরম হবার কারণে হজম শক্তির কাজে বাড়তি ঝামেলা দেখা দেয় না।
* দীর্ঘকাল স্থায়ী আলসার রোগের ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা ছাড়াই কলা খাওয়া যায়।
* কলা পরিপাকতন্ত্রের অতিরিক্ত অম্লত্ব নিরসন করে। এটি পাকস্থলীর আভ্যন্তরীক দেয়ালের আস্তরণের ওপর একটি আবরণ সৃষ্টি করে আলসারের উত্তেজনাকে প্রশমন করে।[[চিত্র:Bananen Frucht.jpg|right|thumb|250px|হলুদবর্ণ পাকা কলা]]
* এছাড়া কলা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ায় মত রোগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলা যহেতু পেকটিন সমৃদ্ধ যা পানিতে দ্রবনীয় তাই এই দুই ক্ষেত্রেই কলার ভূমিকা সমান দরকারী।তাছাড়া কলা পেটের ক্ষতিকারক জীবানুকে উপকারী ব্যাকটেরিয়াতে পরিণত করতে পারে।
* কলা [[গেটে বাত]] ও [[বাত রোগ|বাতের]] চিকিৎসায় সবিশেষ উপকারী।
'https://bn.wikipedia.org/wiki/কলা' থেকে আনীত