কর্মযোগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৭ নং লাইন:
ভগবদ্‌ গীতা অনুসারে, সৎ অনুভব এবং সৎ আচরণের দ্বারা সৎ উদ্দেশ্যে এবং সমমনস্ক অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য নিঃস্বার্থ সেবাই হল উপাসনা এবং আধ্যাত্মিকতার একটি রূপ।<ref name=":0" /><ref>{{cite book|author=Stephen Phillips|title=Yoga, Karma, and Rebirth: A Brief History and Philosophy|url=https://books.google.com/books?id=uLqrAgAAQBAJ&pg=PA99|year =2009|publisher= Columbia University Press|isbn= 978-0-231-14485-8|pages=99–100}}</ref>{{refn|group=note|The first six chapters of the ''Bhagavad Gita'' discuss Karma yoga, chapters 7-12 focus on [[Bhakti yoga]], while chapters 13-18 describe the [[Jnana yoga]].<ref>{{cite book|author=Brian Hodgkinson|title=The Essence of Vedanta|url=https://books.google.com/books?id=SIQEAwAAQBAJ|year=2006|publisher=London: Arcturus|isbn=978-1-84858-409-9|pages=91–93}}</ref>}}
 
ভগবদ্‌ গীতার ৩.৪ মণ্ডলে বলা হয়েছে, যেমন জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাধুর পোশাক পরিধান করলেই একজন আধ্যাত্মিক হন না, তেমনই কর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হলে অথবা কর্ম শুরু না করলে কেউ দাসত্ব থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন না।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Dharm Bhawuk (2011). Spirituality and Indian Psychology: Lessons from the Bhagavad-Gita. Springer Science. pp. 147–148 with footnotes. ISBN 978-1-4419-8110-3.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref> ভগবদ্‌ গীতার ৩.৫ নং মণ্ডলে বলা হয়েছে, কাজ না করাও একধরনের কাজ যাতে ফল থাকে এবং কর্মীয় প্রভাব থাকে, এবং মানুষের অস্তিত্বের প্রকৃতি এমনই যে সে সর্বদাই তার প্রকৃতিতে, শরীরে অথবা মনে কাজ করে চলে, এবং এক মূহুর্তের জন্যও সে কর্মহীন থাকতে পারে না। ভগবদ্‌ গীতার ৩.৬ থেকে ৩.৮ নং মণ্ডলে বলা হয়েছে, শরীরের দ্বারা অথবা বহির্জগতের প্রভাব দ্বারা কর্ম অনুপ্রাণিত হয়। পক্ষান্তরে, একজনের অন্তরের প্রতিরূপ এবং নিজস্ব সত্ত্বার (আত্মা, আত্মন্‌, ব্রাহ্মণ) দ্বারাও তা প্রভাবিত হতে পারে। প্রথমটি দাসত্বের জন্ম দেয়, শেষেরটি দেয় মুক্তির। আধ্যাত্মিক পথে সুখে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল, পরিণতি, ফলাফল, সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিরাসক্ত হয়ে যতদূর সম্ভব কাজ করে যাওয়া। ভাউক বলেন, যে কর্ম যোগী এই নিষ্কর্মা কর্ম অনুশীলন করেন, তিনি “সহজাত পরিপূর্ণ এবং পরিতৃপ্তির পথে একটি অন্তর্মুখীন যাত্রা করেন”।
 
“নিরাসক্ত কর্মের” সূত্রের একটি অংশ হল, একজন যত বেশী পরিমাণে পুরস্কারের আশায় কাজ করবে, ততই সে হতাশা, অবসাদ অথবা আত্ম-ধ্বংসকারী আচরণের শিকার হবে। এছাড়াও, এই সূত্রের অন্য একটি অংশ হল যে ব্যক্তি যত “নিরাসক্ত কর্মের” প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে, ততই সে নিজেকে ধর্মের পথে (নৈতিক মাত্রায়) চালিত করবে, কর্মের অন্যান্য অংশগুলির ওপর মনঃসংযোগ করতে পারবে, নিজের সেরা কর্ম সম্পাদন করতে পারবে এবং এইভাবে তার আত্ম-ক্ষমতায়নের পথে মুক্তিলাভ ঘটবে।