শয়তানবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Shebu Islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Pentagram4.svg|200px|thumb|স্যাটানিজমের চিহ্ন ও কালো যাদুকরদের প্রতীক পঞ্চকোণ]]
'''স্যাটানিজমশয়তানবাদ''' ({{lang-en|Satanism}}) বা '''শয়তানবাদ''' সাধারণভাবে [[হিব্রু বাইবেল]] (ও [[কোরআন]]) অনুসারে যে মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে সেই [[শয়তান|শয়তানের]] উপাসনা, ভক্তি বা প্রশংসাকে বোঝানো হয়ে থাকে। [[নিউ টেস্টামেন্ট|নিউ টেস্টামেন্টে]] আরো বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়, যেখানে [[যিশু|যিশুর]] প্রলুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বুঝানো হয়েছে। [[আব্রাহামীয় ধর্মসমূহ|আব্রাহামিক ধর্মে]] শয়তানকে তুলনা করা হয়েছে বিপথগামী দেবদূত বা দানব হিসেবে যে মানুষকে খারাপ কাজ বা পাপ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিষ্টান ধর্ম]] অনুযায়ী শয়তানকে খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। [[ইউরোপ|ইউরোপে]] রেঁনেসা হওয়ার পরে শয়তানকে আসলে রূপক অর্থে দেখা হয়েছে যা বোঝাচ্ছে বিশ্বাসের অভাবকে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইচ্ছার স্বাধীনতা, জ্ঞান এবং আলোকিত হওয়াকে।{{sfn|Dyrendal|Lewis|Petersen|2016|p=29}} সাহিত্যে আমরা শয়তানকে দেখি মিল্টনের ''প্যারাডাইজ লস্ট''-এ।{{sfn|Dyrendal|Lewis|Petersen|2016|p=29}}
 
১৯৬০ সালের আগে শয়তান-উপাসকদলগুলোকে গুপ্ত ও অবৈধ মনে করা হত। [[ডাকিনীবিদ্যা]] বিরোধী আইন যেমন ''ব্রিটিশ [[ডাকিনীবিদ্যা]] আইন ১৭৩৫'' (যা ১৯৫১ সালের আগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল) জনগণের ডাকিনীবিদ্যা ও শয়তানবাদ বিরোধী আবেগকে প্রকাশ করে। আধুনিক স্যাটানিজম প্রথম সবার নজরে আসে ১৯৬৬ সালে [[চার্চ অব স্যাটান]] ({{lang-en|Church of Satan}}) বা "শয়তানের গির্জা" প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আধুনিক শয়তানবাদি দলগুলো নানা ভাগে বিভক্ত হলেও প্রধান দু'টি ধারা হচ্ছে আস্তিক ও নাস্তিক। আস্তিক শয়তানবাদি দলগুলো শয়তানকে একজন [[পৌত্তলিকতাবাদ|পৌত্তলিক]] দেবতা হিসেবে উপাসনা করে। অন্যদিকে [[দার্শনিক শয়তানবাদ|নাস্তিক শয়তানবাদিরা]] নিজেদের নাস্তিক মনে করে এবং শয়তানকে মনে করে মানুষের খারাপ বৈশিষ্ট্যের একটি প্রতীকরপ হিসাবে।<ref>{{cite web|last=Gilmore|first=Peter|title=Science and Satanism|url=http://www.pointofinquiry.org/peter_h_gilmore_science_and_satanism/|work=Point of Inquiry Interview|accessdate=9 December 2013}}</ref>