পাবনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Naim Islam (আলোচনা | অবদান)
→‎খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ: এখানে বর্তমান এক সাহিত্যিকের নাম যোগ করেছি
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪১ নং লাইন:
 
== যাতায়াত ==
[[যমুনা বহুমুখী সেতু]] পার হয়ে সড়কপথে [[রাজধানী]] [[ঢাকা]] থেকে মাত্র চারসাড়ে পাঁচ ঘণ্টার পথ। এছাড়া নদী পথে আরিচা থেকে নগরবাড়ি ঘাট হয়ে ৪ ঘণ্টায় পাবনায় যাওয়া যায়।
 
== শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ==
== শিক্ষাব্যবস্থা ==
১) '''[[পাবনা জিলা স্কুল]] (১৮৫৩)'''
২০০৬ সালে পাবনায় প্রতিষ্ঠা করা হয় [[পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ]],২০০৮ সালে [[পাবনা মেডিকেল কলেজ|সরকারী মেডিক্যাল কলেজ]] ও [[পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যান্য নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে [[পাবনা জিলা স্কুল]], [[পাবনা ক্যাডেট কলেজ]], [[পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট]], [[এডওয়ার্ড কলেজ]], [[সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজ]], [[সরকারী মহিলা কলেজ]], [[পাবনা সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়]] প্রভৃতি।
 
'''পাবনা জেলা স্কুল''' পাবনা জেলার সবচেয়ে পুরাতন উচ্চ বিদ্যালয় এবং এটি বাংলাদেশ এর অন্যতম পুরানো বিদ্যালয়। বাংলাদেশের সেরা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি তৃতীয় শ্রেণী হইতে এস. এস. সি. পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে থাকে। এই বিদ্যালয়এ দুইটি শিফট রয়েছে। এগুলো হল প্রভাতী ও দিবা। প্রভাতী শাখা সকাল ৭.১৫ মিঃ থেকে এবং দিবা শাখা দুপুর ১২.০০ মিঃ শুরু হয়। এটি শুধুমাত্র ছেলেদের স্কুল হলেও এখানে পুরুষ ও মহিলা উভয় শিক্ষক রয়েছেন। এই স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক এবং দিবা ও প্রভাতী শাখার জন্য পৃথক পৃথক শিক্ষক রয়েছেন। পাবনা জিলা স্কুলে বিশালাকার একটি খেলার মাঠ এবং তিনটি বড় স্তাপনা রয়েছে। এগুলো যথাক্রমে প্রশাসনিক,একাডেমিক ও বিজ্ঞান ভবন নামে পরিচিত। এছাড়া এখানে একটি হল রুম , একটি ছাত্রাবাস এবং একটি মসজিদ রয়েছে। এখানে তিনটি সুসমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব ছারাও চারটি পৃথক ল্যাব রয়েছে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, বায়োলজি এবং কৃষি শিক্ষার জন্য। এখানে আরও সমৃদ্ধ লাইব্রেরী রয়েছে । ছাত্ররা লাইব্রেরীতে বসে নানা বিষয়ের বই পড়তে পারে , প্রয়োজনে তা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে ।
 
২) '''পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮৩)'''
 
পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় [[পাবনা জেলা|পাবনা জেলার]] প্রাচীনতম মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির একটি। স্কুলটি তিন থেকে দশ শ্রেণী (এসএসসি) থেকে শিক্ষা প্রদান করে। বিদ্যালয়টি প্রভাতী ও দিবা এই দুই সময়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে - প্রভাতী শাখার শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৭টা ৩০ মিনিট হতে এবং দিবা শাখার শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয় বেলা ১২টা ৩০ মিনিট হতে। এই বিদ্যালয়টি কেবল মেয়েদের জন্য হলেও এখানে পুরুষ এবং মহিলা - উভয় ধরনের শিক্ষকই রয়েছেন। প্রভাতী ও দিবা এই দুই শাখার জন্য একজনই প্রধান শিক্ষক হলেও উভয় শাখার জন্য শিক্ষকগণ ভিন্ন। এখানে একটি খেলার মাঠ, তিনটি ভবন এবং একটি মসজিদ আছে। এছাড়াও এখানে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষার জন্য পৃথক গবেষণাগার আছে।
 
৩) '''এডওয়ার্ড কলেজ (১৮৯৮)'''
 
১৮২৮ সালে পাবনা জেলার ভৌগোলিক সীমানা নির্ধারিত হওয়ার পর, এ অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারের কথা চিন্তা করা হয়। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাইয়ে শ্রী গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী পাবনায় প্রথমে “পাবনা ইনস্টিটিউশন” (বর্তমান গোপাল চন্দ্র ইনস্টিটিউট) নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে ১৮৯৮ সালে এ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষেই গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী এডওয়ার্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু করেন। একই বছর ডিসেম্বরে এফ.এ স্ট্যান্ডার্ড কলেজ নামে কলেজটি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। প্রথমদিকে কলেজটি মাত্র ২৬ জন শিক্ষার্ত্রী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী ১৯০৬ সাল পর্যন্ত কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এবং সেসময় এর নাম পরিবর্তন করে পাবনা কলেজ নামকরণ করা হয়। ১৯১১ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে পুনরায় ভারতের তৎকালীন সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ডের নামানুসারে ''এডওয়ার্ড কলেজ'' করা হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার সময় ও প্রথমদিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন তাড়াশের জমিদার রায় বনমালী রায় বাহাদুর, কুষ্টিয়ার আমলা সদরপুরের জমিদার, নীলবিদ্রোহের নেত্রী [[প্যারীসুন্দরী দেবী]] (মতান্তরে দাসী)র উত্তরাধিকারী গোপী সুন্দরী দাসী ও দেবেন্দ্র নারায়ণ সিংহ, অধ্যাপক হেম চন্দ্র রায়, গোপালচন্দ্র লাহিড়ী, রাধিকা নাথ বসুসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
 
৪) [[পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] (২০০৮)
 
বাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালের ১৫ জুলাই "পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১" প্রণয়ন করার মাধ্যমে পাবনা জেলার নগরবাড়ী মহাসড়কের উত্তর পাশে গয়েশপুর ধোপাঘাটা নামক স্থানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর জারি করা হয় এসআরও (নং ২৭৮)। শুরুতে রাজাপুরের টিটিসি ক্যাম্পাসকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে পাবনা শহরের ৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রাজাপুর নামক স্থানে মূল ক্যাম্পাস চালু করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম উদ্বোধন করেন তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার, বীর উত্তম। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মূল ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউজিসি-র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।
 
৫) [[পাবনা মেডিকেল কলেজ|সরকারী মেডিক্যাল কলেজ]] (২০০৮)
 
প্রধানমন্ত্রীর নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা অনুযায়ী ২২-০৯-২০০৮ ইং তারিখে [[পাবনা মানসিক হাসপাতাল|পাবনা মানসিক হাসপাতালের]] পেছনে দুটি পরিত্যক্ত ভবনে প্রশাসনিকভাবে পাবনা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। পরের বছর একই জায়গার ৩০ একর জমির উপর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালে ৬তলা প্রশাসনিক ভবনের কাজ শেষ হলেও নির্মাণ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে।
 
৬) [[পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ]] (২০০৬)
 
[[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] টেক্সটাইল প্রকৌশলীর চাহিদা মেটাতে ১৯১৫ সালে পাবনা সরকারি বুনন স্কুল নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলার তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন। ১৯৮০ সালে ২বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়। তখন এর নাম হয়, পাবনা জেলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট। সময়ের চাহিদা মেটাতে ১৯৯৪ সালে [[বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড]] এর অধীনে ৩বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। ২০০৬ সালে তৎকালীন [[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী|প্রধানমন্ত্রী]] [[খালেদা জিয়া]] ৪বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালুর. নির্দেশ দেন। তখন এটি [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়]] অধিভুক্ত ছিল এবং নামকরণ করা হয় পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কলেজটি বর্তমানে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এবং [[বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়]] অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।
 
৭) [[পাবনা ক্যাডেট কলেজ]] (১৯৮১),
 
'''পাবনা ক্যাডেট কলেজ''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[পাবনা জেলা|পাবনার]] একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের প্রাচীন দশটি ক্যাডেট কলেজের মধ্যে অন্যতম; যা [[১৯৮১]] সালের ৭ আগষ্ট 'পাবনা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ' থেকে 'ক্যাডেট কলেজ'-এ রূপান্তরিত হয়। এই কলেজটি পাবন শহর থেকে ১০ কি.মি. দূরে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। আজ পর্যন্ত পাবনা ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ অন্যান্য বিষয়ে সাফল্য বজায় রেখেছে।
 
৮) [[পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট]] (১৯৯৪)
 
'''পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট''' একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োগ ঘটে। এটি [[বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড]] এর অধীনে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত শিক্ষাক্রমগুলো হলো ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি, ডিপ্লোমা ইন মেরিন টেকনোলজি, ডিপ্লোমা ইন হেল্থ টেকনোলজি, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও এসএসসি (ভোকেশনাল)। বোর্ড এর অধীনে চার বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়।
 
এছাড়াঅ রয়েছে [[সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজ]], [[সরকারী মহিলা কলেজ]], পাবনা সরকারি কলেজ প্রভৃতি।
 
== খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ ==